বিশ্বের বিভিন্ন শহরে জলবায়ু পরিবর্তনসহ নানা কারণে বাতাসের দূষণের মাত্রা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঢাকাও এই তালিকার বাইরে নয়। শনিবার (২৯ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বাতাসের মান পর্যবেক্ষণকারী প্রযুক্তি সংস্থা আইকিউএয়ারের প্রকাশিত সূচকে দেখা যায়, বাতাসের দূষণের কারণে ঢাকা বিশ্বের ১২৫টি শহরের মধ্যে শীর্ষ দুইয়ে অবস্থান করছে। শহরটির বাতাসের মানের স্কোর ২৬৪, যা নাগরিকদের জন্য ‘অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর’ বলে বিবেচিত হয়। এই পরিস্থিতিতে জানালা বন্ধ রাখার পাশাপাশি রাজধানীবাসীদের বাইরে গেলে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে আইকিউএয়ার।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, সূচকের শীর্ষে রয়েছে মিশরের কায়রো। শহরটির বাতাসের মানের স্কোর ৪৮৬, যা ‘অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে গণ্য। দ্বিতীয় স্থানে আছে ভারতের দিল্লি, যার স্কোর ২৫৩। এরপর তালিকায় রয়েছে কলকাতা, যার স্কোর ২২, যা শীর্ষ পাঁচের মধ্যে। তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে উজবেকিস্তানের তাশখন্দ, স্কোর ২৫২। পাকিস্তানের লাহোর স্কোর ১৯৯, যা ছয় নম্বরে অবস্থান করছে। পাকিস্তানের অন্য শহর করাচি ১৭৫ স্কোর নিয়ে নবম স্থানে। এই মানের বাতাসও নাগরিকদের জন্য ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়।

এছাড়া, চীনের চেংডু ও ভিয়েতনামের হেনোই শহরের বাতাসও ‘অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় রয়েছে। এই দুই শহরের স্কোর যথাক্রমে ১৮১ ও ১৮০। আইকিউএয়ারের মাধ্যমে বাতাসের মানের পরিস্থিতি লাইভ বা তাৎক্ষণিক সূচকে প্রকাশিত হয়। এটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটা পরিষ্কার বা দূষিত, সেই তথ্য দেয়ার পাশাপাশি সতর্ক করে।

একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ পর্যন্ত ভালো বলে বিবেচিত, ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি, ১০১ থেকে ১৫০ অস্বাস্থ্যকর। ১৫১ থেকে ২০০ স্কোরের ক্ষেত্রে বাতাসকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে থাকলে এটি ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে গণ্য। এই পরিস্থিতিতে শিশু, প্রবীণ ও অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে থাকার এবং অন্যদের বাইরে কার্যক্রম সীমিত রাখার পরামর্শ দেয় সরকারি কর্তৃপক্ষ। ৩০১ থেকে ৪০০ স্কোরের ক্ষেত্রে বাতাসকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে ধরা হয়, যা স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করে।