, সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
সংবাদের বিষয়ে কিছু জানাতে ইমেইল করুন [email protected] ঠিকানায়

সশস্ত্র বাহিনী দিবস আজ

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৮:৩৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫
  • / ১৪ বার পড়া হয়েছে

সশস্ত্র বাহিনী দিবস আজ। বাংলাদেশের ইতিহাসে ২১ নভেম্বর এক বিশেষ দিন—যে দিনটি সম্মান, সাহস এবং দেশের প্রতিরক্ষার প্রতীক হিসেবে বিবেচিত। ১৯৭১ সালে এই দিনটিতেই সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী একযোগে যুদ্ধ শুরু করে। এই সমন্বিত আক্রমণই মুক্তিযুদ্ধের বিজয়কে আরও কাছাকাছি নিয়ে যায়। সেই থেকেই দিনটিকে যথাযথ মর্যাদায় পালন করা হয়। মর্যাদাপূর্ণ ও উৎসাহের সঙ্গে এ দিনটি উদযাপিত হচ্ছে। দিবসের অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে দেশের বিভিন্ন সেনানিবাস, নৌঘাঁটি, স্থাপনা এবং বিমান বাহিনী ঘাঁটির মসজিদে ফজরের নামাজের পরে বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে কর্মসূচি শুরু হয়। এই উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। ১৯৭১ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনী বাংলার স্বাধীনতাকামীদের দমন করতে ঝাঁপিয়ে পড়ে। দেশের মাতৃভূমিকে মুক্ত করতে এই সময়ে তিন বাহিনীর সদস্যরা অবিচল প্রতিরোধের দীপ জ্বালিয়ে দেন। তাদের সম্মিলিত আক্রমণে পাকিস্তানিরা ভেঙে পড়ে। নৌবাহিনীর সাহসী ‘অপারেশন জ্যাকপট’, বিমানবাহিনীর একের পর এক আকাশপথের আঘাত এবং সেনাবাহিনীর সম্মুখ যুদ্ধ—সব মিলিয়ে বিজয়ের পথ সুগম হয়। আজ সশস্ত্র বাহিনী শুধু দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করছে না, পাশাপাশি সন্ত্রাস দমন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা, শান্তিরক্ষা মিশন এবং যেকোনো সংকটে সাহসের সঙ্গে এগিয়ে আসে। নতুন প্রযুক্তি, আধুনিক অস্ত্রশস্ত্র, আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণে সশস্ত্র বাহিনী এখন আরও দ্রুত ও দক্ষ। যুদ্ধবিমান চালানো থেকে শান্তিরক্ষা মিশনে নেতৃত্ব দেওয়া—নারী সদস্যরাও এখন বাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ অংশ। অপরাধ নিয়ন্ত্রণে বিশেষ অভিযান, নির্বাচন নিরাপত্তা, মহাসড়ক ও পাহাড়, সমুদ্রের উত্তাল জলরাশি—যেকোনো পরিস্থিতিতে তিন বাহিনী সক্রিয়। বিশ্বের সবচেয়ে কঠিন মিশনেও বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীরা বিশেষ ভূমিকা রাখছে। বহু দিন ধরেই বাংলাদেশ শীর্ষ শান্তিরক্ষী পাঠানোর দেশের তালিকায় রয়েছে।


প্রিন্ট

নিউজটি শেয়ার করুন

সশস্ত্র বাহিনী দিবস আজ

আপডেট সময় ০৮:৩৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫

সশস্ত্র বাহিনী দিবস আজ। বাংলাদেশের ইতিহাসে ২১ নভেম্বর এক বিশেষ দিন—যে দিনটি সম্মান, সাহস এবং দেশের প্রতিরক্ষার প্রতীক হিসেবে বিবেচিত। ১৯৭১ সালে এই দিনটিতেই সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী একযোগে যুদ্ধ শুরু করে। এই সমন্বিত আক্রমণই মুক্তিযুদ্ধের বিজয়কে আরও কাছাকাছি নিয়ে যায়। সেই থেকেই দিনটিকে যথাযথ মর্যাদায় পালন করা হয়। মর্যাদাপূর্ণ ও উৎসাহের সঙ্গে এ দিনটি উদযাপিত হচ্ছে। দিবসের অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে দেশের বিভিন্ন সেনানিবাস, নৌঘাঁটি, স্থাপনা এবং বিমান বাহিনী ঘাঁটির মসজিদে ফজরের নামাজের পরে বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে কর্মসূচি শুরু হয়। এই উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। ১৯৭১ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনী বাংলার স্বাধীনতাকামীদের দমন করতে ঝাঁপিয়ে পড়ে। দেশের মাতৃভূমিকে মুক্ত করতে এই সময়ে তিন বাহিনীর সদস্যরা অবিচল প্রতিরোধের দীপ জ্বালিয়ে দেন। তাদের সম্মিলিত আক্রমণে পাকিস্তানিরা ভেঙে পড়ে। নৌবাহিনীর সাহসী ‘অপারেশন জ্যাকপট’, বিমানবাহিনীর একের পর এক আকাশপথের আঘাত এবং সেনাবাহিনীর সম্মুখ যুদ্ধ—সব মিলিয়ে বিজয়ের পথ সুগম হয়। আজ সশস্ত্র বাহিনী শুধু দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করছে না, পাশাপাশি সন্ত্রাস দমন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা, শান্তিরক্ষা মিশন এবং যেকোনো সংকটে সাহসের সঙ্গে এগিয়ে আসে। নতুন প্রযুক্তি, আধুনিক অস্ত্রশস্ত্র, আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণে সশস্ত্র বাহিনী এখন আরও দ্রুত ও দক্ষ। যুদ্ধবিমান চালানো থেকে শান্তিরক্ষা মিশনে নেতৃত্ব দেওয়া—নারী সদস্যরাও এখন বাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ অংশ। অপরাধ নিয়ন্ত্রণে বিশেষ অভিযান, নির্বাচন নিরাপত্তা, মহাসড়ক ও পাহাড়, সমুদ্রের উত্তাল জলরাশি—যেকোনো পরিস্থিতিতে তিন বাহিনী সক্রিয়। বিশ্বের সবচেয়ে কঠিন মিশনেও বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীরা বিশেষ ভূমিকা রাখছে। বহু দিন ধরেই বাংলাদেশ শীর্ষ শান্তিরক্ষী পাঠানোর দেশের তালিকায় রয়েছে।


প্রিন্ট