গণতন্ত্রে সকল নাগরিকের গুরুত্বপূর্ণ অংশগ্রহণ থাকে বলে উল্লেখ করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি বলেন, “নেতাদের দায়িত্ব হলো তাদের কর্মকাণ্ডের জন্য জবাবদিহি নিশ্চিত করা। পরিবেশের সাথে গণতন্ত্রের গভীর সম্পর্ক রয়েছে। অতীতে যেমন ছিল, এখনো তা বজায় রাখতে অনেক মানুষ জীবন উৎসর্গ করেছেন।” শনিবার (১৫ নভেম্বর) ঢাকার কেরানিগঞ্জের দাড়িপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জলাধার সংস্কার প্রকল্পের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এই কথাগুলো বলেন। খালের রক্ষা নিয়ে রিজওয়ানা হাসান জানান, জেলা প্রশাসনকে মন্ত্রণালয়ের কাছে খাল রক্ষা ও সংস্কার পরিকল্পনা জমা দিতে বলা হবে। তিনি বলেন, “ঢাকার খালগুলো যখন খনন করা হয়, তখন আবার ভরে যায়। বর্জ্য অপসারণের কাজ গত ৫৪ বছরে হয়নি, এক বছরেই কি সম্ভব হবে? এ ব্যাপারে সবাইকে দায়িত্ব নিতে হবে।” আরও বলেন, “সাধারণ মৎস্যজীবীরা খাল ইজারা নিতে পারেন না। এজন্য প্রশাসনকে বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে। প্রশাসনকে নিশ্চিত করতে হবে যে, প্রকৃত মৎস্যজীবীরা কি না খালগুলোর ইজারা পাচ্ছেন।” উপদেষ্টা আরও বলেন, “উন্নয়ন মানে শুধু সড়ক বা বড় সেতু নয়, বড় মেগা প্রকল্পকেও অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। তবে সব মেগা প্রকল্প সবাইকে উপকারে আসবে, এমনটি নয়।” মানবদেহে মাইক্রোপ্লাস্টিকের ছড়িয়ে পড়ার বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি বলেন, “পলিথিন শপিংব্যাগ বন্ধে সরকার যদি ব্যর্থ হয়, তবে আপনার জয় সম্ভব নয়। সরকার নির্দেশ দেওয়ার পরও পলিথিনের ব্যবসায়ীরা উৎপাদন চালিয়ে গেছে। পৃথিবীর কোথাও এমন হয় না যেখানে সরকারের আদেশের পরও তা পালন করা হয় না। তবে এখন বড় সুপারশপগুলো পলিথিন দিচ্ছে না।” গণতন্ত্রে সকল নাগরিকের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে বলে উল্লেখ করে রিজওয়ানা হাসান বলেন, “নেতাকে জবাবদিহিতার মধ্যে রাখতে হয়। পরিবেশের সঙ্গে গণতন্ত্রের সম্পর্ক রয়েছে। আগে যেমন ছিল, এখনো তা রক্ষা করতে অনেক মানুষ জীবন দিয়েছে।” পরিবেশ আন্দোলন জনগণের উপস্থিতিতে সফল হয়েছে বলে দাবি করে তিনি বলেন, “সাদাপাথরের পাথর তোলায় রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন প্রকাশ্যে আসার পর জনগণ রুখে দাঁড়িয়েছে।” পলিথিন শপিংব্যাগ বন্ধে পাটের ব্যাগ ব্যবহারের প্রতি উৎসাহিত করার কথা জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, “পাটের ব্যাগে বাজার করলে পলিথিনের ব্যবহার কমবে।”