, মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo ভরা মঞ্চে তরুণীর হিজাব টেনে খুলে বিতর্কে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী Logo ১৪ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৭০ কোটি ডলার Logo জাতীয় স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা Logo হাদিকে গুলি: মূল অভিযুক্ত ফয়সালের ঘনিষ্ঠ সহযোগী গ্রেপ্তার Logo সাংবাদিক আনিস আলমগীরের গ্রেপ্তারে সম্পাদক পরিষদের নিন্দা Logo পঞ্চগড়-১ আসনে মনোনয়নপত্র কিনলেন সারজিস আলম Logo সিইসির সেই বিতর্কিত বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিলো ইসি Logo কালই বন্ধ হচ্ছে না অবৈধ মোবাইল ফোন, নতুন সিদ্ধান্ত সরকারের Logo এমপি প্রার্থী ও রাজনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের জন্য আগ্নেয়াস্ত্র লাইসেন্সে নতুন নীতিমালা Logo গরুর সঙ্গে অটোরিকশার ধাক্কা, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই গ্রামের সংঘর্ষ
নোটিশ :
সংবাদের বিষয়ে কিছু জানাতে ইমেইল করুন [email protected] ঠিকানায়

তফসিলের পর বেআইনি জনসমাবেশ-আন্দোলন থেকে বিরত থাকার আহ্বান

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৫:৪৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২৫
  • / ৮ বার পড়া হয়েছে

আগামী কয়েক দিনের মধ্যে দেশের আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন জন্য চূড়ান্ত তফসিল ঘোষণা করা হবে। তফসিল প্রকাশের পর সকল ধরনের বেআইনি ও অনুমোদনবিহীন জনসমাবেশ, আন্দোলন-প্রতিবন্ধকতা থেকে বিরত থাকতে সবাইকে অনুরোধ জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিকেলে প্রধান উপদেষ্টার জ্যেষ্ঠ সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন। বৈঠকের সূত্রে জানা যায়, আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিতব্য ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন যেন স্বাধীন, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য ও উৎসবমুখর হয়— এটাই এখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মূল লক্ষ্য। একটি সুন্দর নির্বাচন সম্পন্ন করার জন্য সরকার কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে। নির্বাচনী তফসিলের ঘোষণা পর দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত সব বাহিনীসহ সশস্ত্র বাহিনী নির্বাচনী পরিস্থিতি নিরাপদ রাখার জন্য কাজ করবে। দেশের শৃঙ্খলা বজায় রাখতে প্রায় নয় লাখ সদস্যের সশস্ত্র বাহিনীসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন থাকবে, যা এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনার জন্য ইতোমধ্যে দেড় লাখ পুলিশ সদস্যকে নির্বাচনী প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। তফসিল ঘোষণার পর থেকে নির্বাচন অবধি যেকোনো বেআইনি ও অনুমোদনবিহীন জনসমাবেশ বা জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করে এমন আন্দোলন কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে। যারা বেআইনি সভা-সমাবেশে অংশ নেবেন তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘আমরা জানি, অনেকেরই ন্যায্য দাবি-দাওয়া রয়েছে। গত দেড় বছরে দুই হাজারের বেশি আন্দোলন-বিক্ষোভ সংগঠিত হয়েছে এবং আন্দোলনকারীরা তাদের দাবিদাওয়া অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে উপস্থাপন করেছেন। সরকার সবসময়ই ন্যায্য দাবির প্রতি সাড়া দিয়েছে, আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে পৌঁছানোর চেষ্টা করেছে। তবে এখন আমরা নির্বাচন সময়ে অবস্থান করছি। এ কারণে, সকলের জমা দেওয়া দাবি-দাওয়া নির্বাচন পরবর্তী সরকারের কাছে উপস্থাপনের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হচ্ছে। আশা করি, এই সময়ে কেউ উত্তেজনা সৃষ্টি বা স্বাভাবিক পরিবেশ বিঘ্ন করবেন না।’


প্রিন্ট

নিউজটি শেয়ার করুন

তফসিলের পর বেআইনি জনসমাবেশ-আন্দোলন থেকে বিরত থাকার আহ্বান

আপডেট সময় ০৫:৪৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২৫

আগামী কয়েক দিনের মধ্যে দেশের আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন জন্য চূড়ান্ত তফসিল ঘোষণা করা হবে। তফসিল প্রকাশের পর সকল ধরনের বেআইনি ও অনুমোদনবিহীন জনসমাবেশ, আন্দোলন-প্রতিবন্ধকতা থেকে বিরত থাকতে সবাইকে অনুরোধ জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিকেলে প্রধান উপদেষ্টার জ্যেষ্ঠ সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন। বৈঠকের সূত্রে জানা যায়, আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিতব্য ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন যেন স্বাধীন, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য ও উৎসবমুখর হয়— এটাই এখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মূল লক্ষ্য। একটি সুন্দর নির্বাচন সম্পন্ন করার জন্য সরকার কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে। নির্বাচনী তফসিলের ঘোষণা পর দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত সব বাহিনীসহ সশস্ত্র বাহিনী নির্বাচনী পরিস্থিতি নিরাপদ রাখার জন্য কাজ করবে। দেশের শৃঙ্খলা বজায় রাখতে প্রায় নয় লাখ সদস্যের সশস্ত্র বাহিনীসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন থাকবে, যা এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনার জন্য ইতোমধ্যে দেড় লাখ পুলিশ সদস্যকে নির্বাচনী প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। তফসিল ঘোষণার পর থেকে নির্বাচন অবধি যেকোনো বেআইনি ও অনুমোদনবিহীন জনসমাবেশ বা জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করে এমন আন্দোলন কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে। যারা বেআইনি সভা-সমাবেশে অংশ নেবেন তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘আমরা জানি, অনেকেরই ন্যায্য দাবি-দাওয়া রয়েছে। গত দেড় বছরে দুই হাজারের বেশি আন্দোলন-বিক্ষোভ সংগঠিত হয়েছে এবং আন্দোলনকারীরা তাদের দাবিদাওয়া অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে উপস্থাপন করেছেন। সরকার সবসময়ই ন্যায্য দাবির প্রতি সাড়া দিয়েছে, আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে পৌঁছানোর চেষ্টা করেছে। তবে এখন আমরা নির্বাচন সময়ে অবস্থান করছি। এ কারণে, সকলের জমা দেওয়া দাবি-দাওয়া নির্বাচন পরবর্তী সরকারের কাছে উপস্থাপনের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হচ্ছে। আশা করি, এই সময়ে কেউ উত্তেজনা সৃষ্টি বা স্বাভাবিক পরিবেশ বিঘ্ন করবেন না।’


প্রিন্ট