, সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
সংবাদের বিষয়ে কিছু জানাতে ইমেইল করুন [email protected] ঠিকানায়

দেশের যেসব অঞ্চল ভূমিকম্পের সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০২:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫
  • / ১৫ বার পড়া হয়েছে

রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে গতকাল (শুক্রবার) দারুণ ভারি ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। মাত্র এক দিনের মধ্যে আজ শনিবার আশুলিয়ার বাইপাইলে আবারো ভূ-কম্পন অনুভূত হয়েছে। দেশের বিভিন্ন অংশে এ ধরনের একের পর এক ভূমিকম্প হওয়া বিপদ সংকেত হিসেবে বিবেচনা করছেন ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞরা। ভূতত্ত্ববিদরা জানাচ্ছেন, পৃথিবীর ভূখণ্ড সাতটি প্লেট ও অসংখ্য ক্ষুদ্র সাব-প্লেটের সমন্বয়ে গঠিত, যা নরম পদার্থের উপরে ভাসমান। যখন এই প্লেটগুলো সরে যায়, নড়াচড়া করে বা একে অন্যকে ধাক্কা দেয়, তখন ইলাস্টিক শক্তি জমা হতে শুরু করে। বাংলাদেশ ভূ-তাত্ত্বিক দৃষ্টিকোণ থেকে তিনটি বৃহৎ প্লেটের সংযোগস্থলে অবস্থিত, যেখানে ক্রমশই চিড়ে পড়ার আশঙ্কা বাড়ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, জমা শক্তি যখন শিলার ধারণক্ষমতা অতিক্রম করে, তখন সেই শক্তি নতুন বা বিদ্যমান ফাটলের মাধ্যমে মুক্ত হয়। এর ফলে ভূ-পৃষ্ঠে কম্পন সৃষ্টি হয়। বাংলাদেশের ইন্ডিয়ান-বর্মা প্লেটের সংযোগস্থলে একশো বছরের বেশি সময় ধরে শক্তি জমা হয়েছে, যার প্রভাবে ৮ থেকে ৯ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পের আশঙ্কা করছে বিশেষজ্ঞ ড. সৈয়দ হুমায়ুন আখতার। তিনি বলছেন, ‘পূর্বে অবস্থিত বার্মা প্লেট ও পশ্চিমে ভারতের প্লেটের সংযোগস্থলের ওপরের অংশটিকে অর্থাৎ সুনামগঞ্জ থেকে শুরু করে পূর্বে মণিপুর ও মিজোরাম পর্যন্ত এলাকাটি লকড হয়ে রয়েছে, যা এখন ধীরে ধীরে সক্রিয় হচ্ছে। ভারতীয় প্লেট পূর্বদিকে এবং বার্মা প্লেট পশ্চিমদিকে সরছে, ফলে বার্মা প্লেটের নিচে ভারতীয় প্লেট তলিয়ে যাচ্ছে। এই ‘সাবডাকশন জোন’-এ ৮.২ থেকে ৯ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পের জন্য শক্তি জমা হয়েছে।’ ভূমিকম্পে বাংলাদেশের কোন অঞ্চল সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ, এ বিষয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান রুবাইয়াত কবির বলেন, ‘দেশের ‘আর্থকোয়েক রিস্ক জোন’-এর মধ্যে উত্তর-পূর্বাঞ্চল সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। সিলেট, ময়মনসিংহ ও নেত্রকোনা এই এলাকাগুলোতে ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। মধ্যাঞ্চলে রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার মাঝারি ঝুঁকিতে রয়েছে, আর খুলনা ও সাতক্ষীরা তুলনামূলকভাবে কম ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা।’


প্রিন্ট

নিউজটি শেয়ার করুন

দেশের যেসব অঞ্চল ভূমিকম্পের সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে

আপডেট সময় ০২:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫

রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে গতকাল (শুক্রবার) দারুণ ভারি ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। মাত্র এক দিনের মধ্যে আজ শনিবার আশুলিয়ার বাইপাইলে আবারো ভূ-কম্পন অনুভূত হয়েছে। দেশের বিভিন্ন অংশে এ ধরনের একের পর এক ভূমিকম্প হওয়া বিপদ সংকেত হিসেবে বিবেচনা করছেন ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞরা। ভূতত্ত্ববিদরা জানাচ্ছেন, পৃথিবীর ভূখণ্ড সাতটি প্লেট ও অসংখ্য ক্ষুদ্র সাব-প্লেটের সমন্বয়ে গঠিত, যা নরম পদার্থের উপরে ভাসমান। যখন এই প্লেটগুলো সরে যায়, নড়াচড়া করে বা একে অন্যকে ধাক্কা দেয়, তখন ইলাস্টিক শক্তি জমা হতে শুরু করে। বাংলাদেশ ভূ-তাত্ত্বিক দৃষ্টিকোণ থেকে তিনটি বৃহৎ প্লেটের সংযোগস্থলে অবস্থিত, যেখানে ক্রমশই চিড়ে পড়ার আশঙ্কা বাড়ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, জমা শক্তি যখন শিলার ধারণক্ষমতা অতিক্রম করে, তখন সেই শক্তি নতুন বা বিদ্যমান ফাটলের মাধ্যমে মুক্ত হয়। এর ফলে ভূ-পৃষ্ঠে কম্পন সৃষ্টি হয়। বাংলাদেশের ইন্ডিয়ান-বর্মা প্লেটের সংযোগস্থলে একশো বছরের বেশি সময় ধরে শক্তি জমা হয়েছে, যার প্রভাবে ৮ থেকে ৯ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পের আশঙ্কা করছে বিশেষজ্ঞ ড. সৈয়দ হুমায়ুন আখতার। তিনি বলছেন, ‘পূর্বে অবস্থিত বার্মা প্লেট ও পশ্চিমে ভারতের প্লেটের সংযোগস্থলের ওপরের অংশটিকে অর্থাৎ সুনামগঞ্জ থেকে শুরু করে পূর্বে মণিপুর ও মিজোরাম পর্যন্ত এলাকাটি লকড হয়ে রয়েছে, যা এখন ধীরে ধীরে সক্রিয় হচ্ছে। ভারতীয় প্লেট পূর্বদিকে এবং বার্মা প্লেট পশ্চিমদিকে সরছে, ফলে বার্মা প্লেটের নিচে ভারতীয় প্লেট তলিয়ে যাচ্ছে। এই ‘সাবডাকশন জোন’-এ ৮.২ থেকে ৯ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পের জন্য শক্তি জমা হয়েছে।’ ভূমিকম্পে বাংলাদেশের কোন অঞ্চল সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ, এ বিষয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান রুবাইয়াত কবির বলেন, ‘দেশের ‘আর্থকোয়েক রিস্ক জোন’-এর মধ্যে উত্তর-পূর্বাঞ্চল সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। সিলেট, ময়মনসিংহ ও নেত্রকোনা এই এলাকাগুলোতে ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। মধ্যাঞ্চলে রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার মাঝারি ঝুঁকিতে রয়েছে, আর খুলনা ও সাতক্ষীরা তুলনামূলকভাবে কম ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা।’


প্রিন্ট