, সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
সংবাদের বিষয়ে কিছু জানাতে ইমেইল করুন [email protected] ঠিকানায়

পৃথক হলো বিচার বিভাগ

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় ৪ ঘন্টা আগে
  • / ৪ বার পড়া হয়েছে

বিচার বিভাগের সম্পূর্ণ স্বাধীনতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় অধ্যাদেশ, ২০২৫ জারি করা হয়েছে। এর ফলে বিচার বিভাগ পুরোপুরি নির্বাহী বিভাগের থেকে পৃথক হয়ে গেছে। রোববার (৩০ নভেম্বর) রাষ্ট্রপতির আদেশে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে এই অধ্যাদেশ প্রকাশিত হয়। এর আগে, ২০ নভেম্বর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ সুপ্রিম কোর্টের জন্য পৃথক সচিবালয় গঠনের জন্য সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় অধ্যাদেশ, ২০২৫ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়। বিচার বিভাগের স্বতন্ত্রতা নিশ্চিত করতে প্রধান বিচারপতির উদ্যোগে ২০২৪ সালের ২৭ অক্টোবর বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট থেকে আলাদা একটি বিচার বিভাগীয় সচিবালয় গঠনের প্রস্তাব আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। ওই প্রস্তাবে সংবিধানের ১০৯ অনুচ্ছেদের উদ্দেশ্য পূরণের জন্য হাইকোর্ট বিভাগ কর্তৃক অধস্তন আদালত ও ট্রাইব্যুনালের দায়িত্ব ও তত্ত্বাবধানে স্বতন্ত্র সচিবালয় প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে একটি অধ্যাদেশের খসড়া, প্রস্তাবিত অর্গানোগ্রাম এবং কার্যবিধি ও অ্যালোকেশনের সম্ভাব্য সংস্কার সম্পর্কিত বিস্তারিত প্রস্তাব পাঠানো হয়। সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় অধ্যাদেশ, ২০২৫ এর জারির মাধ্যমে বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন আজ বাস্তবায়িত হলো। গত ২ সেপ্টেম্বর, অধস্তন আদালতের বিচারকদের নিয়ন্ত্রণ (কর্মস্থল নির্ধারণ, পদোন্নতি, দান ও ছুটির অনুমোদনসহ) শৃঙ্খলা বিধানের দায়িত্ব সম্পূর্ণরূপে সুপ্রিম কোর্টের হাতে ফিরিয়ে দিয়ে হাইকোর্ট রায় প্রদান করে। এই রায়ে বিচারকদের নিয়ন্ত্রণ ও শৃঙ্খলা বিধান সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদের সংশোধনী অবৈধ ও সংবিধানবিরোধী ঘোষণা করা হয় এবং মূল ১১৬ অনুচ্ছেদ বহাল রেখে বিচারপতি আহমেদ সোহেল ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় দেয়। রায়ে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্টের অধীনস্থ সুপ্রিম কোর্ট কর্তৃপক্ষের প্রস্তাবনা অনুযায়ী তিন মাসের মধ্যে পৃথক সচিবালয় স্থাপনের নির্দেশ দেওয়া হলো।


প্রিন্ট
ট্যাগস

নিউজটি শেয়ার করুন

পৃথক হলো বিচার বিভাগ

আপডেট সময় ৪ ঘন্টা আগে

বিচার বিভাগের সম্পূর্ণ স্বাধীনতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় অধ্যাদেশ, ২০২৫ জারি করা হয়েছে। এর ফলে বিচার বিভাগ পুরোপুরি নির্বাহী বিভাগের থেকে পৃথক হয়ে গেছে। রোববার (৩০ নভেম্বর) রাষ্ট্রপতির আদেশে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে এই অধ্যাদেশ প্রকাশিত হয়। এর আগে, ২০ নভেম্বর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ সুপ্রিম কোর্টের জন্য পৃথক সচিবালয় গঠনের জন্য সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় অধ্যাদেশ, ২০২৫ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়। বিচার বিভাগের স্বতন্ত্রতা নিশ্চিত করতে প্রধান বিচারপতির উদ্যোগে ২০২৪ সালের ২৭ অক্টোবর বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট থেকে আলাদা একটি বিচার বিভাগীয় সচিবালয় গঠনের প্রস্তাব আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। ওই প্রস্তাবে সংবিধানের ১০৯ অনুচ্ছেদের উদ্দেশ্য পূরণের জন্য হাইকোর্ট বিভাগ কর্তৃক অধস্তন আদালত ও ট্রাইব্যুনালের দায়িত্ব ও তত্ত্বাবধানে স্বতন্ত্র সচিবালয় প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে একটি অধ্যাদেশের খসড়া, প্রস্তাবিত অর্গানোগ্রাম এবং কার্যবিধি ও অ্যালোকেশনের সম্ভাব্য সংস্কার সম্পর্কিত বিস্তারিত প্রস্তাব পাঠানো হয়। সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় অধ্যাদেশ, ২০২৫ এর জারির মাধ্যমে বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন আজ বাস্তবায়িত হলো। গত ২ সেপ্টেম্বর, অধস্তন আদালতের বিচারকদের নিয়ন্ত্রণ (কর্মস্থল নির্ধারণ, পদোন্নতি, দান ও ছুটির অনুমোদনসহ) শৃঙ্খলা বিধানের দায়িত্ব সম্পূর্ণরূপে সুপ্রিম কোর্টের হাতে ফিরিয়ে দিয়ে হাইকোর্ট রায় প্রদান করে। এই রায়ে বিচারকদের নিয়ন্ত্রণ ও শৃঙ্খলা বিধান সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদের সংশোধনী অবৈধ ও সংবিধানবিরোধী ঘোষণা করা হয় এবং মূল ১১৬ অনুচ্ছেদ বহাল রেখে বিচারপতি আহমেদ সোহেল ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় দেয়। রায়ে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্টের অধীনস্থ সুপ্রিম কোর্ট কর্তৃপক্ষের প্রস্তাবনা অনুযায়ী তিন মাসের মধ্যে পৃথক সচিবালয় স্থাপনের নির্দেশ দেওয়া হলো।


প্রিন্ট