বড়পুকুরিয়ায় খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনা করে দোয়া
ফুলবাড়ীতে শিশু পার্ক উদ্বোধন
আমি চাই ও আমার হাত ছেড়ে দিক
চীনের কাছে হেরে স্বপ্নভঙ্গ বাংলাদেশের
টিকটকে উসকানিমূলক ভিডিও, আ.লীগ নেত্রী সুলতানা আটক
শুরু হলো মহান বিজয়ের মাস
সেন্টমার্টিনে আজ থেকে রাতযাপনের সুযোগ, মানতে হবে যেসব শর্ত
বাবা-ভাইদের হাতে প্রেমিকের মৃত্যু, মরদেহকেই ‘বিয়ে’ তরুণীর
পায়ুপথে বাতাস ঢুকিয়ে শ্রমিককে হত্যার অভিযোগ
নতুন পে স্কেল বাস্তবায়ন নিয়ে ফের জটিলতা
প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে যা আছে
- আপডেট সময় ০৩:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫
- / ২২ বার পড়া হয়েছে
জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি উল্লেখ করেন, নির্বাচন দিনেই গণভোট অনুষ্ঠিত হবে। বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) দুপুর আড়াইটায় দেশের মানুষের উদ্দেশ্যে ভাষণে তিনি এ কথা বলেন। তিনি জানান, গত বছর আগস্ট মাসে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রভাবশালী শক্তির ভিত্তিতে আমরা একটি অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিষ্ঠা করি। এরপর বর্তমানে আমরা আমাদের মেয়াদের এক গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে পৌঁছেছি। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমাদের সরকারের মূল দায়িত্ব ছিল তিনটি। এক, হত্যাকাণ্ডের বিচার সম্পন্ন করা; দুই, এক স্বচ্ছ, জবাবদিহিমূলক ও কার্যকর গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার চালানো; তিন, সুষ্ঠু নির্বাচন শেষে নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর। আমরা জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় ফ্যাসিস্ট সরকারের নির্দেশে সংগঠিত হত্যাকাণ্ডের বিচারের কাজ দ্রুত এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। এই বিচারের জন্য গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল শিগগিরই তাদের প্রথম রায় প্রদান করবে। ড. মুহাম্মদ ইউনূস আরও বলেন, ট্রাইব্যুনালে আরও কিছু মামলার বিচার প্রক্রিয়া চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। সাধারণ বিচারিক আদালতগুলোতেও জুলাই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সম্পর্কিত কিছু বিচার শুরু হয়েছে। একইসঙ্গে দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো গুমের মতো নৃশংস অপরাধের বিচারও শুরু হয়েছে। তিনি জানান, আমি আনন্দের সাথে জানাতে চাই যে, সংস্কার কার্যক্রমেও আমরা ব্যাপক অগ্রগতি অর্জন করেছি। অন্তর্বর্তী সরকার নিজস্ব উদ্যোগে কিংবা বিভিন্ন সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবের ভিত্তিতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার সম্পন্ন করেছে। কিছু প্রস্তাবিত সংস্কার এখনও চলমান রয়েছে। অধ্যাদেশ বা বিদ্যমান আইনের সংশোধনের মাধ্যমে বিচার বিভাগে স্বাধীনতা, বিচার ব্যবস্থাপনা, অর্থনৈতিক স্বচ্ছতা, প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি, ডিজিটালাইজেশন ও দুর্নীতি প্রতিরোধে নানা সংস্কার বাস্তবায়িত হয়েছে। ভবিষ্যতে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় এসব সংস্কার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করি। আশা করি, আগামী নির্বাচিত সরকার সংসদে আলোচনা-পর্যালোচনার মাধ্যমে এসব সংস্কার গ্রহণ করবে। তিনি আরও বলেন, আমাদের আরেকটি দায়িত্ব হলো সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন। আমি ঘোষণা করেছি, ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথমার্ধে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচন উৎসবমুখর, অংশগ্রহণমূলক ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য আমরা সব প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ঐকমত্য কমিশনের প্রণীত জুলাই সনদে ৩০টি গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার প্রস্তাবে রাজনৈতিক দলের মধ্যে ঐক্য গড়ে উঠেছে। এটি একটি ঐতিহাসিক অর্জন। কিছু প্রস্তাবে সামান্য মতভিন্নতা আছে। বাকি প্রস্তাবগুলোতে কিছুটা মতভিন্নতা থাকলেও তা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় অস্বাভাবিক নয়। তবে খতিয়ে দেখলে বোঝা যায়, এসব প্রস্তাবের ক্ষেত্রেও মতবিরোধ খুব গভীর নয়। তিনি বললেন, আমরা সকল বিষয় বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনই গণভোটের আয়োজন করা হবে। অর্থাৎ, ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে অনুষ্ঠিত হবে। এতে সংস্কার কার্যক্রমে কোনও বাধা পড়বে না। নির্বাচন এখন আরও উৎসবমুখর ও সাশ্রয়ী হবে। গণভোটের জন্য প্রয়োজনীয় আইন যথাসময়ে প্রণয়ন করা হবে। আমি আশা করি, এই সিদ্ধান্ত দেশের স্বার্থে রাজনৈতিক দলগুলো সমর্থন করবে। একসঙ্গে একটি উৎসবমুখর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, যা আমাদের নতুন বাংলাদেশের সূচনা করবে। আমরা নতুন বাংলাদেশ গড়ার পথে এগিয়ে যাচ্ছি।
প্রিন্ট


















