জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনের সম্পূর্ণ রিপোর্ট সকলের নজরে আনতে প্রকাশ করা হয়েছে। আট খণ্ডের এই রিপোর্টে কমিশনের সুপারিশের পাশাপাশি জুলাই মাসের জাতীয় সনদ, ঐক্য গঠনের জন্য চলাকালীন সময়ে রাজনৈতিক দল ও জোটের দেওয়া মতামত, তাদের সঙ্গে আলোচনার সংক্ষিপ্ত সারসংক্ষেপ, অন্যান্য নথিপত্র এবং জনমত জরিপের ফলাফল অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এই সব খণ্ডের প্রতিবেদন বাংলাদেশ সরকারের সংস্কার কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়াও, এর আগে ও পরে গঠিত মোট এগারোটি সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনও এই ওয়েবসাইটে দেখা যাচ্ছে। উল্লেখ্য, প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পর গত বছরের অক্টোবর মাসে এবং পরবর্তীতে বিভিন্ন সময় মোট এগারোটি সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়। এর মধ্যে প্রথম পর্যায়ের ছয়টি কমিশনের কার্যক্রম শেষ হওয়ার সময় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে সভাপতি এবং সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান প্রফেসর আলী রীয়াজকে সহ-সভাপতি করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়। বাকি পাঁচটি কমিশনের প্রধানদেরও এই কমিশনের সদস্য হিসেবে নিযুক্ত করা হয়। তবে, পরবর্তীতে বিচার বিভাগ ও জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধানদের অক্ষমতার কারণে উভয় কমিশনের দুই জ্যেষ্ঠ সদস্যকে এই কমিশনের সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এই বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি দেশের নতুন ঐকমত্য কমিশনের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হওয়ার পর, রাজনৈতিক দল ও নাগরিক সমাজের সঙ্গে ধারাবাহিক আলোচনা ও আলোচনা জন্য গত ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে চূড়ান্ত করা হয় ২০২৫ সালের জুলাই জাতীয় সনদ। এরপর, ১৭ অক্টোবর এই সনদে স্বাক্ষর করেন রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিরা। ইতিমধ্যে, এই সুপারিশের ভিত্তিতে সরকার জুলাই মাসে ‘জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন (সংবিধান) আদেশ’ জারি করেছে।