বড়পুকুরিয়ায় খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনা করে দোয়া
ফুলবাড়ীতে শিশু পার্ক উদ্বোধন
আমি চাই ও আমার হাত ছেড়ে দিক
চীনের কাছে হেরে স্বপ্নভঙ্গ বাংলাদেশের
টিকটকে উসকানিমূলক ভিডিও, আ.লীগ নেত্রী সুলতানা আটক
শুরু হলো মহান বিজয়ের মাস
সেন্টমার্টিনে আজ থেকে রাতযাপনের সুযোগ, মানতে হবে যেসব শর্ত
বাবা-ভাইদের হাতে প্রেমিকের মৃত্যু, মরদেহকেই ‘বিয়ে’ তরুণীর
পায়ুপথে বাতাস ঢুকিয়ে শ্রমিককে হত্যার অভিযোগ
নতুন পে স্কেল বাস্তবায়ন নিয়ে ফের জটিলতা
সরকারের এক সিদ্ধান্তে বেকার হবে লাখ লাখ দক্ষ কর্মী
- আপডেট সময় ০৭:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫
- / ২৬ বার পড়া হয়েছে
বাংলাদেশ ট্রাভেল এজেন্সি (নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রণ) আইন সংশোধনের প্রস্তাবিত নতুন খসড়া অধ্যাদেশ-২০২৫ বাতিলের জন্য দাবি জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, এই আইন কার্যকর হলে দেশের লাখ লাখ দক্ষ জনবল একদিনে বেকার হয়ে যাবে, যেহেতু ট্রাভেল এজেন্সি, হজ এজেন্সি এবং রিক্রুটিং এজেন্সির কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাবে। শনিবার (১৫ নভেম্বর) রাজধানীর পল্টনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন অ্যাফিলিয়েটেড ট্রাভেল অ্যাজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি এস. এন. মঞ্জুর মোর্শেদ মাহবুব। তিনি জানান, এই অধ্যাদেশে দেশের প্রায় ৬ হাজার ট্রাভেল এজেন্সি, ১৪০০ হজ এজেন্সি এবং ২৭০০ রিক্রুটিং এজেন্সি সরাসরি ঝুঁকিতে পড়বে। কারণ, নতুন নিয়মে ট্রাভেল এজেন্সিগুলিকে তাদের ব্যবসা পরিচালনার জন্য অ্যাটার টিকেট বিক্রির প্ল্যাটফর্মে যুক্ত হতে হবে। বর্তমানে দেশের প্রায় ৬ হাজার লাইসেন্সপ্রাপ্ত ট্রাভেল এজেন্সির মধ্যে মাত্র কয়েকশোই এই প্ল্যাটফর্মে যুক্ত। ফলে, এই নতুন আইন কার্যকর হলে বাকি সব এজেন্সি কার্যত বন্ধ হয়ে যাবে। তাদের ওপর নির্ভরশীল অন্য এজেন্সিগুলোও বন্ধ হয়ে যাবে। এর ফলে লাখ লাখ দক্ষ জনবল বেকার হয়ে পড়বে। নতুন অধ্যাদেশে এমন কিছু ধারা যুক্ত হয়েছে যা ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের জন্য অযৌক্তিক চাপ সৃষ্টি করবে। এর মধ্যে রয়েছে পরিবারের সদস্যদের তথ্য দাখিল বাধ্যতামূলক করা, ঋণসংক্রান্ত সিআইবি অনুমোদন, ব্যাংক জামানত হিসেবে অফলাইনে ১০ লাখ এবং অনলাইনে ১ কোটি টাকা জমা দেওয়া, বার্ষিক আর্থিক বিবরণী প্রদানসহ লাইসেন্স নবায়নের শর্ত এবং প্রযুক্তিগত বিভিন্ন ব্যবস্থাপনা কঠোর করার প্রস্তাব। এসব বিধান বাস্তবায়িত হলে দেশের পর্যটন শিল্পে বড় ধরনের অস্থিরতা সৃষ্টি হবে বলে তারা আশঙ্কা প্রকাশ করেন। এ জন্য এসব ধারাগুলো প্রত্যাহার করতে সংবাদ সম্মেলনে দাবি জানানো হয়। তিনি আরও বলেন, বিশ্বের অধিকাংশ দেশে ট্রাভেল এজেন্সির এজেন্ট টু এজেন্ট (বি টু বি) ব্যবসা প্রচলিত। কিন্তু এই অধ্যাদেশের মাধ্যমে বাংলাদেশে এই ব্যবসা বন্ধের পথে হাঁটছে। অর্থাৎ, একটি ট্রাভেল এজেন্সি অন্য ট্রাভেল এজেন্সির সঙ্গে টিকিট কেনা-বেচা করতে পারবে না। বি টু বি বন্ধ হলে, প্রতিটি এজেন্সির খরচ হবে প্রায় ৩০ লাখ টাকা, সেই সঙ্গে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের টিকিটের জন্য অতিরিক্ত ২২ লাখ টাকা জমা দিতে হবে। বাংলাদেশের প্রায় ৯০ শতাংশ ট্রাভেল এজেন্সির এই অর্থের ব্যয় করার সামর্থ্য নেই। ফলে, বেশিরভাগ এজেন্সিই বন্ধ হয়ে যাবে। তিনি বলেন, আমরা চাই সকলের স্বার্থ রক্ষায় আলোচনা ও সংলাপের মাধ্যমে সমাধান বের করা হোক। সরকার যেন হাজারো ট্রাভেল উদ্যোক্তা ও কর্মীর ভবিষ্যত অন্ধকারে না ঠেলে দেয়। সংবাদ সম্মেলনে তারা সরকারের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান উপদেষ্টা ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, নতুন আইন যেন আমাদের ব্যবসা বন্ধের হাতিয়ার না হয়; বরং একটি সুষ্ঠু, টেকসই ও ন্যায্য ট্রাভেল শিল্প গড়ে তুলতে সহায়ক হয়।
প্রিন্ট


















