, সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
সংবাদের বিষয়ে কিছু জানাতে ইমেইল করুন [email protected] ঠিকানায়

প্রিপেইড মিটারের ডিমান্ড চার্জ ও ভাড়া নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত জানালো বিদ্যুৎ বিভাগ

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০১:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৫
  • / ৪ বার পড়া হয়েছে

বিদ্যুৎ বিভাগ জানিয়েছে, প্রিপেইড মিটার ব্যবহারের ক্ষেত্রে প্রথম রিচার্জের সময় প্রতি মাসে ডিমান্ড চার্জ ও মিটার ভাড়া কেটে নেওয়া হয়। অন্য কোনো মাসে রিচার্জ না করলে পরবর্তী মাসে সেই বকেয়া সামঞ্জস্য করা হয়। বুধবার (২৬ নভেম্বর) একটি বার্তায় এ তথ্য প্রকাশ করে বিদ্যুৎ বিভাগ। বার্তায় উল্লেখ করা হয়, প্রিপেইড ও পোস্ট-পেইড দুই ধরনের মিটারের ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ ব্যবহারের পরিমাণ ও খরচ সমান। প্রিপেইড মিটার থেকে বিদ্যুৎ ব্যবহার করার জন্য রিচার্জের ওপর সরকার ০.৫ শতাংশ রিবেট বা ছাড় দেয়। প্রিপেইড মিটার সংযোগের জন্য কোনো নিরাপত্তা জামানত লাগে না। তবে, অনুমোদিত লোডের বিপরীতে ডিমান্ড চার্জ কিলোওয়াট প্রতি মাসে ৪২ টাকা (আবাসিক গ্রাহকের জন্য) ও ভ্যাট ৫ শতাংশ কাটা হয়, যেমনটি পোস্ট-পেইড মিটারে হয়। এর পাশাপাশি, বিতরণ সংস্থা থেকে সরবরাহকৃত মিটারের ক্ষেত্রে মাসে সিঙ্গেল ফেজের জন্য ৪০ টাকা ও থ্রি ফেজের জন্য ২৫০ টাকা ভাড়া ধরা হয়। যদি প্রাকৃতিক বা যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে মিটার নষ্ট হয়, তবে বিনামূল্যে নতুন মিটার প্রদান করা হয়। গ্রাহকের নিজস্ব মিটার থাকলে ভাড়া থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। আরও জানানো হয়েছে, গ্রাহক নিজের আর্থিক ক্ষমতা অনুযায়ী প্রিপেইড মিটার রিচার্জ করতে পারেন। অনলাইনে বিকাশ, নগদ, জিপি, রবি, উপায়, ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে যেকোনো সময় ও স্থান থেকে রিচার্জের সুবিধা রয়েছে, যা সময় ও অর্থের সাশ্রয় করে। সংস্থার ভেন্ডিং স্টেশন, পস এজেন্ট বা ব্যাংক বুথ থেকেও রিচার্জ সম্ভব। এতে করে, দ্রুতই মিটার থেকে এনার্জি ব্যালেন্স জানা যায়, ব্যালেন্স কমে গেলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে অ্যালার্ম ও নোটিফিকেশন দেওয়া হয়। বিদ্যুৎ বিভাগ জানিয়েছে, প্রিপেইড মিটার ব্যালেন্স শেষ হলে, গ্রাহক বিকেল ৪টা থেকে পরের দিন সকাল ১০টা পর্যন্ত, সপ্তাহের ছুটির দিন (শুক্রবার ও শনিবার) ও জরুরি পরিস্থিতিতে ক্রেডিট ফ্যাসিলিটি ব্যবহার করতে পারেন। এই অবস্থায়, অতীতের বকেয়া বা অগ্রিম ব্যালেন্স থেকে মিটারে জমা হয়, যা পরবর্তী রিচার্জের সময় কাটা হয়। যদি পরবর্তী মাসে রিচার্জ না হয়, তবে অবশিষ্ট ব্যালেন্সের ওপরই সেই মাসের খরচ কাটা হয়। তবে, জমা থাকা ব্যালেন্স থেকে ডিমান্ড চার্জ ও মিটার ভাড়া কাটা হয় না; শুধুমাত্র প্রথম রিচার্জের সময়ই কাটা হয়। রিচার্জ না করলে, পূর্বের মাসের সব বকেয়া ডিমান্ড চার্জ ও ভাড়ার বকেয়া স্বয়ংক্রিয়ভাবে কেটে নেওয়া হয়।


প্রিন্ট
ট্যাগস

নিউজটি শেয়ার করুন

প্রিপেইড মিটারের ডিমান্ড চার্জ ও ভাড়া নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত জানালো বিদ্যুৎ বিভাগ

আপডেট সময় ০১:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৫

বিদ্যুৎ বিভাগ জানিয়েছে, প্রিপেইড মিটার ব্যবহারের ক্ষেত্রে প্রথম রিচার্জের সময় প্রতি মাসে ডিমান্ড চার্জ ও মিটার ভাড়া কেটে নেওয়া হয়। অন্য কোনো মাসে রিচার্জ না করলে পরবর্তী মাসে সেই বকেয়া সামঞ্জস্য করা হয়। বুধবার (২৬ নভেম্বর) একটি বার্তায় এ তথ্য প্রকাশ করে বিদ্যুৎ বিভাগ। বার্তায় উল্লেখ করা হয়, প্রিপেইড ও পোস্ট-পেইড দুই ধরনের মিটারের ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ ব্যবহারের পরিমাণ ও খরচ সমান। প্রিপেইড মিটার থেকে বিদ্যুৎ ব্যবহার করার জন্য রিচার্জের ওপর সরকার ০.৫ শতাংশ রিবেট বা ছাড় দেয়। প্রিপেইড মিটার সংযোগের জন্য কোনো নিরাপত্তা জামানত লাগে না। তবে, অনুমোদিত লোডের বিপরীতে ডিমান্ড চার্জ কিলোওয়াট প্রতি মাসে ৪২ টাকা (আবাসিক গ্রাহকের জন্য) ও ভ্যাট ৫ শতাংশ কাটা হয়, যেমনটি পোস্ট-পেইড মিটারে হয়। এর পাশাপাশি, বিতরণ সংস্থা থেকে সরবরাহকৃত মিটারের ক্ষেত্রে মাসে সিঙ্গেল ফেজের জন্য ৪০ টাকা ও থ্রি ফেজের জন্য ২৫০ টাকা ভাড়া ধরা হয়। যদি প্রাকৃতিক বা যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে মিটার নষ্ট হয়, তবে বিনামূল্যে নতুন মিটার প্রদান করা হয়। গ্রাহকের নিজস্ব মিটার থাকলে ভাড়া থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। আরও জানানো হয়েছে, গ্রাহক নিজের আর্থিক ক্ষমতা অনুযায়ী প্রিপেইড মিটার রিচার্জ করতে পারেন। অনলাইনে বিকাশ, নগদ, জিপি, রবি, উপায়, ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে যেকোনো সময় ও স্থান থেকে রিচার্জের সুবিধা রয়েছে, যা সময় ও অর্থের সাশ্রয় করে। সংস্থার ভেন্ডিং স্টেশন, পস এজেন্ট বা ব্যাংক বুথ থেকেও রিচার্জ সম্ভব। এতে করে, দ্রুতই মিটার থেকে এনার্জি ব্যালেন্স জানা যায়, ব্যালেন্স কমে গেলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে অ্যালার্ম ও নোটিফিকেশন দেওয়া হয়। বিদ্যুৎ বিভাগ জানিয়েছে, প্রিপেইড মিটার ব্যালেন্স শেষ হলে, গ্রাহক বিকেল ৪টা থেকে পরের দিন সকাল ১০টা পর্যন্ত, সপ্তাহের ছুটির দিন (শুক্রবার ও শনিবার) ও জরুরি পরিস্থিতিতে ক্রেডিট ফ্যাসিলিটি ব্যবহার করতে পারেন। এই অবস্থায়, অতীতের বকেয়া বা অগ্রিম ব্যালেন্স থেকে মিটারে জমা হয়, যা পরবর্তী রিচার্জের সময় কাটা হয়। যদি পরবর্তী মাসে রিচার্জ না হয়, তবে অবশিষ্ট ব্যালেন্সের ওপরই সেই মাসের খরচ কাটা হয়। তবে, জমা থাকা ব্যালেন্স থেকে ডিমান্ড চার্জ ও মিটার ভাড়া কাটা হয় না; শুধুমাত্র প্রথম রিচার্জের সময়ই কাটা হয়। রিচার্জ না করলে, পূর্বের মাসের সব বকেয়া ডিমান্ড চার্জ ও ভাড়ার বকেয়া স্বয়ংক্রিয়ভাবে কেটে নেওয়া হয়।


প্রিন্ট