, সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
সংবাদের বিষয়ে কিছু জানাতে ইমেইল করুন [email protected] ঠিকানায়

মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে বিচার বিভাগ: শিশির মনির

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় ৩ ঘন্টা আগে
  • / ৪ বার পড়া হয়েছে

বিচার বিভাগ পৃথক করে নতুন সচিবালয় প্রতিষ্ঠার নির্দেশনা জারির ঘটনাকে বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে রূপ দিয়েছেন সিনিয়র আইনজীবী শিশির মনির। সোমবার (১ ডিসেম্বর) তিনি এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। শিশির মনির বলেন, “গতকালই পৃথক বিচার বিভাগীয় সচিবালয় স্থাপনের জন্য অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছে। এটি বাংলাদেশের ঐতিহ্যে একটি বড় অগ্রগতি। এর ফলে আমাদের নিম্ন আদালতের প্রশাসনিক ক্ষমতা থেকে মুক্তি লাভ হলো।” তিনি আরও যোগ করেন, “আইনমন্ত্রণালয় যে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ হিসেবে কাজ করত, এখন সেটি সম্পূর্ণভাবে প্রধান বিচারপতির অধীনে চলে এসেছে। অর্থাৎ, অধস্তন বিচারকদের বদলি, পদোন্নতি, ছুটি ও শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিষয়গুলো এখন উচ্চ আদালতের মাধ্যমে পরিচালিত হবে। দীর্ঘ সময় ধরে এই পরিবর্তন আনার জন্য আমাদের সংগ্রাম করতে হয়েছে। মাজদার হোসেন মামলার পর থেকে সবশেষ মামলাটি আমরা করেছিলাম সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদকে চ্যালেঞ্জ করে। সেই মামলার রায়ের ভিত্তিতে আজকের এই অধ্যাদেশ জারি হয়। আমি এতে অত্যন্ত খুশি।” শিশির মনির আরও বলেন, “স্বাধীনভাবে বিচার বিভাগ কাজ করলে বাংলাদেশের গণতন্ত্র আরও সুসংহত হবে। ব্যক্তিগত সুবিধার চেয়ে আমার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হলো, বাংলাদেশে স্বাধীন বিচার বিভাগ মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে। আমরা আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে পারব, গণতন্ত্রের ভিত্তি সুদৃঢ় করতে পারব। বিচার বিভাগকে আলাদা করার মাধ্যমে রাষ্ট্রের তিনটি অঙ্গের মধ্যে সমতা প্রতিষ্ঠিত হবে।” তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, বিচারকরা স্বাধীনতা অর্জনের পর তাদের কাজের মধ্যে স্বচ্ছতা বজায় রাখবেন এবং স্বতন্ত্রভাবে নিযুক্ত থাকবেন। ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য তারা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাবেন। উল্লেখ্য, বিচার বিভাগের সম্পূর্ণ স্বাধীনতা নিশ্চিতের জন্য সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় অধ্যাদেশ, ২০২৫ জারি করা হয়েছে। এর মাধ্যমে নির্বাহী বিভাগের সঙ্গে বিচার বিভাগের সম্পূর্ণ বিচ্ছেদ সাধিত হয়েছে। রোববার (৩০ নভেম্বর) এই অধ্যাদেশ মন্ত্রিসভা থেকে জারি করা হয়।


প্রিন্ট

নিউজটি শেয়ার করুন

মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে বিচার বিভাগ: শিশির মনির

আপডেট সময় ৩ ঘন্টা আগে

বিচার বিভাগ পৃথক করে নতুন সচিবালয় প্রতিষ্ঠার নির্দেশনা জারির ঘটনাকে বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে রূপ দিয়েছেন সিনিয়র আইনজীবী শিশির মনির। সোমবার (১ ডিসেম্বর) তিনি এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। শিশির মনির বলেন, “গতকালই পৃথক বিচার বিভাগীয় সচিবালয় স্থাপনের জন্য অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছে। এটি বাংলাদেশের ঐতিহ্যে একটি বড় অগ্রগতি। এর ফলে আমাদের নিম্ন আদালতের প্রশাসনিক ক্ষমতা থেকে মুক্তি লাভ হলো।” তিনি আরও যোগ করেন, “আইনমন্ত্রণালয় যে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ হিসেবে কাজ করত, এখন সেটি সম্পূর্ণভাবে প্রধান বিচারপতির অধীনে চলে এসেছে। অর্থাৎ, অধস্তন বিচারকদের বদলি, পদোন্নতি, ছুটি ও শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিষয়গুলো এখন উচ্চ আদালতের মাধ্যমে পরিচালিত হবে। দীর্ঘ সময় ধরে এই পরিবর্তন আনার জন্য আমাদের সংগ্রাম করতে হয়েছে। মাজদার হোসেন মামলার পর থেকে সবশেষ মামলাটি আমরা করেছিলাম সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদকে চ্যালেঞ্জ করে। সেই মামলার রায়ের ভিত্তিতে আজকের এই অধ্যাদেশ জারি হয়। আমি এতে অত্যন্ত খুশি।” শিশির মনির আরও বলেন, “স্বাধীনভাবে বিচার বিভাগ কাজ করলে বাংলাদেশের গণতন্ত্র আরও সুসংহত হবে। ব্যক্তিগত সুবিধার চেয়ে আমার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হলো, বাংলাদেশে স্বাধীন বিচার বিভাগ মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে। আমরা আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে পারব, গণতন্ত্রের ভিত্তি সুদৃঢ় করতে পারব। বিচার বিভাগকে আলাদা করার মাধ্যমে রাষ্ট্রের তিনটি অঙ্গের মধ্যে সমতা প্রতিষ্ঠিত হবে।” তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, বিচারকরা স্বাধীনতা অর্জনের পর তাদের কাজের মধ্যে স্বচ্ছতা বজায় রাখবেন এবং স্বতন্ত্রভাবে নিযুক্ত থাকবেন। ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য তারা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাবেন। উল্লেখ্য, বিচার বিভাগের সম্পূর্ণ স্বাধীনতা নিশ্চিতের জন্য সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় অধ্যাদেশ, ২০২৫ জারি করা হয়েছে। এর মাধ্যমে নির্বাহী বিভাগের সঙ্গে বিচার বিভাগের সম্পূর্ণ বিচ্ছেদ সাধিত হয়েছে। রোববার (৩০ নভেম্বর) এই অধ্যাদেশ মন্ত্রিসভা থেকে জারি করা হয়।


প্রিন্ট