খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে নিয়ে সুখবর দিলেন তথ্য উপদেষ্টা
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাবেক ইউপি সদস্যের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার
শ্রীলঙ্কায় ভয়াবহ বন্যায় মৃতের সংখ্যা অন্তত ১৯৩
ইসরায়েলি প্রেসিডেন্টের কাছে ক্ষমা চাইলেন নেতানিয়াহু
হাসপাতালে খালেদা জিয়াকে দেখতে গেলেন তামিম ইকবাল
নোয়াখালীতে খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় কোরআন খতম ও দোয়া
মসজিদে বিয়ে ও সমালোচনা নিয়ে মুখ খুললেন শবনম ফারিয়া
দেশে বাড়লো সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম
ইসরায়েলি হামলার গাজায় নিহত ৭০ হাজারের বেশি
খাদ্য অধিদপ্তরের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস
জমির শ্রেণি প্রতারণা করে কর ফাঁকি দিলে থাকছে শাস্তির বিধান
- আপডেট সময় ১১:০০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫
- / ১৭ বার পড়া হয়েছে
ভূমি নিবন্ধন শেষ হওয়ার পরে বালাম বইয়ে অন্তর্ভুক্তি সম্পন্ন হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য ক্রেতাকে নোটিশ দেওয়ার নিয়ম চালু করার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন আইন কমিশনের চেয়ারম্যান জিনাত আরা। পাশাপাশি দলিলে জমির শ্রেণি জালিয়াতির মাধ্যমে পরিবর্তন করে কর ফাঁকি দেওয়া হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের শাস্তির আওতায় আনার প্রস্তাবও রেখেছেন তিনি। এ বিষয়ে এক মতবিনিময় সভায়, যেখানে অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ের সলিসিটর অনুবিভাগের সভাকক্ষে ‘দ্য রেজিস্ট্রেশন (সংশোধিত) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ বিষয়ক আলোচনা হয়, তিনি এসব কথা বলেন। শনিবার (২২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এই সভার আয়োজন করে আইন মন্ত্রণালয় ও বিচার বিভাগ। খসড়া অনুযায়ী, এক বছরের মধ্যে জমির রেজিস্ট্রির মূল দলিল পক্ষকে সরবরাহ করতে হবে—এমন প্রস্তাবের প্রসঙ্গে জিনাত আরা বলেন, ‘দেখা যাচ্ছে, জমি রেজিস্ট্রেশনের পর বারবার লোক পাঠাতে হয়। বালামে? না, হয়নি।…ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতাও নিশ্চয়ই কারও কারও আছে। তাই রেজিস্ট্রেশন শেষে অবশ্যই একটি নোটিশের ব্যবস্থা থাকতে হবে। ৩০ দিনের মধ্যে ক্রেতা বা মনোনীত ব্যক্তিকে নোটিশ দিয়ে জানাতে হবে, যে বালামে জমির অন্তর্ভুক্তি হয়েছে। না হলে মানুষ জানতে পারবে না।’ দেশে ভূমি জরিপ অনেক দীর্ঘ বিরতিতে হয় জানিয়ে, তিনি বলেন, এই সময়ে অনেক জমির প্রকৃতি ও শ্রেণি বদলে যায়। প্রকৃত জমির শ্রেণি একই থাকলেও দলিলে অনেক সময় ভিন্নভাবে দেখানো হয়। এই জালিয়াতি রোধে, যেখানে জমির শ্রেণি পরিবর্তন করে কর ফাঁকি দেওয়া হয়, সেখানে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের শাস্তির ব্যবস্থা করতে প্রস্তাব করেছেন তিনি। গুলশান ও কিছু এলাকায় ‘মৌজা রেট’ যা হওয়া উচিত, তার তুলনায় অনেক কম বলে সভায় উল্লেখ করেন জিনাত আরা। তিনি বলেন, দলিল নির্ধারিত মৌজার রেটে করে, তার উপরে যায় না।…দুর্ভাগ্যবশত অনেক সময় বলা হয়, ওই মৌজা রেট তো—এমন আছে। এর উপরে করা যাবে না। কিন্তু আইনটির উদ্দেশ্য তা নয়। আসলে মূল মূল্যটি লেখা হয় না। মূল মূল্য না লিখে মৌজা রেটের জন্য দুটি বিষয় হয়। একটি হলো কালোটাকা বা দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত অর্থ জমি কেনার কাজে লাগানো। অন্যটি হলো দেশে জমি রেজিস্ট্রেশন, অগ্রিম করসহ অতিরিক্ত ব্যয়, যা বিশ্বের অন্য কোথাও হয় না বলে মনে হয়।’ সরকারের রাজস্বের কোনো ক্ষতি হবে না: জিনাত আরা বলেন, যদি মৌজা রেটে প্রকৃত বাজার মূল্য নির্ধারণ করা যায় এবং রেজিস্ট্রেশন খরচ, অগ্রিম করসহ সব খরচ কমানো যায়; তাহলে সরকারের রাজস্বেও কোনো ক্ষতি হবে না। বরং মনে হয়, যারা কম দামে জমি বিক্রি করেন, তাঁদের জন্য কিছু রিলিফ থাকবে। আলোচনা শেষে, জানানো হয় যে, রেজিস্ট্রেশন আইনটি ১৯০৮ সালে প্রণীত হয়েছিল, যা ২০০৪ সালে শেষবার সংশোধন করা হয়। জনগণের সুবিধার জন্য, রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সহজ ও স্বচ্ছ করতে, অধ্যাদেশের মাধ্যমে আইন সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। খসড়ার মূল দিকগুলো হলো: ডিজিটাইজড রেজিস্ট্রেশন পদ্ধতি চালু করা, অনলাইনে রেজিস্ট্রেশনের বিধান সংযোজন এবং নতুন বিধি প্রণয়ন; জমির বায়নানামার জন্য ৩০ দিনের পরিবর্তে ৬০ দিন সময়ের প্রস্তাব; দেশের বাইরে সম্পাদিত চুক্তি চার মাসের মধ্যে রেজিস্ট্রির বাধ্যবাধকতা থাকলেও, যৌক্তিক কারণে এই সময়সীমা দুই মাস বাড়ানোর প্রস্তাব। পাশাপাশি, বিক্রয় দলিলের জন্য নামজারির বিধান থাকলেও, খসড়ায় গিফট দলিল (হেবানামা) এর ক্ষেত্রেও নামজারি ও অন্যান্য শর্ত প্রয়োগের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। রেজিস্ট্রেশন শেষ হওয়ার এক বছর内 মূল দলিল প্রদানও প্রস্তাবিত। সভায় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, আইন মন্ত্রণালয় ও সুপ্রিম কোর্টের প্রতিনিধিরা, যেমন: বোরহান উদ্দিন খান, মো. শহিদুল ইসলাম, তানিম হোসেইন শাওন, নাইম আহমেদ, মো. মইনুল হাসান, কুদ্দুস জামিলুর রহমান প্রমুখ।
প্রিন্ট














