, সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
সংবাদের বিষয়ে কিছু জানাতে ইমেইল করুন [email protected] ঠিকানায়

এইদিনে না ফেরার দেশে চলে যান নারী আন্দোলনের পথিকৃৎ সুফিয়া কামাল

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৮:৫৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫
  • / ২২ বার পড়া হয়েছে

কবিতা, লেখিকা ও নারীবাদী আন্দোলনের একজন গুরুত্বপূর্ণ নেত্রী সুফিয়া কামাল ১৯৯৯ সালের ২০ নভেম্বর, বয়সে ৮৮ বছর, ঢাকায় পরলোকগমন করেন। তিনি বাংলাদেশের একজন খ্যাতনামা কবি, লেখিকা, নারীবাদী ও প্রগতিশীল আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা। বেগম সুফিয়া কামাল ১৯১১ সালের ২০ জুন বরিশালের শায়েস্তাবাদে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৯৯ সালের ২০ নভেম্বর ঢাকায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। নারীর মুক্তির জন্য সংগ্রামরত মহীয়সী নারী বেগম সুফিয়া কামাল। তার জন্মস্থান ব্রাহ্মণবাড়িয়া। তিনি একাধারে কবি, লেখিকা ও নারীবাদী লেখক হিসেবে পরিচিত। সুফিয়া কামালের শিক্ষাজীবন শুরু হয় পরিবারের কাছে। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার সুযোগ পাননি তিনি, কারণ তখন বাড়ির মেয়েদের বাহিরে যাওয়া নিষেধ ছিল। গৃহশিক্ষার মাধ্যমে তিনি নানা বাধা পেরিয়ে নিজে থেকেই শিক্ষা অর্জন করেন। বেগম সুফিয়া কামালের মামার বাড়িতে উর্দু ভাষায় কথা বলতে হতো। তাই সেখানে বাংলার শিক্ষার সুযোগ ছিল না। তিনি তার মায়ের কাছ থেকে বাংলা শিখেন। সুফিয়া কামালের বড় মামার একটি লাইব্রেরি ছিল, যেখানে তার মা তাকে উৎসাহ দিয়ে পড়াশোনা করান। তার মামাতো ভাই সৈয়দ নেহাল হোসেনের সঙ্গে তার বিবাহ হয়। সৈয়দ নেহাল ছিলেন আধুনিক ও জ্ঞানী মানুষ। তিনি সুফিয়া কামালকে পড়াশোনায় সাহায্য করতেন। পড়াশোনার পাশাপাশি সমাজসেবায় ও সাহিত্যে তার আগ্রহ সৃষ্টি করেন। স্বামীর সহায়তায় তিনি সাহিত্যে ও সমাজসেবায় নিজেকে আরও জোরদার করেন। লেখালেখির হাত ধরেই সুফিয়া কামাল সাহিত্যচর্চা শুরু করেন। তার প্রথম কবিতা ‘বাসন্তী’ প্রকাশিত হয় তখনকার জনপ্রিয় পত্রিকা সওগাতে, যখন তিনি মাত্র ১৭ বছর বয়সে। নারীদের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণের জন্য বেগম রোকেয়ার প্রতিষ্ঠিত ‘আঞ্জুমানে খাওয়াতিনে ইসলাম’ সংগঠনে তিনি যোগ দেন। সেখানে বেগম রোকেয়ার সঙ্গে তার সাক্ষাৎ ও সামাজিক কাজে অংশগ্রহণ হয়। ১৯৩৮ সালে তার স্বামীর মৃত্যু হয় এবং তিনি অর্থনৈতিক সংকটে পড়েন। এরপর তিনি কলকাতার করপোরেশন স্কুলে চাকরি শুরু করেন। এই সময়েও তার সমাজসেবা ও সাহিত্যচর্চা অব্যাহত ছিল। এই সময়ে তার গল্প সংকলন ‘কেয়ার কাটা’ প্রকাশিত হয় ১৯৩৭ সালে, এবং ‘সাঝের মায়া’ ১৯৩৮ সালে। ‘সাঝের মায়া’র ভূমিকা লিখেছেন কবি নজরুল ইসলাম। এই বই তাকে সাহিত্যিক হিসেবে খ্যাতি দেয়। কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই বইয়ের প্রশংসা করেন। ১৯৩৯ সালে তার দ্বিতীয় বিবাহ হয় কামাল উদ্দিন আহমেদের সঙ্গে। বিবাহের কিছু বছর পর তিনি ‘বেগম’ পত্রিকার সম্পাদক হিসেবে কাজ শুরু করেন। ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাজনের পর তিনি ঢাকায় আসেন। এখানেও তিনি সাহিত্যচর্চা চালিয়ে যান। ভাষা আন্দোলনের সময় নারীদের উৎসাহ দেন আন্দোলনে যোগ দেওয়ার জন্য। ১৯৫৬ সালে শিশুদের জন্য ‘কচিকাচার মেলা’ নামে একটি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৬১ সালে তিনি ছায়ানটের সভাপতি হন। ১৯৬৯ সালে মহিলা সংগ্রাম কমিটির সভাপতি হন এবং গনঅভ্যুত্থানে অংশ নেন। ১৯৭০ সালে ‘মহিলা পরিষদ’ গঠন করেন। ১৯৭১ সালের মার্চের অসহযোগ আন্দোলনে নারীদের মিছিলের নেতৃত্ব দেন সুফিয়া কামাল। মুক্তিযুদ্ধের সময় পাক সেনারা তার বাড়ি ঘেরাও করে রাখে। ১৯২৫ সালে বরিশালে মহাত্মা গান্ধীর সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় তার। এর আগে গান্ধীর স্বাধীনতা সংগ্রাম থেকে উদ্বুদ্ধ হয়ে তিনি চরকায় সুতা কাটেন। তিনি নারী কল্যাণমূলক সংগঠন ‘মাতৃমঙ্গল’-এ যোগ দেন। ১৯৪৮ সালে তিনি সমাজসেবা ও রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। হিন্দু-মুসলিম সম্প্রীতি রক্ষায় শান্তি কমিটিতে যোগ দেন। একই বছর ‘পূর্ব পাকিস্তান মহিলা সমিতি’ গঠিত হয় সভানেত্রী হিসেবে। ১৯৪৯ সালে তার সম্পাদনায় প্রকাশিত হয় ‘সুলতানা’ পত্রিকা। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে তার দুই মেয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের পাশে থাকেন। ভারতের আগরতলায় তারা একটি হাসপাতাল স্থাপন করেন। যুদ্ধকালীন তিনি ‘একাত্তরের ডায়েরি’ নামে একটি দিনলিপি রচনা করেন। ১৯৮৪ সালে তার ‘সাঁঝের মায়া’ গ্রন্থ রুশ ভাষায় প্রকাশিত হয়। মার্কিন বিভিন্ন পত্রপত্রিকায়ও তার কবিতা প্রকাশিত হয়। ২০০১ সালে বাংলা একাডেমি তার কবিতার ইংরেজি অনুবাদ ‘মাদার অব পার্লস অ্যান্ড আদার পোয়েমস’ প্রকাশ করে। ২০০২ সালে তার রচনাসমগ্র প্রকাশিত হয়। তার কবিতার বিষয়বস্তু প্রেম, প্রকৃতি, ব্যক্তিগত অনুভূতি, বেদনা, দেশপ্রেম, মুক্তিযুদ্ধ ও ধর্মীয় অনুভূতি। তিনি ভ্রমণ, ডায়রি ও শিশুতোষ বিভিন্ন গ্রন্থ রচনা করেছেন। তার প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ২০টির বেশি। সাহিত্য ক্ষেত্রে তার অসামান্য অবদানের জন্য তিনি বহু পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছেন। উল্লেখযোগ্য পুরস্কারগুলো হলো- বাংলা একাডেমি পুরস্কার (১৯৬২), একুশে পদক (১৯৭৬), নাসিরউদ্দীন স্বর্ণপদক (১৯৭৭), মুক্তধারা পুরস্কার (১৯৮২), জাতীয় কবিতা পরিষদ পুরস্কার (১৯৯৫), উইমেন্স ফেডারেশন ফর ওয়ার্ল্ড পিস ক্রেস্ট (১৯৯৬), বেগম রোকেয়া পদক (১৯৯৬), দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ স্বর্ণপদক (১৯৯৬), স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার (১৯৯৭) ইত্যাদি। ১৯৯৯ সালের ২০ নভেম্বর ঢাকায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ১৯৮৪ সালে ‘সাঁঝের মায়া’-র রুশ সংস্করণ প্রকাশিত হয়। মস্কোতে এক অনুষ্ঠানে তাকে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে এক রুশ তরুণ কবি বলেছিলেন, ‘আপনি গোর্কির মা উপন্যাসের জননী।’


প্রিন্ট

নিউজটি শেয়ার করুন

এইদিনে না ফেরার দেশে চলে যান নারী আন্দোলনের পথিকৃৎ সুফিয়া কামাল

আপডেট সময় ০৮:৫৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫

কবিতা, লেখিকা ও নারীবাদী আন্দোলনের একজন গুরুত্বপূর্ণ নেত্রী সুফিয়া কামাল ১৯৯৯ সালের ২০ নভেম্বর, বয়সে ৮৮ বছর, ঢাকায় পরলোকগমন করেন। তিনি বাংলাদেশের একজন খ্যাতনামা কবি, লেখিকা, নারীবাদী ও প্রগতিশীল আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা। বেগম সুফিয়া কামাল ১৯১১ সালের ২০ জুন বরিশালের শায়েস্তাবাদে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৯৯ সালের ২০ নভেম্বর ঢাকায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। নারীর মুক্তির জন্য সংগ্রামরত মহীয়সী নারী বেগম সুফিয়া কামাল। তার জন্মস্থান ব্রাহ্মণবাড়িয়া। তিনি একাধারে কবি, লেখিকা ও নারীবাদী লেখক হিসেবে পরিচিত। সুফিয়া কামালের শিক্ষাজীবন শুরু হয় পরিবারের কাছে। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার সুযোগ পাননি তিনি, কারণ তখন বাড়ির মেয়েদের বাহিরে যাওয়া নিষেধ ছিল। গৃহশিক্ষার মাধ্যমে তিনি নানা বাধা পেরিয়ে নিজে থেকেই শিক্ষা অর্জন করেন। বেগম সুফিয়া কামালের মামার বাড়িতে উর্দু ভাষায় কথা বলতে হতো। তাই সেখানে বাংলার শিক্ষার সুযোগ ছিল না। তিনি তার মায়ের কাছ থেকে বাংলা শিখেন। সুফিয়া কামালের বড় মামার একটি লাইব্রেরি ছিল, যেখানে তার মা তাকে উৎসাহ দিয়ে পড়াশোনা করান। তার মামাতো ভাই সৈয়দ নেহাল হোসেনের সঙ্গে তার বিবাহ হয়। সৈয়দ নেহাল ছিলেন আধুনিক ও জ্ঞানী মানুষ। তিনি সুফিয়া কামালকে পড়াশোনায় সাহায্য করতেন। পড়াশোনার পাশাপাশি সমাজসেবায় ও সাহিত্যে তার আগ্রহ সৃষ্টি করেন। স্বামীর সহায়তায় তিনি সাহিত্যে ও সমাজসেবায় নিজেকে আরও জোরদার করেন। লেখালেখির হাত ধরেই সুফিয়া কামাল সাহিত্যচর্চা শুরু করেন। তার প্রথম কবিতা ‘বাসন্তী’ প্রকাশিত হয় তখনকার জনপ্রিয় পত্রিকা সওগাতে, যখন তিনি মাত্র ১৭ বছর বয়সে। নারীদের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণের জন্য বেগম রোকেয়ার প্রতিষ্ঠিত ‘আঞ্জুমানে খাওয়াতিনে ইসলাম’ সংগঠনে তিনি যোগ দেন। সেখানে বেগম রোকেয়ার সঙ্গে তার সাক্ষাৎ ও সামাজিক কাজে অংশগ্রহণ হয়। ১৯৩৮ সালে তার স্বামীর মৃত্যু হয় এবং তিনি অর্থনৈতিক সংকটে পড়েন। এরপর তিনি কলকাতার করপোরেশন স্কুলে চাকরি শুরু করেন। এই সময়েও তার সমাজসেবা ও সাহিত্যচর্চা অব্যাহত ছিল। এই সময়ে তার গল্প সংকলন ‘কেয়ার কাটা’ প্রকাশিত হয় ১৯৩৭ সালে, এবং ‘সাঝের মায়া’ ১৯৩৮ সালে। ‘সাঝের মায়া’র ভূমিকা লিখেছেন কবি নজরুল ইসলাম। এই বই তাকে সাহিত্যিক হিসেবে খ্যাতি দেয়। কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই বইয়ের প্রশংসা করেন। ১৯৩৯ সালে তার দ্বিতীয় বিবাহ হয় কামাল উদ্দিন আহমেদের সঙ্গে। বিবাহের কিছু বছর পর তিনি ‘বেগম’ পত্রিকার সম্পাদক হিসেবে কাজ শুরু করেন। ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাজনের পর তিনি ঢাকায় আসেন। এখানেও তিনি সাহিত্যচর্চা চালিয়ে যান। ভাষা আন্দোলনের সময় নারীদের উৎসাহ দেন আন্দোলনে যোগ দেওয়ার জন্য। ১৯৫৬ সালে শিশুদের জন্য ‘কচিকাচার মেলা’ নামে একটি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৬১ সালে তিনি ছায়ানটের সভাপতি হন। ১৯৬৯ সালে মহিলা সংগ্রাম কমিটির সভাপতি হন এবং গনঅভ্যুত্থানে অংশ নেন। ১৯৭০ সালে ‘মহিলা পরিষদ’ গঠন করেন। ১৯৭১ সালের মার্চের অসহযোগ আন্দোলনে নারীদের মিছিলের নেতৃত্ব দেন সুফিয়া কামাল। মুক্তিযুদ্ধের সময় পাক সেনারা তার বাড়ি ঘেরাও করে রাখে। ১৯২৫ সালে বরিশালে মহাত্মা গান্ধীর সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় তার। এর আগে গান্ধীর স্বাধীনতা সংগ্রাম থেকে উদ্বুদ্ধ হয়ে তিনি চরকায় সুতা কাটেন। তিনি নারী কল্যাণমূলক সংগঠন ‘মাতৃমঙ্গল’-এ যোগ দেন। ১৯৪৮ সালে তিনি সমাজসেবা ও রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। হিন্দু-মুসলিম সম্প্রীতি রক্ষায় শান্তি কমিটিতে যোগ দেন। একই বছর ‘পূর্ব পাকিস্তান মহিলা সমিতি’ গঠিত হয় সভানেত্রী হিসেবে। ১৯৪৯ সালে তার সম্পাদনায় প্রকাশিত হয় ‘সুলতানা’ পত্রিকা। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে তার দুই মেয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের পাশে থাকেন। ভারতের আগরতলায় তারা একটি হাসপাতাল স্থাপন করেন। যুদ্ধকালীন তিনি ‘একাত্তরের ডায়েরি’ নামে একটি দিনলিপি রচনা করেন। ১৯৮৪ সালে তার ‘সাঁঝের মায়া’ গ্রন্থ রুশ ভাষায় প্রকাশিত হয়। মার্কিন বিভিন্ন পত্রপত্রিকায়ও তার কবিতা প্রকাশিত হয়। ২০০১ সালে বাংলা একাডেমি তার কবিতার ইংরেজি অনুবাদ ‘মাদার অব পার্লস অ্যান্ড আদার পোয়েমস’ প্রকাশ করে। ২০০২ সালে তার রচনাসমগ্র প্রকাশিত হয়। তার কবিতার বিষয়বস্তু প্রেম, প্রকৃতি, ব্যক্তিগত অনুভূতি, বেদনা, দেশপ্রেম, মুক্তিযুদ্ধ ও ধর্মীয় অনুভূতি। তিনি ভ্রমণ, ডায়রি ও শিশুতোষ বিভিন্ন গ্রন্থ রচনা করেছেন। তার প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ২০টির বেশি। সাহিত্য ক্ষেত্রে তার অসামান্য অবদানের জন্য তিনি বহু পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছেন। উল্লেখযোগ্য পুরস্কারগুলো হলো- বাংলা একাডেমি পুরস্কার (১৯৬২), একুশে পদক (১৯৭৬), নাসিরউদ্দীন স্বর্ণপদক (১৯৭৭), মুক্তধারা পুরস্কার (১৯৮২), জাতীয় কবিতা পরিষদ পুরস্কার (১৯৯৫), উইমেন্স ফেডারেশন ফর ওয়ার্ল্ড পিস ক্রেস্ট (১৯৯৬), বেগম রোকেয়া পদক (১৯৯৬), দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ স্বর্ণপদক (১৯৯৬), স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার (১৯৯৭) ইত্যাদি। ১৯৯৯ সালের ২০ নভেম্বর ঢাকায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ১৯৮৪ সালে ‘সাঁঝের মায়া’-র রুশ সংস্করণ প্রকাশিত হয়। মস্কোতে এক অনুষ্ঠানে তাকে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে এক রুশ তরুণ কবি বলেছিলেন, ‘আপনি গোর্কির মা উপন্যাসের জননী।’


প্রিন্ট