, সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
সংবাদের বিষয়ে কিছু জানাতে ইমেইল করুন [email protected] ঠিকানায়

বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে ২ সমঝোতা স্মারক সই

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৫:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫
  • / ১৭ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে স্বাস্থ্যের উন্নয়ন ও ইন্টারনেট সংযোগের বিষয়ে দুটি চুক্তিপত্র স্বাক্ষরিত হয়েছে। এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে। তারা উভয় দলিলের আদান-প্রদান করেন এবং পর্যবেক্ষণ করেন। শনিবার (২২ নভেম্বর) দুই দেশের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর এই দুটি চুক্তিপত্র সম্পাদিত হয়।

প্রথম চুক্তিপত্রটি—‘স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগের ব্যবস্থা’—বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ এবং ভুটানের স্বাস্থ্যমন্ত্রালয়ের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এই দলিলে স্বাক্ষর করেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমান।

দ্বিতীয় চুক্তিপত্রটি—‘আন্তর্জাতিক ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ ও অন্যান্য টেলিযোগাযোগ পরিষেবার বাণিজ্য’—ভুটানের স্বরাষ্ট্র ও যোগাযোগ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশের সরকারের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়। বাংলাদেশের পক্ষে এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব আব্দুন নাসের খান।

এছাড়াও, তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে দুই নেতার মধ্যে একান্ত বৈঠক (টেট-আ-টেট) ও আনুষ্ঠানিক দ্বিপাক্ষিক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আমন্ত্রণে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে শনিবার সকালে ঢাকায় পৌঁছান। সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে তার বহনকারী ড্রুকএয়ার ফ্লাইট হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করলে তাকে স্বাগত জানান প্রধান উপদেষ্টা।

বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে দুই নেতার মধ্যে সংক্ষিপ্ত সাক্ষাৎ হয়। এ সময় তোবগে শুক্রবার (২১ নভেম্বর) ভূকম্পনের ফলে ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানির বিষয়ে খোঁজ নেন এবং নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেন।

বৈঠকের পর ভুটানের প্রধানমন্ত্রীকে সম্মানসূচক বেদিতে নেওয়া হয়, যেখানে তাকে ১৯টি বন্দুকের সালুটি ও গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়।

বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে যান, সেখানে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি স্মৃতিসৌধের বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও একটি বৃক্ষ রোপণ করেন।

দুপুরে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীকে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এম. তৌহিদ হোসেন ও বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন।

সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে এক সংবর্ধনাসভার আয়োজন করা হয়, সেখানে তিনি উপস্থিত থাকবেন।


প্রিন্ট
ট্যাগস

নিউজটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে ২ সমঝোতা স্মারক সই

আপডেট সময় ০৫:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫

বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে স্বাস্থ্যের উন্নয়ন ও ইন্টারনেট সংযোগের বিষয়ে দুটি চুক্তিপত্র স্বাক্ষরিত হয়েছে। এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে। তারা উভয় দলিলের আদান-প্রদান করেন এবং পর্যবেক্ষণ করেন। শনিবার (২২ নভেম্বর) দুই দেশের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর এই দুটি চুক্তিপত্র সম্পাদিত হয়।

প্রথম চুক্তিপত্রটি—‘স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগের ব্যবস্থা’—বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ এবং ভুটানের স্বাস্থ্যমন্ত্রালয়ের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এই দলিলে স্বাক্ষর করেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমান।

দ্বিতীয় চুক্তিপত্রটি—‘আন্তর্জাতিক ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ ও অন্যান্য টেলিযোগাযোগ পরিষেবার বাণিজ্য’—ভুটানের স্বরাষ্ট্র ও যোগাযোগ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশের সরকারের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়। বাংলাদেশের পক্ষে এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব আব্দুন নাসের খান।

এছাড়াও, তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে দুই নেতার মধ্যে একান্ত বৈঠক (টেট-আ-টেট) ও আনুষ্ঠানিক দ্বিপাক্ষিক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আমন্ত্রণে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে শনিবার সকালে ঢাকায় পৌঁছান। সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে তার বহনকারী ড্রুকএয়ার ফ্লাইট হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করলে তাকে স্বাগত জানান প্রধান উপদেষ্টা।

বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে দুই নেতার মধ্যে সংক্ষিপ্ত সাক্ষাৎ হয়। এ সময় তোবগে শুক্রবার (২১ নভেম্বর) ভূকম্পনের ফলে ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানির বিষয়ে খোঁজ নেন এবং নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেন।

বৈঠকের পর ভুটানের প্রধানমন্ত্রীকে সম্মানসূচক বেদিতে নেওয়া হয়, যেখানে তাকে ১৯টি বন্দুকের সালুটি ও গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়।

বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে যান, সেখানে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি স্মৃতিসৌধের বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও একটি বৃক্ষ রোপণ করেন।

দুপুরে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীকে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এম. তৌহিদ হোসেন ও বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন।

সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে এক সংবর্ধনাসভার আয়োজন করা হয়, সেখানে তিনি উপস্থিত থাকবেন।


প্রিন্ট