গতকালের ভূমিকম্পে পুরান ঢাকার কসাইটুলীতে একটি পাঁচতলা ভবনের ছাদের রেলিং ভেঙে পড়ে তিনজন পথচারী নিহত হন। এই দুর্ঘটনার পরে আজ শনিবার (২২ নভেম্বর) সেই ভবন পরিদর্শনে যান রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)-এর চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. রিয়াজুল ইসলাম এবং তাঁর দল। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কোনো ধরণের বালু বা সিমেন্ট ব্যবহৃত না করে সরাসরি ভবনের ছাদে রেলিং তৈরি করা হয়। এই কারণেই ভূমিকম্পের কম্পনে সেটি ভেঙে পড়ে। তবে এই ঘটনায় ওই ভবনের মালিকের তিন ভাই এখন পলাতক। এসময় রাজউক চেয়ারম্যান ভবনের মালিকের প্রতিনিধিরূপে উপস্থিত এক নারীর উদ্দেশ্যে বলেন, ‘তোমরা কষ্ট পাচ্ছো না, এই ভাঙনের ফলে তিনজন মারা গেছে। তোমরা এমন একটি জিনিস তৈরি করো, যেখানে বালু বা সিমেন্টের ব্যবহৃত হয় না।’ তিনজনের মৃত্যুর জন্য বাসা মালিককে দায়ী করে তিনি বলেন, ‘তোমাদের জন্যই মারা গেছে, এই জন্য আল্লাহর কাছে তোমাদের জবাবদিহি করতে হবে।’ ভবনটির নকশা সম্পর্কে তিনি আরও বলেন, ‘তুমি আগামী সাত দিনের মধ্যে নকশা দেখাতে চাও। যদি এই সময়ে না দিতে পারো, তাহলে ভবনটি সিলগালা করে বন্ধ করে দেওয়া হবে।’ এর আগে গতকালের ভূমিকম্পের সময় বংশালের কসাইটুলিতে একটি ভবনের রেলিং ভেঙে পড়ে, সেখানে এক শিশুসহ তিনজন নিহত হন। নিহতরা হলেন- ঢাকা স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র রাফিউল ইসলাম (২০), ব্যবসায়ী আবদুর রহিম (৪৮), এবং তাঁর ছেলে আবদুল আজিজ ওরফে রিমন (১২)।