, সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
সংবাদের বিষয়ে কিছু জানাতে ইমেইল করুন [email protected] ঠিকানায়

রাজনৈতিক দলগুলোর নিরাপত্তা প্রটোকল নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৪:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫
  • / ৩ বার পড়া হয়েছে

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে পুলিশের পক্ষ থেকে সব রাজনৈতিক দলের জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এই প্রটোকলে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এবং নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের বাসস্থান, অফিস, চলাচলের রুট, জনসভা ও অনলাইন স্পেসে নিরাপত্তা বজায় রাখতে বিস্তারিত নির্দেশনা দেয়া হবে। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের পাঠানো এক বিবৃতিতে এ বিষয়ে জানানো হয়েছে। পাশাপাশি, গণঅভ্যুত্থানের প্রান্তিক নেতাদের ও গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ব্যক্তিদের জন্য অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনায় হামলাকারী ও তার সহযোগীদের পুলিশ ইতোমধ্যেই চিহ্নিত করেছে। তাদের দ্রুত গ্রেপ্তারের জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী কড়া অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। হামলায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি জব্দ করা হয়েছে এবং সন্দেহভাজনদের ফিঙ্গারপ্রিন্ট পরীক্ষা চলছে। প্রধান সন্দেহভাজন ব্যক্তি যাতে কোনোভাবেই সীমান্ত অতিক্রম করতে না পারে, তার জন্য শুক্রবার রাতে সব সৈত ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে তার ছবি ও অন্যান্য তথ্য সরবরাহ করা হয়েছে। সীমান্ত এলাকায় বিজিবি ও র‌্যাবের টহল আরও জোরদার করা হয়েছে। দেশের ভিতরে একাধিকবার সন্দেহভাজনদের অবস্থান শনাক্ত হলেও বারবার স্থান পরিবর্তনের কারণে তাদের গ্রেপ্তার সম্ভব হয়নি। এদিকে, পুলিশ প্রধান সন্দেহভাজন ব্যক্তির চলাচলের রেকর্ড বা ট্রাভেল হিস্ট্রি সংগ্রহ করেছে। এতে দেখা গেছে, তিনি দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন দেশে ভ্রমণ করেছেন এবং সর্বশেষ ২১ জুলাই সিঙ্গাপুরে গিয়েছিলেন। এই হামলার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে— এমন আরও কয়েকজন সন্দেহভাজনকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে। এছাড়া, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আজ ভারতীয় হাইকমিশনারকে ডেকে বাংলাদেশের কাছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত থেকে দণ্ডপ্রাপ্ত শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান কামালকে প্রত্যর্পণের বিষয়টি আবারো জানিয়েছে। হাইকমিশনারকে জানানো হয়েছে, ভারতে থাকা পলাতক এই দুই অপরাধীর বিরুদ্ধে বাংলাদেশে অস্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তার অবনতি ঘটানোর জন্য তারা বিভিন্ন উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে আসছেন এবং তাদের দলের সন্ত্রাসী কার্যকলাপের নির্দেশ দিচ্ছেন। ভারত সরকারের কাছে অনুরোধ জানানো হয়েছে, যেন তারা অবিলম্বে এই ফ্যাসিস্ট ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপ বন্ধ করতে উদ্যোগ নেয়। এছাড়া, বাংলাদেশ থেকে ভারতে পালানোর চেষ্টাকারীদের রোধে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে, যাতে তারা দ্রুত তাদেরকে গ্রেপ্তার করে বাংলাদেশে প্রত্যর্পণ করে।


প্রিন্ট
ট্যাগস

নিউজটি শেয়ার করুন

রাজনৈতিক দলগুলোর নিরাপত্তা প্রটোকল নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত

আপডেট সময় ০৪:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে পুলিশের পক্ষ থেকে সব রাজনৈতিক দলের জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এই প্রটোকলে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এবং নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের বাসস্থান, অফিস, চলাচলের রুট, জনসভা ও অনলাইন স্পেসে নিরাপত্তা বজায় রাখতে বিস্তারিত নির্দেশনা দেয়া হবে। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের পাঠানো এক বিবৃতিতে এ বিষয়ে জানানো হয়েছে। পাশাপাশি, গণঅভ্যুত্থানের প্রান্তিক নেতাদের ও গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ব্যক্তিদের জন্য অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনায় হামলাকারী ও তার সহযোগীদের পুলিশ ইতোমধ্যেই চিহ্নিত করেছে। তাদের দ্রুত গ্রেপ্তারের জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী কড়া অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। হামলায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি জব্দ করা হয়েছে এবং সন্দেহভাজনদের ফিঙ্গারপ্রিন্ট পরীক্ষা চলছে। প্রধান সন্দেহভাজন ব্যক্তি যাতে কোনোভাবেই সীমান্ত অতিক্রম করতে না পারে, তার জন্য শুক্রবার রাতে সব সৈত ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে তার ছবি ও অন্যান্য তথ্য সরবরাহ করা হয়েছে। সীমান্ত এলাকায় বিজিবি ও র‌্যাবের টহল আরও জোরদার করা হয়েছে। দেশের ভিতরে একাধিকবার সন্দেহভাজনদের অবস্থান শনাক্ত হলেও বারবার স্থান পরিবর্তনের কারণে তাদের গ্রেপ্তার সম্ভব হয়নি। এদিকে, পুলিশ প্রধান সন্দেহভাজন ব্যক্তির চলাচলের রেকর্ড বা ট্রাভেল হিস্ট্রি সংগ্রহ করেছে। এতে দেখা গেছে, তিনি দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন দেশে ভ্রমণ করেছেন এবং সর্বশেষ ২১ জুলাই সিঙ্গাপুরে গিয়েছিলেন। এই হামলার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে— এমন আরও কয়েকজন সন্দেহভাজনকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে। এছাড়া, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আজ ভারতীয় হাইকমিশনারকে ডেকে বাংলাদেশের কাছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত থেকে দণ্ডপ্রাপ্ত শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান কামালকে প্রত্যর্পণের বিষয়টি আবারো জানিয়েছে। হাইকমিশনারকে জানানো হয়েছে, ভারতে থাকা পলাতক এই দুই অপরাধীর বিরুদ্ধে বাংলাদেশে অস্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তার অবনতি ঘটানোর জন্য তারা বিভিন্ন উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে আসছেন এবং তাদের দলের সন্ত্রাসী কার্যকলাপের নির্দেশ দিচ্ছেন। ভারত সরকারের কাছে অনুরোধ জানানো হয়েছে, যেন তারা অবিলম্বে এই ফ্যাসিস্ট ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপ বন্ধ করতে উদ্যোগ নেয়। এছাড়া, বাংলাদেশ থেকে ভারতে পালানোর চেষ্টাকারীদের রোধে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে, যাতে তারা দ্রুত তাদেরকে গ্রেপ্তার করে বাংলাদেশে প্রত্যর্পণ করে।


প্রিন্ট