, মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo সিডনির সমুদ্র সৈকতে হামলায় জড়িতদের একজন ভারতের নাগরিক Logo পরাজিত ফ্যাসিস্ট শক্তি আর কখনো দেশের মাটিতে ফিরবে না: প্রধান উপদেষ্টা Logo নওগাঁয় জাতীয় পার্টির মিটিং পণ্ড-অফিস ভাঙচুর করলো ছাত্র-জনতা Logo পশ্চিমবঙ্গের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের পদত্যাগের ইচ্ছা Logo খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিশ্চিত করতে সর্বাত্মক সহযোগিতা করছে সরকার Logo নোয়াখালীতে খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় জেলা যুবদলের দোয়া মাহফিল Logo রেকর্ড মূল্যে কলকাতায় মোস্তাফিজ Logo কক্সবাজারে দাঁড়িয়ে থাকা বাসে আগুন Logo জামায়াত শুধু মুখে নয়, অন্তরে স্বাধীনতাকে ধারণ করে: মাসুদ সাঈদী Logo মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কামালকে দেশে ফেরাতে আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া শুরু: প্রধান উপদেষ্টা
নোটিশ :
সংবাদের বিষয়ে কিছু জানাতে ইমেইল করুন [email protected] ঠিকানায়

জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণে স্মৃতিসৌধে সর্বস্তরের জনতার ঢল

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০ ঘন্টা আগে
  • / ৫ বার পড়া হয়েছে

মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি সম্মান জানাতে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে মানুষের ঢল নামে। মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) ভোর থেকে দেশের জন্য জীবন উৎসর্গকারী শহীদদের স্মরণে ফুলের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা প্রকাশের জন্য প্রাঙ্গণ ভরে উঠে। ভোর ৬টা ৩১ মিনিটে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন শহীদ বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এর কিছু সময় পর প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসও ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। রাষ্ট্রপতি ও উপদেষ্টা কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে শহীদদের স্মরণ করেন, এসময় সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত চৌকস দল রাষ্ট্রীয় সালাম প্রদান করে। এরপর শহীদ বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ। পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন প্রান্তের বিদেশি কূটনীতিক ও উপদেষ্টা পরিষদ সদস্যরা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ নানা পেশার মানুষদের উপস্থিতিতে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মুক্তিযুদ্ধের বীর সন্তানদের প্রতি সম্মান জানানো হয়। এ দিনটি উপলক্ষে নিরাপত্তা ব্যবস্থা কঠোর করা হয়। সরেজমিনে দেখা যায়, স্মৃতিসৌধের প্রবেশদ্বার সাধারণ মানুষের জন্য খোলা থাকায় ভিড় আরও বেড়ে যায়। বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা ফুল, ব্যানার ও ফেস্টুন হাতে নিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। শিশু ও বৃদ্ধরাও উপস্থিত ছিলেন, অনেকের হাতে ও মুখে লাল-সবুজের জাতীয় পতাকার ছবি দেখা যায়। এই দিনটি উদযাপনকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সাদা পোশাক ও রুটিন দায়িত্বে নিয়োজিত থাকেন। শীত উপেক্ষা করে শহীদদের স্মরণে আসেন মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারণ মানুষ। বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে দেশের সর্বোচ্চ সংখ্যক জাতীয় পতাকা নিয়ে প্যারাশুটিং ও ফ্লাই-পাস্টের আয়োজন করা হয়। ‘টিম বাংলাদেশ’-এর ৫৪ জন প্যারাট্রুপার পতাকাবাহী স্কাইডাইভের মাধ্যমে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড গড়বে। ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের ইতিহাসে এক বিশেষ দিন; এটি বিজয়, স্বাধীনতা ও আত্মসম্মানের প্রতীক। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণের মাধ্যমে নয় মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের সমাপ্তি ঘটে এবং দেশ স্বাধীনতা লাভ করে। বিজয় দিবস প্রতিটি প্রজন্মকে দেশপ্রেম, ত্যাগ ও দায়িত্ববোধের স্মৃতি মনে করিয়ে দেয়।


প্রিন্ট

নিউজটি শেয়ার করুন

জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণে স্মৃতিসৌধে সর্বস্তরের জনতার ঢল

আপডেট সময় ১০ ঘন্টা আগে

মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি সম্মান জানাতে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে মানুষের ঢল নামে। মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) ভোর থেকে দেশের জন্য জীবন উৎসর্গকারী শহীদদের স্মরণে ফুলের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা প্রকাশের জন্য প্রাঙ্গণ ভরে উঠে। ভোর ৬টা ৩১ মিনিটে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন শহীদ বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এর কিছু সময় পর প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসও ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। রাষ্ট্রপতি ও উপদেষ্টা কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে শহীদদের স্মরণ করেন, এসময় সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত চৌকস দল রাষ্ট্রীয় সালাম প্রদান করে। এরপর শহীদ বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ। পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন প্রান্তের বিদেশি কূটনীতিক ও উপদেষ্টা পরিষদ সদস্যরা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ নানা পেশার মানুষদের উপস্থিতিতে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মুক্তিযুদ্ধের বীর সন্তানদের প্রতি সম্মান জানানো হয়। এ দিনটি উপলক্ষে নিরাপত্তা ব্যবস্থা কঠোর করা হয়। সরেজমিনে দেখা যায়, স্মৃতিসৌধের প্রবেশদ্বার সাধারণ মানুষের জন্য খোলা থাকায় ভিড় আরও বেড়ে যায়। বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা ফুল, ব্যানার ও ফেস্টুন হাতে নিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। শিশু ও বৃদ্ধরাও উপস্থিত ছিলেন, অনেকের হাতে ও মুখে লাল-সবুজের জাতীয় পতাকার ছবি দেখা যায়। এই দিনটি উদযাপনকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সাদা পোশাক ও রুটিন দায়িত্বে নিয়োজিত থাকেন। শীত উপেক্ষা করে শহীদদের স্মরণে আসেন মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারণ মানুষ। বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে দেশের সর্বোচ্চ সংখ্যক জাতীয় পতাকা নিয়ে প্যারাশুটিং ও ফ্লাই-পাস্টের আয়োজন করা হয়। ‘টিম বাংলাদেশ’-এর ৫৪ জন প্যারাট্রুপার পতাকাবাহী স্কাইডাইভের মাধ্যমে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড গড়বে। ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের ইতিহাসে এক বিশেষ দিন; এটি বিজয়, স্বাধীনতা ও আত্মসম্মানের প্রতীক। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণের মাধ্যমে নয় মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের সমাপ্তি ঘটে এবং দেশ স্বাধীনতা লাভ করে। বিজয় দিবস প্রতিটি প্রজন্মকে দেশপ্রেম, ত্যাগ ও দায়িত্ববোধের স্মৃতি মনে করিয়ে দেয়।


প্রিন্ট