নওগাঁয় বাসচাপায় কারারক্ষী নিহত
তারেক রহমানের সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ পাবেন যে ১০ জন
লালবাগে প্লাস্টিকের গোডাউনে আগুন
৩০০ আসনেই প্রার্থী দেবে জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট
দিল্লিতে বাংলাদেশি হাইকমিশনারকে তলব
জানা গেলো ওসমান হাদির স্বাস্থ্যের সবশেষ তথ্য
পাবনায় বিএনপি নেতাকে গুলি করে হত্যা
শ্রমশক্তি রপ্তানিতে বড় বাধা দালাল চক্র: প্রধান উপদেষ্টা
ভোটের নজরদারিতে সব কেন্দ্রে থাকবে সিসি ক্যামেরা
সরকারি অনুষ্ঠানে বিএনপির দলীয় স্লোগান, ইউএনওর হস্তক্ষেপ
শ্রমশক্তি রপ্তানিতে বড় বাধা দালাল চক্র: প্রধান উপদেষ্টা
- আপডেট সময় ৩ ঘন্টা আগে
- / ২ বার পড়া হয়েছে
বিদেশে কর্মসংস্থানের পথের সবচেয়ে বড় বাধা হিসেবে দালাল চক্রের উপস্থিতিকে চিহ্নিত করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক অভিবাসী ও প্রবাসী দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি বলেন, শ্রমশক্তি রপ্তানির সকল প্রক্রিয়া দালালদের দখলে চলে গেছে, যার কারণে অসংখ্য মানুষ প্রতারণার শিকার হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, এই শ্রমশক্তি রপ্তানি খাতকে দালাল মুক্ত করতে না পারলে অগ্রগতি অর্জন করা সম্ভব নয়। সংযুক্ত আরব আমিরাতে শ্রমিকদের মুক্তির স্মৃতি রোমন্থন করে তিনি বলেন, তারা অনেক কষ্ট করে বিদেশ গেছেন। সেখানে আইন অমান্য করলে শাস্তি কি হবে—allই তারা জানতো, তারপরও দেশের জন্য আইন ভেঙে ফেলেছিল। পরবর্তীতে সেই দেশের সরকারকে অনুরোধ করায় তারা তাদের মুক্তি দেয়। তিনি বলেন, আমি প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর, আনোয়ার ইব্রাহিম এখানে এসেছিলেন। তখন শুনলাম, ১৭ হাজার শ্রমিকের মেয়াদ শেষ হওয়ার কারণে মালয়েশিয়া যেতে পারেনি। তারা সব ধরনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে। আনোয়ার ইব্রাহিমকে বললাম, এই শ্রমিকদের যেতে দিতে হবে। তিনি বললেন, ঠিক আছে, নিয়ে যাব। পরে মালয়েশিয়া সফরে গিয়ে বিষয়গুলো নিয়ে কাজ শুরু করলাম। তখন দেখা গেল, পুরো বিশ্বদৃশ্য দালাল ও সিন্ডিকেট দ্বারা ভরপুর। সরকার এখান থেকে অনেক দূরে। এজন্য যারা বিদেশ যেতে চান, তাদের ভাগ্যটাই ভালো। ড. ইউনূস বলেন, জাপানে সফর করে বোঝা গেল, তারা শ্রমিকের প্রয়োজন। আমরা বললাম, আমাদের কাছে তো লোক রয়েছে। কতজন দরকার? বললেন, জানাবো। তারা নেপাল থেকে ৭ হাজার শ্রমিক নিয়েছে। আমি জানতে চাইলাম, বাংলাদেশ থেকে কত নিয়েছে? বলল, মাত্র ২ হাজার। শুনে বিস্মিত হলাম—নেপাল থেকে এতো বেশি, তাহলে বাংলাদেশ থেকে কম কেন? তারা জিজ্ঞেস করল, কত দিতে পারব। আমি বললাম, এক লাখ লোক দিতে পারি। কেবল ভাষা শিখলেই ওখানে যেতে পারবেন। তিনি আরও বলেন, জাপানের অনেক শহরে ট্যাক্সি চালানো বন্ধ হয়ে গেছে, ড্রাইভার নেই। অনেক জায়গায় খালি জমি পড়ে আছে, জনশূন্য। তারা বলল, আমাদের জন্য লোক পাঠাও যাতে এসব চালু করা যায়। কৃষি কাজে ব্যবহার করা যায়। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, পৃথিবীতে তরুণের অভাব নেই, আমরা তরুণদের খনি। এটা সোনার চেয়েও মূল্যবান। বিশ্বকে আমাদের কাছে আসতেই হবে, কারণ এত তরুণ শ্রমশক্তি অন্য কোথাও পাওয়া যায় না। অনুষ্ঠানে প্রবাসী কল্যাণ উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল প্রবাসীদের কল্যাণে অন্তর্বর্তী সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন।
প্রিন্ট























