, সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ৮ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
নোটিশ :
সংবাদের বিষয়ে কিছু জানাতে ইমেইল করুন [email protected] ঠিকানায়

বিএনপি নির্বাচনে বেশি আসন জিতবে

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:৫৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২৫
  • / ১৫ বার পড়া হয়েছে

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অধিকাংশ মানুষ মনে করেন বিএনপি সবচেয়ে বেশি আসনে বিজয়ী হবে। মানুষের পছন্দের তালিকায় দ্বিতীয় দল হলো জামায়াতে ইসলামি। অন্যদিকে অধিকাংশই বিশ্বাস করেন, বিএনপি জিতলে দেশের উন্নতি হবে। আর প্রায় এক-তৃতীয়াংশ মানুষ মনে করেন, জামায়াতে ইসলামি জিতলে দেশের জন্য ভালো হবে। প্রথম আলোর উদ্যোগে পরিচালিত এক জরিপে এই মতামত প্রকাশ পেয়েছে। এই জরিপ চালিয়েছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা কিমেকারস কনসাল্টিং लिमিটেড। এর শিরোনাম, ‘গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক-রাজনৈতিক বিষয়ের উপর জাতীয় জনমত জরিপ ২০২৫’। নির্বাচনে কোন দল বেশি আসনে জিতবে:
প্রশ্নের মধ্যে ছিল, একটি সুষ্ঠু নির্বাচন হলে কোন দল সবচেয়ে বেশি আসনে জয় লাভ করবে বলে মনে করেন? দল কত আসনে জিততে পারে, সেটি প্রশ্নে ছিল না। প্রায় ৬৬ শতাংশ উত্তরদাতা বলছেন, বিএনপি সর্বাধিক আসনে জিতবে। নারী, পুরুষ, বিভিন্ন বয়সের মানুষজনের কাছ থেকে এভাবেই মতামত এসেছে। প্রায় ২৬ শতাংশের মতে, জামায়াতে ইসলামি বেশি আসনে জিতবে। স্বৈরশাসক এইচ এম এরশাদের পতনের পর গত তিন৫ বছরে বিএনপি তিনবার সরকার গঠন করেছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীন ১৯৯১ সালে বিএনপি জামায়াতে ইসলামির সমর্থনে সরকার গঠন করে। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে আওয়ামী লীগসহ বিরোধীরা ভোট দেয়নি। বিএনপি জিতে সরকার গঠন করলেও তা মাত্র দেড় মাস টেকেছিল। একই বছর জুনে অন্য একটি নির্বাচনে বিরোধীদল হিসেবে বিএনপি প্রধান আসনে বসে। ২০০১ সালে চারদলীয় জোট হিসেবে ভোটে অংশ নিয়ে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে সরকার গঠন করে বিএনপি। ২০০৮ সালে বিএনপি ৩০টি আসন পায়। ২০১৪ ও ২০২৪ সালে বিতর্কিত ভোটের কারণে একতরফা নির্বাচন বর্জন করে দলটি। ২০১৮ সালের নির্বাচনে অংশ নিয়ে মাত্র সাতটি আসনে জয়ী হয়। তবে ঐ নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি হয়, অনেক ব্যালটে সিল দিয়ে বাক্স ভর্তি করা হয়, যা “রাতের ভোট” নামে পরিচিত। অন্যদিকে, অতীতে কোন নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামি দ্বিতীয় বৃহত্তম দল হতে পারেনি। তারা ১৯৯১ সালে ১৮টি এবং ২০০১ সালে ১৭টি আসনে জয়ী হয়, যা তাদের সর্বোচ্চ অর্জন। তবে ২০০১ সালে বিএনপির সঙ্গে জোটে অংশগ্রহণ করেছিল জামায়াত। ওই নির্বাচনে জিতে তারা সরকারের অংশও হয়। তবে জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে জামায়াতের উপস্থিতি রাজনৈতিক মাঠে খুবই শক্তিশালী হয়ে উঠছে। দলটির ছাত্রসংগঠন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদে নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে। জরিপে দেখা গেছে, প্রায় ২৬ শতাংশ মানুষ মনে করেন জামায়াত এবার সবচেয়ে বেশি আসনে জিতবে। সবচেয়ে বেশি আসনের জয়ের বিষয়ে ৭ শতাংশের বেশি মানুষ বলেছে, আওয়ামী লীগের নাম, যেহেতু এই দলটি বর্তমানে নিষিদ্ধ। আর জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া তরুণদের দল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) বিষয়ে শূন্য দশমিক ৮ শতাংশ উত্তরদাতা মত প্রকাশ করেছে। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের পক্ষে মত এসেছে শূন্য দশমিক ১ শতাংশ। জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা হারানোর পর অনেক নেতাকর্মী পলাতক বা বিদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার কার্যক্রম শেষ না হওয়া পর্যন্ত দলটির সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ। এর আগে, সরকার সন্ত্রাসবিরোধী আইন সংশোধন করে সংগঠন বা ব্যক্তির কার্যক্রম বন্ধের বিধান চালু করেছিল। নির্বাচন কমিশনে দলের নিবন্ধনও স্থগিত রয়েছে। আওয়ামী লীগ ২০০৯ সাল থেকে ২০২২ সালের মধ্যে টানা শাসন করেছে। এর আগে ১৯৯৬ সালে একবার ক্ষমতা পেয়েছিল। প্রতিটি নির্বাচনে তারা ৩০ থেকে ৪৮ শতাংশ ভোট পেয়েছে। কোন দল সবচেয়ে বেশি আসনে জিতবে, তা নিয়ে প্রথম আলোর জরিপে আরও কিছু দলের নাম এসেছে। মাত্র শূন্য দশমিক ১ শতাংশ মানুষ জানিয়েছেন, জাতীয় পার্টির (জাপা) নাম। যদিও তারা গত তিনটি সংসদে প্রধান বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করেছে, তবে “গৃহপালিত বিরোধী দল” হিসেবে পরিচিত। কারণ, এই নির্বাচনগুলো ছিল বিতর্কিত এবং জাপা ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সঙ্গে সমঝোতা করে সংসদে গিয়েছে। ১৯৯০ সালে গণঅভ্যুত্থানে এরশাদের পতন হয়, তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। ১৯৯১ সালে নিরপেক্ষ সরকারের অধীন নির্বাচনে জাপা ৩৫টি আসন পেয়েছিল। ১৯৯৬ সালে ৩২টি ও ২০০১ সালে ১৪টি আসনে জয়ী হয় তারা। সর্বশেষ ২০০৮ সালে, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনে, জাপা আওয়ামী লীগের মহাজোটের অংশ হয়ে ২৭টি আসনে জয়ী হয়। কোন দল জয়ী হলে দেশের জন্য ভালো হবে:
আরেকটি প্রশ্নে ছিল, কোন দল জিতলে দেশের জন্য সবচেয়ে ভালো হবে বলে মনে করেন? উত্তরে বিএনপি-ই সবচেয়ে বেশি মত পোষণ করেছেন, সাড়ে ৫৭ শতাংশ। অন্যদিকে, প্রায় ৩৩ শতাংশ মানুষ বলেন, জামায়াতে ইসলামি জিতলে দেশের জন্য ভালো হবে। আওয়ামী লীগ জিতলে ভালো হবে বলে মনে করেন ৮ শতাংশ। আর ০.৯ শতাংশ মানুষ মনে করেন, এনসিপি জিতলে ভালো হবে। জাপা ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের পক্ষে শূন্য দশমিক ১ শতাংশ করে মতামত। এই জরিপে দেশের পাঁচটি নগর ও পাঁচটি গ্রামীণ অঞ্চলের ১৮ থেকে ৫৫ বছর বয়সী ১ হাজার ৩৪২ জনের মতামত নেওয়া হয়। এর মধ্যে পুরুষ ৬৭৪ জন, নারী ৬৬৮ জন। অংশগ্রহণকারীরা বিভিন্ন আয়, পেশা ও শ্রেণির মানুষ। জরিপের তথ্য সংগ্রহ করা হয় ২১ থেকে ২৮ অক্টোবর। সংস্থার দাবি, এটি একটি মতামত জরিপ, যা দেশের প্রতিনিধিত্বমূলক হলেও কোনো একক নির্বাচনী এলাকার প্রতিনিধিত্ব করে না। নমুনা নির্বাচন করা হয়েছে এমন ব্যক্তিদের, যাঁরা অনলাইন বা প্রিন্ট মিডিয়া পড়তে পারেন এবং ভবিষ্যতের নির্বাচনে ভোট দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলাফলগুলো অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য, এর কনফিডেন্স লেভেল ৯৯ শতাংশ।


প্রিন্ট

নিউজটি শেয়ার করুন

বিএনপি নির্বাচনে বেশি আসন জিতবে

আপডেট সময় ১০:৫৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২৫

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অধিকাংশ মানুষ মনে করেন বিএনপি সবচেয়ে বেশি আসনে বিজয়ী হবে। মানুষের পছন্দের তালিকায় দ্বিতীয় দল হলো জামায়াতে ইসলামি। অন্যদিকে অধিকাংশই বিশ্বাস করেন, বিএনপি জিতলে দেশের উন্নতি হবে। আর প্রায় এক-তৃতীয়াংশ মানুষ মনে করেন, জামায়াতে ইসলামি জিতলে দেশের জন্য ভালো হবে। প্রথম আলোর উদ্যোগে পরিচালিত এক জরিপে এই মতামত প্রকাশ পেয়েছে। এই জরিপ চালিয়েছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা কিমেকারস কনসাল্টিং लिमিটেড। এর শিরোনাম, ‘গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক-রাজনৈতিক বিষয়ের উপর জাতীয় জনমত জরিপ ২০২৫’। নির্বাচনে কোন দল বেশি আসনে জিতবে:
প্রশ্নের মধ্যে ছিল, একটি সুষ্ঠু নির্বাচন হলে কোন দল সবচেয়ে বেশি আসনে জয় লাভ করবে বলে মনে করেন? দল কত আসনে জিততে পারে, সেটি প্রশ্নে ছিল না। প্রায় ৬৬ শতাংশ উত্তরদাতা বলছেন, বিএনপি সর্বাধিক আসনে জিতবে। নারী, পুরুষ, বিভিন্ন বয়সের মানুষজনের কাছ থেকে এভাবেই মতামত এসেছে। প্রায় ২৬ শতাংশের মতে, জামায়াতে ইসলামি বেশি আসনে জিতবে। স্বৈরশাসক এইচ এম এরশাদের পতনের পর গত তিন৫ বছরে বিএনপি তিনবার সরকার গঠন করেছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীন ১৯৯১ সালে বিএনপি জামায়াতে ইসলামির সমর্থনে সরকার গঠন করে। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে আওয়ামী লীগসহ বিরোধীরা ভোট দেয়নি। বিএনপি জিতে সরকার গঠন করলেও তা মাত্র দেড় মাস টেকেছিল। একই বছর জুনে অন্য একটি নির্বাচনে বিরোধীদল হিসেবে বিএনপি প্রধান আসনে বসে। ২০০১ সালে চারদলীয় জোট হিসেবে ভোটে অংশ নিয়ে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে সরকার গঠন করে বিএনপি। ২০০৮ সালে বিএনপি ৩০টি আসন পায়। ২০১৪ ও ২০২৪ সালে বিতর্কিত ভোটের কারণে একতরফা নির্বাচন বর্জন করে দলটি। ২০১৮ সালের নির্বাচনে অংশ নিয়ে মাত্র সাতটি আসনে জয়ী হয়। তবে ঐ নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি হয়, অনেক ব্যালটে সিল দিয়ে বাক্স ভর্তি করা হয়, যা “রাতের ভোট” নামে পরিচিত। অন্যদিকে, অতীতে কোন নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামি দ্বিতীয় বৃহত্তম দল হতে পারেনি। তারা ১৯৯১ সালে ১৮টি এবং ২০০১ সালে ১৭টি আসনে জয়ী হয়, যা তাদের সর্বোচ্চ অর্জন। তবে ২০০১ সালে বিএনপির সঙ্গে জোটে অংশগ্রহণ করেছিল জামায়াত। ওই নির্বাচনে জিতে তারা সরকারের অংশও হয়। তবে জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে জামায়াতের উপস্থিতি রাজনৈতিক মাঠে খুবই শক্তিশালী হয়ে উঠছে। দলটির ছাত্রসংগঠন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদে নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে। জরিপে দেখা গেছে, প্রায় ২৬ শতাংশ মানুষ মনে করেন জামায়াত এবার সবচেয়ে বেশি আসনে জিতবে। সবচেয়ে বেশি আসনের জয়ের বিষয়ে ৭ শতাংশের বেশি মানুষ বলেছে, আওয়ামী লীগের নাম, যেহেতু এই দলটি বর্তমানে নিষিদ্ধ। আর জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া তরুণদের দল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) বিষয়ে শূন্য দশমিক ৮ শতাংশ উত্তরদাতা মত প্রকাশ করেছে। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের পক্ষে মত এসেছে শূন্য দশমিক ১ শতাংশ। জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা হারানোর পর অনেক নেতাকর্মী পলাতক বা বিদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার কার্যক্রম শেষ না হওয়া পর্যন্ত দলটির সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ। এর আগে, সরকার সন্ত্রাসবিরোধী আইন সংশোধন করে সংগঠন বা ব্যক্তির কার্যক্রম বন্ধের বিধান চালু করেছিল। নির্বাচন কমিশনে দলের নিবন্ধনও স্থগিত রয়েছে। আওয়ামী লীগ ২০০৯ সাল থেকে ২০২২ সালের মধ্যে টানা শাসন করেছে। এর আগে ১৯৯৬ সালে একবার ক্ষমতা পেয়েছিল। প্রতিটি নির্বাচনে তারা ৩০ থেকে ৪৮ শতাংশ ভোট পেয়েছে। কোন দল সবচেয়ে বেশি আসনে জিতবে, তা নিয়ে প্রথম আলোর জরিপে আরও কিছু দলের নাম এসেছে। মাত্র শূন্য দশমিক ১ শতাংশ মানুষ জানিয়েছেন, জাতীয় পার্টির (জাপা) নাম। যদিও তারা গত তিনটি সংসদে প্রধান বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করেছে, তবে “গৃহপালিত বিরোধী দল” হিসেবে পরিচিত। কারণ, এই নির্বাচনগুলো ছিল বিতর্কিত এবং জাপা ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সঙ্গে সমঝোতা করে সংসদে গিয়েছে। ১৯৯০ সালে গণঅভ্যুত্থানে এরশাদের পতন হয়, তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। ১৯৯১ সালে নিরপেক্ষ সরকারের অধীন নির্বাচনে জাপা ৩৫টি আসন পেয়েছিল। ১৯৯৬ সালে ৩২টি ও ২০০১ সালে ১৪টি আসনে জয়ী হয় তারা। সর্বশেষ ২০০৮ সালে, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনে, জাপা আওয়ামী লীগের মহাজোটের অংশ হয়ে ২৭টি আসনে জয়ী হয়। কোন দল জয়ী হলে দেশের জন্য ভালো হবে:
আরেকটি প্রশ্নে ছিল, কোন দল জিতলে দেশের জন্য সবচেয়ে ভালো হবে বলে মনে করেন? উত্তরে বিএনপি-ই সবচেয়ে বেশি মত পোষণ করেছেন, সাড়ে ৫৭ শতাংশ। অন্যদিকে, প্রায় ৩৩ শতাংশ মানুষ বলেন, জামায়াতে ইসলামি জিতলে দেশের জন্য ভালো হবে। আওয়ামী লীগ জিতলে ভালো হবে বলে মনে করেন ৮ শতাংশ। আর ০.৯ শতাংশ মানুষ মনে করেন, এনসিপি জিতলে ভালো হবে। জাপা ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের পক্ষে শূন্য দশমিক ১ শতাংশ করে মতামত। এই জরিপে দেশের পাঁচটি নগর ও পাঁচটি গ্রামীণ অঞ্চলের ১৮ থেকে ৫৫ বছর বয়সী ১ হাজার ৩৪২ জনের মতামত নেওয়া হয়। এর মধ্যে পুরুষ ৬৭৪ জন, নারী ৬৬৮ জন। অংশগ্রহণকারীরা বিভিন্ন আয়, পেশা ও শ্রেণির মানুষ। জরিপের তথ্য সংগ্রহ করা হয় ২১ থেকে ২৮ অক্টোবর। সংস্থার দাবি, এটি একটি মতামত জরিপ, যা দেশের প্রতিনিধিত্বমূলক হলেও কোনো একক নির্বাচনী এলাকার প্রতিনিধিত্ব করে না। নমুনা নির্বাচন করা হয়েছে এমন ব্যক্তিদের, যাঁরা অনলাইন বা প্রিন্ট মিডিয়া পড়তে পারেন এবং ভবিষ্যতের নির্বাচনে ভোট দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলাফলগুলো অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য, এর কনফিডেন্স লেভেল ৯৯ শতাংশ।


প্রিন্ট