রাজধানী ঢাকা ও এর আশেপাশের জেলাগুলোর সার্বিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মোট ১৪টি প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) বিজিবির গণসংযোগ কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম এই তথ্য জানান।
তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের এলাকায় মোট ১৪টি প্লাটুন বিজিবি প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
অপর দিকে, কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা আওয়ামী লীগের ঢাকা লকডাউন কর্মসূচির কারণে দেশজুড়ে যানবাহন, রেলওয়ে ও অন্যান্য স্থাপনায় অগ্নিসংযোগ ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটছে। এর ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, দুর্বৃত্তরা যেভাবে নাশকতা চালাচ্ছে, তাতে রাস্তায় চলাচল বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। যে কোনো সময় ককটেল এসে শরীরে লাগতে পারে। এ ছাড়া পরিস্থিতি কেমন দিকে এগোতে পারে, ভয়াবহ পরিস্থিতি অপেক্ষা করছে কিনা, এই চিন্তায় সাধারণ মানুষ উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন।
তবে রাজধানীতে কোনো বড় আতঙ্কের বিষয় নেই বলে আশ্বস্ত করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী। তিনি বলেন, কার্যক্রম নিষিদ্ধ একটি দল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। গত কয়েক দিন ধরে রাজধানীতে ককটেল বিস্ফোরণ, যানবাহনে অগ্নিসংযোগ ও ঝটিকা মিছিলের সঙ্গে জড়িত ৫৫২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে গ্রেফতারকৃত বেশিরভাগই রাজধানীর বাইর থেকে এসেছে। হেলমেট ও মাস্ক পরে হামলা চালানো হচ্ছে। এসব কাজে অপ্রাপ্তবয়স্কদেরও ব্যবহার করা হচ্ছে। অপরিচিত কাউকে আশ্রয় না দেওয়ার জন্য ডিএমপি সাধারণ জনগণের উদ্দেশে আহ্বান জানিয়েছেন, নিজের যানবাহন অন্য কারো কাছে না দিয়ে সন্দেহ হলে পুলিশকে জানাতে বলছেন। আগুন দেওয়া হয়েছে বেশি করে অপ্রহত বাসগুলোতেই। কম যাত্রীর বাসে আগুন দেওয়া হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে নাশকতাকারীদের দমন করতে জনগণের সহযোগিতা চেয়েছেন ডিএমপি। ঢাকাবাসী নাশকতাকারীদের প্রতিহত করবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন।
অন্যদিকে, কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা আওয়ামী লীগের পক্ষে ঢাকার রাজপথে কর্মসূচি কঠোরভাবে দমন করার হুঁশিয়ার দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। নিজের ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন, ‘এটা ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর নয়, এটা জুলাই, চিরকালের জন্য।’