, সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
সংবাদের বিষয়ে কিছু জানাতে ইমেইল করুন [email protected] ঠিকানায়

ভারত থেকে মুক্তি পেয়ে ফিরছেন পাচার হওয়া ৩০ নারী-পুরুষ

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৮:৫৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫
  • / ১৫ বার পড়া হয়েছে

ভালো কাজের আশ্বাসে বিভিন্ন সময় পাচারের শিকার হয়ে ৩০ জন বাংলাদেশি নারী-পুরুষকে ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে ভারতীয় সীমান্তে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। এদের মধ্যে ১৯ জন পুরুষ এবং ১১ জন নারী রয়েছে। বুধবার (১৯ নভেম্বর) বিকেল ৫টায় ভারতের পেট্রাপোল চেকপোস্ট দিয়ে এদের বেনাপোল চেকপোস্টে ফেরত পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাইটস যশোরের নির্বাহী পরিচালক বিনয় কৃঞ্ষ মল্লিক। উদ্ধার হওয়া নারী ও শিশুদের আইনি সহায়তা প্রদান করবে মানবাধিকার সংগঠন রাইটস যশোর, মহিলা আইনজীবী সমিতি ও জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার। ফেরত আসা বাংলাদেশের নাগরিকদের মধ্যে রয়েছেন- আলাল মন্ডল, ইউছুপ শেখ, রমজান শেখ, রাজু শেখ, মলয় মন্ডল, সুদিপ্ত মন্ডোল, নাজিম উদ্দীন, ইয়াসিন, সোহেল সরদার, আরমান মোল্লা, তামিম গাইন, রিফাত হাসান, আব্দুল্লা শেখ, করিমুল খান, সিয়াম মল্লিক, আনোয়ার হোসেন, সপ্না মন্ডল, শাহিন রেজা, অহনা শেখ, রুবি সরদার, মিম খাতুন, শারমিন আলী, টুমবপা পারভিন, সাভা খান, রাবেয়া খাতুন, ঝরনা খাতুন, সামসুর নাহার ও রাজীব ইসলাম। তাদের পরিবারগুলো রংপুর, ঠাকুরগাও, খুলনা, যশোর, নড়াইল, সাতক্ষীরা ও মেহেরপুরের বিভিন্ন গ্রামে বাস করে। রাইটস যশোরের তথ্য ও অনুসন্ধান কর্মকর্তা তৌফিকুজ্জামান জানান, দেশের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে তারা ভারতে প্রবেশের সময় অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে আটক হয়েছিল। পরে এদের তথ্য যাচাই-বাছাই শেষে দুই দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় স্বদেশ প্রত্যাবাসনের অনুমোদন দেয়। মানবাধিকার সংগঠনগুলো সীমান্ত থেকে শিশু, কিশোরদের আইনি সহায়তা ও কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে প্রাথমিকভাবে তাদের হেফাজত করে। পরে পরিবারের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়। জানা যায়, পাচার রোধে বিভিন্ন দেশি-বিদেশি সংগঠন সক্রিয় থাকলেও পাচার কার্যক্রম বন্ধ হয়নি। কখনো ভালো কাজে, তো কখনো প্রেমের প্রলোভনে নারী ও শিশুদের ভারতে পাচার করে একটি চক্র। পরে সেখানে বিক্রি করে ইচ্ছার বিরুদ্ধে কাজে বাধ্য করা হয়। বর্তমানে পাচার হওয়া ব্যক্তিদের মাত্র ৫ শতাংশ উদ্ধার সম্ভব হলেও অধিকাংশের কোনো সঠিক তথ্য সরকারি বা বেসরকারি সংস্থাগুলোর কাছে নেই। এই পাচারকারীদের শিকার ৩০ জন বাংলাদেশিকে উদ্ধার করে ফেরত আনতে সরকারের পাশাপাশি কাজ করছে মানবাধিকার ও এনজিও প্রতিষ্ঠানগুলো। তারা বিভিন্ন সময় পুলিশের হাতে আটক হওয়ার পর ভারতের পশ্চিমবঙ্গের একটি হোমে আশ্রয় নেয়। আটকের পরে আইনি জটিলতায় কেউ কেউ দুই থেকে পাঁচ বছর পর্যন্ত ওই হোমে থাকতে বাধ্য হয়। পরে ভারত ও বাংলাদেশের সরকারের ট্রাভেল পারমিটে তারা দেশে ফেরার সুযোগ পাচ্ছে।


প্রিন্ট
ট্যাগস

নিউজটি শেয়ার করুন

ভারত থেকে মুক্তি পেয়ে ফিরছেন পাচার হওয়া ৩০ নারী-পুরুষ

আপডেট সময় ০৮:৫৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫

ভালো কাজের আশ্বাসে বিভিন্ন সময় পাচারের শিকার হয়ে ৩০ জন বাংলাদেশি নারী-পুরুষকে ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে ভারতীয় সীমান্তে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। এদের মধ্যে ১৯ জন পুরুষ এবং ১১ জন নারী রয়েছে। বুধবার (১৯ নভেম্বর) বিকেল ৫টায় ভারতের পেট্রাপোল চেকপোস্ট দিয়ে এদের বেনাপোল চেকপোস্টে ফেরত পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাইটস যশোরের নির্বাহী পরিচালক বিনয় কৃঞ্ষ মল্লিক। উদ্ধার হওয়া নারী ও শিশুদের আইনি সহায়তা প্রদান করবে মানবাধিকার সংগঠন রাইটস যশোর, মহিলা আইনজীবী সমিতি ও জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার। ফেরত আসা বাংলাদেশের নাগরিকদের মধ্যে রয়েছেন- আলাল মন্ডল, ইউছুপ শেখ, রমজান শেখ, রাজু শেখ, মলয় মন্ডল, সুদিপ্ত মন্ডোল, নাজিম উদ্দীন, ইয়াসিন, সোহেল সরদার, আরমান মোল্লা, তামিম গাইন, রিফাত হাসান, আব্দুল্লা শেখ, করিমুল খান, সিয়াম মল্লিক, আনোয়ার হোসেন, সপ্না মন্ডল, শাহিন রেজা, অহনা শেখ, রুবি সরদার, মিম খাতুন, শারমিন আলী, টুমবপা পারভিন, সাভা খান, রাবেয়া খাতুন, ঝরনা খাতুন, সামসুর নাহার ও রাজীব ইসলাম। তাদের পরিবারগুলো রংপুর, ঠাকুরগাও, খুলনা, যশোর, নড়াইল, সাতক্ষীরা ও মেহেরপুরের বিভিন্ন গ্রামে বাস করে। রাইটস যশোরের তথ্য ও অনুসন্ধান কর্মকর্তা তৌফিকুজ্জামান জানান, দেশের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে তারা ভারতে প্রবেশের সময় অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে আটক হয়েছিল। পরে এদের তথ্য যাচাই-বাছাই শেষে দুই দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় স্বদেশ প্রত্যাবাসনের অনুমোদন দেয়। মানবাধিকার সংগঠনগুলো সীমান্ত থেকে শিশু, কিশোরদের আইনি সহায়তা ও কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে প্রাথমিকভাবে তাদের হেফাজত করে। পরে পরিবারের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়। জানা যায়, পাচার রোধে বিভিন্ন দেশি-বিদেশি সংগঠন সক্রিয় থাকলেও পাচার কার্যক্রম বন্ধ হয়নি। কখনো ভালো কাজে, তো কখনো প্রেমের প্রলোভনে নারী ও শিশুদের ভারতে পাচার করে একটি চক্র। পরে সেখানে বিক্রি করে ইচ্ছার বিরুদ্ধে কাজে বাধ্য করা হয়। বর্তমানে পাচার হওয়া ব্যক্তিদের মাত্র ৫ শতাংশ উদ্ধার সম্ভব হলেও অধিকাংশের কোনো সঠিক তথ্য সরকারি বা বেসরকারি সংস্থাগুলোর কাছে নেই। এই পাচারকারীদের শিকার ৩০ জন বাংলাদেশিকে উদ্ধার করে ফেরত আনতে সরকারের পাশাপাশি কাজ করছে মানবাধিকার ও এনজিও প্রতিষ্ঠানগুলো। তারা বিভিন্ন সময় পুলিশের হাতে আটক হওয়ার পর ভারতের পশ্চিমবঙ্গের একটি হোমে আশ্রয় নেয়। আটকের পরে আইনি জটিলতায় কেউ কেউ দুই থেকে পাঁচ বছর পর্যন্ত ওই হোমে থাকতে বাধ্য হয়। পরে ভারত ও বাংলাদেশের সরকারের ট্রাভেল পারমিটে তারা দেশে ফেরার সুযোগ পাচ্ছে।


প্রিন্ট