খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব বড়দিন ও থার্টি ফার্স্ট নাইটের জন্য বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে পুলিশ। বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) সকালে বাংলাদেশ পুলিশের আইজিপি বাহারুল আলমের সভাপতিত্বে পুলিশ সদর দপ্তরের হল অব প্রাইডে অনুষ্ঠিত নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে উপস্থিত খ্রিস্টান নেতৃবৃন্দ বলেছেন, সকলের সহযোগিতায় এ বছরও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও উৎসবমুখর পরিবেশে বড়দিন উদযাপিত হবে। আইজিপি বক্তৃতায় উল্লেখ করেন, বড়দিনের উৎসব সার্বজনীন। এ উপলক্ষে পুলিশ সতর্ক রয়েছে। দেশের পুলিশ বাহিনীর সক্ষমতার ভিত্তিতে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে বড়দিন ও থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন সম্ভব হবে। সভায় জানানো হয়, নিরাপত্তা পরিস্থিতি বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী যদি সামাজিক মাধ্যমে বিভ্রান্তিকর পোস্ট, মন্তব্য বা ছবি প্রকাশ করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ভাঙার চেষ্টা করে, তবে তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গুজব রোধে সাইবার মনিটরিং আরও জোরদার করা হবে। সভায় দেশের বিভিন্ন জায়গায় গির্জার নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ছাড়াও স্বেচ্ছাসেবকদের নিয়োগ, পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা, স্ট্যান্ডবাই জেনারেটর বা চার্জার লাইটের ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ জানানো হয়। থার্টি ফার্স্ট নাইটের জন্য কক্সবাজার ও কুয়াকাটা সহ সব পর্যটন কেন্দ্রে নিরাপত্তা বাড়ানো হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে। উচ্চশব্দে গাড়ির হর্ন বাজানো বা বেপরোয়া গতিতে গাড়ি ও মোটরসাইকেল চালানোর ক্ষেত্রে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জরুরি পরিস্থিতিতে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ অথবা সংশ্লিষ্ট বিট পুলিশ অফিসারকে সহযোগিতা নেওয়ার জন্য সবাইকে অনুরোধ জানানো হয়।