, মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
সংবাদের বিষয়ে কিছু জানাতে ইমেইল করুন [email protected] ঠিকানায়

এবারের বিজয় দিবস হোক জাতীয় জীবনে নতুনভাবে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার দিন

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় ৭ ঘন্টা আগে
  • / ৫ বার পড়া হয়েছে

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, এবারের বিজয় দিবস আমাদের জাতীয় জীবনে নতুন করে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার একটি দিন। তিনি উল্লেখ করেন, ১৯৭১ সালের বিজয়ের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীনতার সূর্য উদিত হলেও পরবর্তীতে বহু সময় কর্তৃত্ববাদ ও দুর্নীতির অন্ধকারে ডুবেছি। জুলাই মাসের গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে আমরা আবারও স্বৈরাচার ও বৈষম্য মুক্ত একটি গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠার সুযোগ পেয়েছি। ড. ইউনূস আরও বলেন, একনিষ্ঠভাবে গঠিত সুশাসন এবং প্রগতিশীল বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নে বর্তমান সরকারের নেওয়া ব্যাপক সংস্কার কর্মসূচি এখন জনগণের একত্রিত অংশগ্রহণে সফলতার পথে এগিয়ে চলছে। আমি আশাবাদী, এসব উদ্যোগের ফলে স্বৈরাচার নির্মূল হবে এবং দেশের সব ক্ষেত্রেই জনগণের কেন্দ্রিক উন্নয়ন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা হবে। ১৬ ডিসেম্বর, মহান বিজয় দিবসের শুভলগ্নে প্রধান উপদেষ্টা এই কথাগুলো বলেন। তিনি বলেন, ১৬ ডিসেম্বর—আমাদের মহান বিজয় দিবস। বাংলাদেশের ইতিহাসে এটি এক অম্লান ও গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়। ১৯৭১ সালের এই দিনে নয় মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের পেছনে লুকানো কষ্ট ও সাহসের গল্পের ফলশ্রুতিতে আমরা পেয়েছি আমাদের স্বাধিকার। অসংখ্য শহীদের আত্মত্যাগ ও রক্তের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি স্বাধীন জাতীয় পরিচয় এবং লাল-সবুজের পতাকা। এই মহান উপলক্ষে দেশের পাশাপাশি প্রবাসে বসবাসরত সকল বাংলাদেশিকে আমি আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই। প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার জন্য জীবন উৎসর্গকারী শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা প্রকাশ করছি। তাদের ত্যাগ আমাদের অন্যায় ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান নিতে অনুপ্রাণিত করে, প্রতিটি সংকট ও সংগ্রামে মুক্তির পথ দেখায়। তিনি বলেন, এই বিজয় দিবস হতে পারে দেশের নতুন একতা ও ঐক্যের আহ্বান। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অনুপ্রাণিত হয়ে যে গণতান্ত্রিক পরিবর্তনের সূচনা হয়েছে, তা রক্ষা করতে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। অধ্যাপক ইউনূস প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ, সুখী ও সুন্দর বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আসুন, যে স্বাধীনতা আমরা ত্যাগের বিনিময়ে পেয়ে এসেছি, তার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে ধর্ম, জাতি বা সম্প্রদায় নির্বিশেষে শান্তি ও সমৃদ্ধির পথে একসাথে এগিয়ে চলি।


প্রিন্ট
ট্যাগস

নিউজটি শেয়ার করুন

এবারের বিজয় দিবস হোক জাতীয় জীবনে নতুনভাবে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার দিন

আপডেট সময় ৭ ঘন্টা আগে

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, এবারের বিজয় দিবস আমাদের জাতীয় জীবনে নতুন করে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার একটি দিন। তিনি উল্লেখ করেন, ১৯৭১ সালের বিজয়ের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীনতার সূর্য উদিত হলেও পরবর্তীতে বহু সময় কর্তৃত্ববাদ ও দুর্নীতির অন্ধকারে ডুবেছি। জুলাই মাসের গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে আমরা আবারও স্বৈরাচার ও বৈষম্য মুক্ত একটি গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠার সুযোগ পেয়েছি। ড. ইউনূস আরও বলেন, একনিষ্ঠভাবে গঠিত সুশাসন এবং প্রগতিশীল বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নে বর্তমান সরকারের নেওয়া ব্যাপক সংস্কার কর্মসূচি এখন জনগণের একত্রিত অংশগ্রহণে সফলতার পথে এগিয়ে চলছে। আমি আশাবাদী, এসব উদ্যোগের ফলে স্বৈরাচার নির্মূল হবে এবং দেশের সব ক্ষেত্রেই জনগণের কেন্দ্রিক উন্নয়ন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা হবে। ১৬ ডিসেম্বর, মহান বিজয় দিবসের শুভলগ্নে প্রধান উপদেষ্টা এই কথাগুলো বলেন। তিনি বলেন, ১৬ ডিসেম্বর—আমাদের মহান বিজয় দিবস। বাংলাদেশের ইতিহাসে এটি এক অম্লান ও গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়। ১৯৭১ সালের এই দিনে নয় মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের পেছনে লুকানো কষ্ট ও সাহসের গল্পের ফলশ্রুতিতে আমরা পেয়েছি আমাদের স্বাধিকার। অসংখ্য শহীদের আত্মত্যাগ ও রক্তের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি স্বাধীন জাতীয় পরিচয় এবং লাল-সবুজের পতাকা। এই মহান উপলক্ষে দেশের পাশাপাশি প্রবাসে বসবাসরত সকল বাংলাদেশিকে আমি আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই। প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার জন্য জীবন উৎসর্গকারী শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা প্রকাশ করছি। তাদের ত্যাগ আমাদের অন্যায় ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান নিতে অনুপ্রাণিত করে, প্রতিটি সংকট ও সংগ্রামে মুক্তির পথ দেখায়। তিনি বলেন, এই বিজয় দিবস হতে পারে দেশের নতুন একতা ও ঐক্যের আহ্বান। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অনুপ্রাণিত হয়ে যে গণতান্ত্রিক পরিবর্তনের সূচনা হয়েছে, তা রক্ষা করতে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। অধ্যাপক ইউনূস প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ, সুখী ও সুন্দর বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আসুন, যে স্বাধীনতা আমরা ত্যাগের বিনিময়ে পেয়ে এসেছি, তার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে ধর্ম, জাতি বা সম্প্রদায় নির্বিশেষে শান্তি ও সমৃদ্ধির পথে একসাথে এগিয়ে চলি।


প্রিন্ট