ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং টোবগে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ঢাকায় পৌঁছেছেন। শনিবার (২২ নভেম্বর) সকাল ৮টায় তিনি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। বিমানবন্দরে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে তাঁকে স্বাগত জানাবেন। পাশাপাশি গার্ড অব অনার প্রদান করা হবে। এর আগে বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্র সচিব মো. আসাদ আলম সিয়াম জানান, বিমানবন্দরে গার্ড অব অনার গ্রহণের পর ভুটানের প্রধানমন্ত্রী সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের স্মৃতিকে শ্রদ্ধা জানাবেন। দুপুরে তিনি পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ও ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। এ ছাড়াও তিনি আরও জানান, একই দিনে প্রধানমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টার মধ্যে একান্ত বৈঠক হবে। এরপর দুদেশের প্রতিনিধিদলের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, যোগাযোগ, শিক্ষা, কৃষি, স্বাস্থ্য, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ, টেলিযোগাযোগ, পর্যটন, সংস্কৃতি, যুব ও ক্রীড়া, শিল্পসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হবে। পররাষ্ট্রসচিব বলেন, এই দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বাংলাদেশ কিছু নির্দিষ্ট প্রস্তাব উত্থাপন করতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, বাণিজ্য, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, কৃষি, পর্যটন ও ক্রীড়া ক্ষেত্রে সহযোগিতার প্রস্তাব। ভুটানে বাংলাদেশের পেশাদার নিয়োগ, ব্যবসা বৃদ্ধি, পানি ব্যবস্থাপনাসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে সহযোগিতা চাওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। আরও আঞ্চলিক ও বহুপাক্ষিক বিষয়েও আলোচনা হবে বলে আশা করা যায়। তিনি আরও জানান, বৈঠক শেষে ভুটানের সঙ্গে আন্তর্জাতিক ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ এবং কৃষি সহযোগিতা সংক্রান্ত তিনটি চুক্তিপত্র স্বাক্ষরিত হতে পারে। এই বিষয়গুলো এখনও আলোচনা চলছে। রাতে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী তাঁর সম্মানে আয়োজিত রাষ্ট্রীয় নৈশভোজে অংশগ্রহণ করবেন। পরের দিন, অর্থাৎ ২৩ নভেম্বর, তিনি বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। বাংলাদেশের কিছু উপদেষ্টাও ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করার সম্ভাবনা রয়েছে। তদ্ব্যতীত, বাংলাদেশের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলও ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে পারেন।