খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে নিয়ে সুখবর দিলেন তথ্য উপদেষ্টা
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাবেক ইউপি সদস্যের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার
শ্রীলঙ্কায় ভয়াবহ বন্যায় মৃতের সংখ্যা অন্তত ১৯৩
ইসরায়েলি প্রেসিডেন্টের কাছে ক্ষমা চাইলেন নেতানিয়াহু
হাসপাতালে খালেদা জিয়াকে দেখতে গেলেন তামিম ইকবাল
নোয়াখালীতে খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় কোরআন খতম ও দোয়া
মসজিদে বিয়ে ও সমালোচনা নিয়ে মুখ খুললেন শবনম ফারিয়া
দেশে বাড়লো সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম
ইসরায়েলি হামলার গাজায় নিহত ৭০ হাজারের বেশি
খাদ্য অধিদপ্তরের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস
‘পা দিয়ে চেপে ধরে মেজর সিনহার মৃত্যু নিশ্চিত করেন ওসি প্রদীপ’ — হাইকোর্ট
- আপডেট সময় ১০:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫
- / ১৪ বার পড়া হয়েছে
হাইকোর্ট মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খানের হত্যা মামলায় ওসি প্রদীপ কুমার দাশকে ‘মূল পরিকল্পনাকারী’ এবং ‘মাস্টারমাইন্ড’ হিসেবে উল্লেখ করেছে। আদালত উল্লেখ করে, ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে তিনি সিনহার বুকের উপর জুতা পরা পা দিয়ে জোরে আঘাত করেন এবং গলার বাম পাশে পা চেপে ধরে মৃত্যু নিশ্চিত করেন। প্রসিকিউশনের সাক্ষ্য ও ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে। বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও বিচারপতি মো. সগীর হোসেনের বেঞ্চ থেকে ৩৭৮ পৃষ্ঠার সম্পূর্ণ রায় প্রকাশিত হয়েছে। গত ২ জুন প্রকাশিত রায় অনুযায়ী, বিচারিক আদালতের সিদ্ধান্তই বহাল থাকছে। মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ এবং বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের তৎকালীন পরিদর্শক লিয়াকত আলী। যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন বরখাস্ত এসআই নন্দ দুলাল রক্ষিত, সাগর দেব, রুবেল শর্মা, পাশাপাশি মামলার সাক্ষী নুরুল আমিন, নেজামুদ্দিন ও আয়াজ উদ্দিন। রায়ে হাইকোর্ট জানায়, প্রদীপ পরিকল্পিতভাবে সিনহার বুকের উপর আঘাত করে দুটি হাড় ভেঙে দেন এবং গলায় পা চেপে মৃত্যুর নিশ্চিত করেন। অন্যদিকে, লিয়াকত আলী পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী সিনহার উপর একের পর এক চারটি গুলি চালান, যা ময়নাতদন্তে মৃত্যুর কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। আদালত আরও উল্লেখ করে, ঘটনার সঙ্গে ষড়যন্ত্র, সহায়তা ও সাধারণ অভিপ্রায়ের অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তদের শাস্তিও যৌক্তিক। ফলে রায় পরিবর্তনের কোনো সুযোগ নেই। ২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মেজর (অব.) সিনহা। ২০২২ সালের ৩১ জানুয়ারি কক্সবাজারের আদালত দুইজনকে মৃত্যুদণ্ড ও ছয়জনকে যাবজ্জীবন দণ্ড দেয়। পরে মামলাটি ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের মাধ্যমে হাইকোর্টে প্রবেশ করে। হাইকোর্ট প্রদীপ ও লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ডই বহাল রেখেছে। রায়ের অনুলিপি পাওয়ার পর আসামিপক্ষ আপিল বিভাগে আপিল করবে। মামলার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে আপিল বিভাগে।
প্রিন্ট














