রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্পে শীর্ষ সন্ত্রাসী ও মাদক কারবারি বুনিয়া সোহেলকে (৪০) আহত অবস্থায় উদ্ধার করে গ্রেপ্তার করেছে সেনাবাহিনী ও পুলিশ। পরে তার সহযোগী নয়ন (৩০) ও রাব্বিকে (২৮) দুটি বিদেশি পিস্তল ও ছয় রাউন্ড গুলিসহ গ্রেপ্তার করা হয়। রোববার (৩০ নভেম্বর) সকালে সেনাবাহিনীর ৪৬ স্বতন্ত্র বিগ্রেডের একজন কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্প এলাকায় স্থানীয় কিছু প্রতিপক্ষের দলের দ্বারা বুনিয়া সোহেলকে গণপিটুনি দেওয়া হয়। এই তথ্যের ভিত্তিতে শের-ই-বাংলা আর্মি ক্যাম্প থেকে তিনটি টহল দল দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। এর কিছুক্ষণ পরই সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল ও আর্মি ক্যাম্পের আশপাশে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করতে দেখা যায় সোহেলের দুই সহযোগী নয়ন ও রাব্বিকে। টহল দলের নজরে এলে তাদের আটক করে। পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাত ১টা পর্যন্ত মোহাম্মদপুরের বিভিন্ন এলাকায় ছয়টি টহল দল অভিযান চালায়। এই সময় ৭.৬৫ মিলিমিটার দুটি পিস্তল ও ছয় রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। সেনাবাহিনী এই কর্মকর্তা আরও জানান, বুনিয়া সোহেলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ৩৮-৪০টি মামলা রয়েছে। তার গ্যাং গত এক বছরে অন্তত সাত-আটটি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। গতকালের হামলার পরে তার সহযোগীরা প্রতিশোধ নেয়ার জন্য অস্ত্র সংগ্রহ করে। সময়মতো আটক না করলে আরও বড় ধরনের রক্তপাত ঘটতে পারতো। তিনি বলেন, অভিযান শেষে হাসপাতালে পুলিশ প্রহরায় থাকা অবস্থায় বুনিয়া সোহেলকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। দুই সহযোগীর সঙ্গে উদ্ধার করা অস্ত্র মোহাম্মদপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।