, মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
নোটিশ :
সংবাদের বিষয়ে কিছু জানাতে ইমেইল করুন [email protected] ঠিকানায়

সাংবাদিক আনিস আলমগীরের গ্রেপ্তারে সম্পাদক পরিষদের নিন্দা

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১৫ ঘন্টা আগে
  • / ৬ বার পড়া হয়েছে

সন্ত্রাসবিরোধী আইনে সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে গ্রেপ্তার করায় সম্পাদক পরিষদ ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। তারা এই সিদ্ধান্তকে একেবারেই গ্রহণযোগ্য মনে করেনা এবং মামলার প্রত্যাহারের দাবি জানায়। সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সম্পাদক পরিষদের সভাপতি নূরুল কবির এবং সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ এক যৌথ বিবৃতিতে এই নিন্দা জানায়। বিবৃতিতে বলা হয়, রোববার আনিস আলমগীরকে কোন অভিযোগ ছাড়াই ডিবি কার্যালয়ে ডেকে আনা হয়। সেখানে তাকে আটক রেখে পরদিন তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা দায়ের এবং গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এ ধরনের ঘটনা অতীতের স্বৈরাচারী শাসনামলের সাংবাদিকদের প্রতি রাষ্ট্রীয় দমন-পীড়নের কথা মনে করিয়ে দেয়। ‘আমরা পূর্বে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ও এই ধরনের চর্চা দেখেছি। তখন সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা, হয়রানি ও নির্বিচার গ্রেপ্তার নিয়মিত ঘটনা ছিল। বর্তমান ঘটনাটিও সেই দুঃখজনক বাস্তবতার পুনরাবৃত্তি।’ বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সম্পাদক পরিষদ এই ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করছে। একই সঙ্গে পরিষদ স্পষ্ট করে বলতে চায়—যদি কোন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট অভিযোগ থাকে, তা অবশ্যই আইনের শাসন ও ন্যায্য বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিষ্পত্তি করতে হবে। অভিযোগ ছাড়াই ডিবি কার্যালয়ে ডেকে আনা, আটকে রাখা বা পরে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার দেখানো একেবারেই অগ্রহণযোগ্য। আরও বলা হয়, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের জন্য গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে দেশের অনেক সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং আরও অনেকেই এখনো কারাগারে রয়েছেন। এ বিষয়েও আগেও সম্পাদক পরিষদ তাদের অবস্থান পরিষ্কার করে বলেছে, সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা হত্যা মামলাগুলো প্রত্যাহার করতে হবে। সরকারের পক্ষ থেকে আইন উপদেষ্টা এই মিথ্যা মামলা ও হয়রানির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও এখনও মামলাগুলো প্রত্যাহার করা হয়নি। বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, এই ধরনের ঘটনা অতীতের স্বৈরাচারী শাসনামলের সাংবাদিক নিপীড়নের স্মৃতি ফিরিয়ে আনে। সম্পাদক পরিষদ এই আচরণের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে ও সকল ভিত্তিহীন মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছে। উল্লেখ্য, রোববার (১৪ ডিসেম্বর) ধানমন্ডির একটি জিম থেকে আনিস আলমগীরকে ডিবি হেফাজতে নেওয়া হয়। একই রাতে তিনি ও অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওনসহ চারজনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা দায়ের করা হয়। মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের জুলাই মাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় দেশকে অস্থিতিশীল ও অবকাঠামো ধ্বংসের ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। এছাড়া আসামিরা সোশ্যাল মিডিয়া ও টেলিভিশনের টকশোতে নিষিদ্ধ সংগঠনকে ফিরিয়ে আনার প্রচারণা চালাচ্ছিল। পরে আজ বিকালে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে ৫ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে এই সাংবাদিককে।


প্রিন্ট

নিউজটি শেয়ার করুন

সাংবাদিক আনিস আলমগীরের গ্রেপ্তারে সম্পাদক পরিষদের নিন্দা

আপডেট সময় ১৫ ঘন্টা আগে

সন্ত্রাসবিরোধী আইনে সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে গ্রেপ্তার করায় সম্পাদক পরিষদ ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। তারা এই সিদ্ধান্তকে একেবারেই গ্রহণযোগ্য মনে করেনা এবং মামলার প্রত্যাহারের দাবি জানায়। সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সম্পাদক পরিষদের সভাপতি নূরুল কবির এবং সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ এক যৌথ বিবৃতিতে এই নিন্দা জানায়। বিবৃতিতে বলা হয়, রোববার আনিস আলমগীরকে কোন অভিযোগ ছাড়াই ডিবি কার্যালয়ে ডেকে আনা হয়। সেখানে তাকে আটক রেখে পরদিন তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা দায়ের এবং গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এ ধরনের ঘটনা অতীতের স্বৈরাচারী শাসনামলের সাংবাদিকদের প্রতি রাষ্ট্রীয় দমন-পীড়নের কথা মনে করিয়ে দেয়। ‘আমরা পূর্বে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ও এই ধরনের চর্চা দেখেছি। তখন সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা, হয়রানি ও নির্বিচার গ্রেপ্তার নিয়মিত ঘটনা ছিল। বর্তমান ঘটনাটিও সেই দুঃখজনক বাস্তবতার পুনরাবৃত্তি।’ বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সম্পাদক পরিষদ এই ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করছে। একই সঙ্গে পরিষদ স্পষ্ট করে বলতে চায়—যদি কোন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট অভিযোগ থাকে, তা অবশ্যই আইনের শাসন ও ন্যায্য বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিষ্পত্তি করতে হবে। অভিযোগ ছাড়াই ডিবি কার্যালয়ে ডেকে আনা, আটকে রাখা বা পরে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার দেখানো একেবারেই অগ্রহণযোগ্য। আরও বলা হয়, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের জন্য গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে দেশের অনেক সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং আরও অনেকেই এখনো কারাগারে রয়েছেন। এ বিষয়েও আগেও সম্পাদক পরিষদ তাদের অবস্থান পরিষ্কার করে বলেছে, সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা হত্যা মামলাগুলো প্রত্যাহার করতে হবে। সরকারের পক্ষ থেকে আইন উপদেষ্টা এই মিথ্যা মামলা ও হয়রানির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও এখনও মামলাগুলো প্রত্যাহার করা হয়নি। বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, এই ধরনের ঘটনা অতীতের স্বৈরাচারী শাসনামলের সাংবাদিক নিপীড়নের স্মৃতি ফিরিয়ে আনে। সম্পাদক পরিষদ এই আচরণের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে ও সকল ভিত্তিহীন মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছে। উল্লেখ্য, রোববার (১৪ ডিসেম্বর) ধানমন্ডির একটি জিম থেকে আনিস আলমগীরকে ডিবি হেফাজতে নেওয়া হয়। একই রাতে তিনি ও অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওনসহ চারজনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা দায়ের করা হয়। মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের জুলাই মাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় দেশকে অস্থিতিশীল ও অবকাঠামো ধ্বংসের ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। এছাড়া আসামিরা সোশ্যাল মিডিয়া ও টেলিভিশনের টকশোতে নিষিদ্ধ সংগঠনকে ফিরিয়ে আনার প্রচারণা চালাচ্ছিল। পরে আজ বিকালে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে ৫ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে এই সাংবাদিককে।


প্রিন্ট