, সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
সংবাদের বিষয়ে কিছু জানাতে ইমেইল করুন [email protected] ঠিকানায়

ই-পারিবারিক আদালতের মাধ্যমে দুর্নীতি কমবে, বাঁচবে সময়: আইন উপদেষ্টা

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:৫০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৫
  • / ১৪ বার পড়া হয়েছে

আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, দেশের ই-পরিবারিক আদালত চালু হলে ভোগান্তি ও দুর্নীতি কমে আসবে। সোমবার (২৪ নভেম্বর) সকালে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে ই-পরিবারিক আদালতের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এই মন্তব্য করেন।

তিনি আরও বলেন, ই-পরিবারিক আদালতের মাধ্যমে নিঃসন্দেহে ভোগান্তি ও দুর্নীতির পরিমাণ কমবে, পাশাপাশি সময়ও বাঁচবে। প্রধান উপদেষ্টার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হলো হোয়াটসঅ্যাপ। তিনি নিজেও হোয়াটসঅ্যাপে বেশি কাজ করেন। তাই আমাদেরও ডিজিটালাইজেশনের দিকে এগিয়ে যাওয়া উচিত।

‘আমাদেরকে ধন্যবাদ দেয়ার প্রয়োজন নেই। শুধু এটুকু মনে রাখবেন, এটা যেন আপনারা সন্তানের মতো দেখভাল করেন,’ এ কথাও জানান ড. আসিফ নজরুল।

তিনি আরও বলেন, আমরা আইন মন্ত্রণালয়ে মোট ২১টি রিফর্ম বাস্তবায়ন করেছি। আশা করি, ভবিষ্যত সরকারের কাছে এই পরিবর্তনগুলো ভালোবাসা ও যত্নের সঙ্গে রক্ষা করবেন। তাই পরবর্তী সরকারের প্রতি আমাদের অনুরোধ, এই উদ্যোগগুলো অব্যাহত রাখতে।

ড. আসিফ নজরুল জানান, ‘বিনা পয়সায় লিগ্যাল এইডে সাহায্য পেয়ে আপনি বিচার পাবেন। পারিবারিক মামলার ক্ষেত্রে এটি বাধ্যতামূলক করে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে ২০টি জেলায় এটি চালু হয়েছে, বাকিগুলোর জন্য ৬৪টি জেলায় এটি চালু করা হবে। আশাকরি, পাঁচ বছরের মধ্যে মামলার জট ৫০ শতাংশ কমে যাবে।’

তিনি আরও বলেন, সিঙ্গাপুরকে সংস্কার করতে সময় লেগেছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী লি কুয়ান ইউর। এই জন্য রাতারাতি পরিবর্তন সম্ভব নয়। যে সংস্কার দেশের মানুষের গ্রহণযোগ্যতা পাওয়ার মতো নয়, সেই ধরণের সংস্কার করতে গিয়ে রাষ্ট্রের কাঠামো দুর্বল করে দেওয়া যাবে না। পরিবর্তন গ্রহণের জন্য দেশের মানুষকে প্রস্তুত করতে হবে। বাস্তবতার সঙ্গে তাল মিলিয়ে সংস্কার কার্যকর করতে হবে।


প্রিন্ট
ট্যাগস

নিউজটি শেয়ার করুন

ই-পারিবারিক আদালতের মাধ্যমে দুর্নীতি কমবে, বাঁচবে সময়: আইন উপদেষ্টা

আপডেট সময় ১০:৫০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৫

আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, দেশের ই-পরিবারিক আদালত চালু হলে ভোগান্তি ও দুর্নীতি কমে আসবে। সোমবার (২৪ নভেম্বর) সকালে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে ই-পরিবারিক আদালতের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এই মন্তব্য করেন।

তিনি আরও বলেন, ই-পরিবারিক আদালতের মাধ্যমে নিঃসন্দেহে ভোগান্তি ও দুর্নীতির পরিমাণ কমবে, পাশাপাশি সময়ও বাঁচবে। প্রধান উপদেষ্টার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হলো হোয়াটসঅ্যাপ। তিনি নিজেও হোয়াটসঅ্যাপে বেশি কাজ করেন। তাই আমাদেরও ডিজিটালাইজেশনের দিকে এগিয়ে যাওয়া উচিত।

‘আমাদেরকে ধন্যবাদ দেয়ার প্রয়োজন নেই। শুধু এটুকু মনে রাখবেন, এটা যেন আপনারা সন্তানের মতো দেখভাল করেন,’ এ কথাও জানান ড. আসিফ নজরুল।

তিনি আরও বলেন, আমরা আইন মন্ত্রণালয়ে মোট ২১টি রিফর্ম বাস্তবায়ন করেছি। আশা করি, ভবিষ্যত সরকারের কাছে এই পরিবর্তনগুলো ভালোবাসা ও যত্নের সঙ্গে রক্ষা করবেন। তাই পরবর্তী সরকারের প্রতি আমাদের অনুরোধ, এই উদ্যোগগুলো অব্যাহত রাখতে।

ড. আসিফ নজরুল জানান, ‘বিনা পয়সায় লিগ্যাল এইডে সাহায্য পেয়ে আপনি বিচার পাবেন। পারিবারিক মামলার ক্ষেত্রে এটি বাধ্যতামূলক করে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে ২০টি জেলায় এটি চালু হয়েছে, বাকিগুলোর জন্য ৬৪টি জেলায় এটি চালু করা হবে। আশাকরি, পাঁচ বছরের মধ্যে মামলার জট ৫০ শতাংশ কমে যাবে।’

তিনি আরও বলেন, সিঙ্গাপুরকে সংস্কার করতে সময় লেগেছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী লি কুয়ান ইউর। এই জন্য রাতারাতি পরিবর্তন সম্ভব নয়। যে সংস্কার দেশের মানুষের গ্রহণযোগ্যতা পাওয়ার মতো নয়, সেই ধরণের সংস্কার করতে গিয়ে রাষ্ট্রের কাঠামো দুর্বল করে দেওয়া যাবে না। পরিবর্তন গ্রহণের জন্য দেশের মানুষকে প্রস্তুত করতে হবে। বাস্তবতার সঙ্গে তাল মিলিয়ে সংস্কার কার্যকর করতে হবে।


প্রিন্ট