, শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ৬ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
নোটিশ :
সংবাদের বিষয়ে কিছু জানাতে ইমেইল করুন [email protected] ঠিকানায়

ওসমান হাদির জানাজা: সংসদ ভবন এলাকায় জনস্রোত

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় ২ ঘন্টা আগে
  • / ৫ বার পড়া হয়েছে

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান হাদির জানাজায় অংশ নিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষের ঢল নেমেছে। শনিবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুর ২টায় শহীদ হাদির জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। তবে নির্ধারিত সময়ের অনেক আগে থেকেই মানিক মিয়া অ্যাভিনিউসহ আশপাশের এলাকাগুলোতে হাজারো মানুষ জড়ো হতে শুরু করে। দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করার পর সকাল সাড়ে দশটায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সাধারণ জনগণকে দক্ষিণ প্লাজায় প্রবেশের অনুমতি দেয়। ভিড় নিয়ন্ত্রণে প্রতিটি প্রবেশপথে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয় পুলিশ। চীন থেকে আনা আটটি আর্চওয়ে গেট দিয়ে ছাত্র-জনতা প্রবেশ করে।

রাজধানী ঢাকা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন জেলা থেকেও জানাজায় অংশ নিতে মানুষ ছুটে এসেছে। সবাই চেষ্টা করছে সময়ের আগেই পৌঁছানোর। সাধারণ মানুষ বলছেন, এই জানাজা হবে ইতিহাসের সর্ববৃহৎ গণজমায়েত।

অপরদিকে, জানাজা চলাকালে কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। পুরো এলাকা জুড়ে বাড়তি নিরাপত্তা ও নজরদারি চালানো হচ্ছে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের চিকিৎসক ও ন্যাশনাল হেলথ অ্যালায়েন্সের (এনএইচএ) সদস্য সচিব ডা. মো. আব্দুল আহাদ জানান, শহীদ ওসমান হাদির জানাজার নামাজ পড়বেন তার বড় ভাই আবু বকর সিদ্দিক। দাফন হবে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবরের পাশেই।

১২ ডিসেম্বর গণসংযোগের সময় রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় গেলে চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে হাদিকে গুলি করা হয়। গুলিটি তার মাথায় লাগে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে অস্ত্রোপচারের জন্য ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে হাদিকে সিঙ্গাপুরের জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে ১৮ ডিসেম্বর রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

১৯ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টা ৩ মিনিটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে শহীদ হাদির মরদেহ চাঙ্গি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ত্যাগ করে। সন্ধ্যা ৫টা ৪৮ মিনিটে হাদির মরদেহ বহনকারী ফ্লাইটটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।


প্রিন্ট

নিউজটি শেয়ার করুন

ওসমান হাদির জানাজা: সংসদ ভবন এলাকায় জনস্রোত

আপডেট সময় ২ ঘন্টা আগে

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান হাদির জানাজায় অংশ নিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষের ঢল নেমেছে। শনিবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুর ২টায় শহীদ হাদির জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। তবে নির্ধারিত সময়ের অনেক আগে থেকেই মানিক মিয়া অ্যাভিনিউসহ আশপাশের এলাকাগুলোতে হাজারো মানুষ জড়ো হতে শুরু করে। দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করার পর সকাল সাড়ে দশটায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সাধারণ জনগণকে দক্ষিণ প্লাজায় প্রবেশের অনুমতি দেয়। ভিড় নিয়ন্ত্রণে প্রতিটি প্রবেশপথে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয় পুলিশ। চীন থেকে আনা আটটি আর্চওয়ে গেট দিয়ে ছাত্র-জনতা প্রবেশ করে।

রাজধানী ঢাকা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন জেলা থেকেও জানাজায় অংশ নিতে মানুষ ছুটে এসেছে। সবাই চেষ্টা করছে সময়ের আগেই পৌঁছানোর। সাধারণ মানুষ বলছেন, এই জানাজা হবে ইতিহাসের সর্ববৃহৎ গণজমায়েত।

অপরদিকে, জানাজা চলাকালে কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। পুরো এলাকা জুড়ে বাড়তি নিরাপত্তা ও নজরদারি চালানো হচ্ছে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের চিকিৎসক ও ন্যাশনাল হেলথ অ্যালায়েন্সের (এনএইচএ) সদস্য সচিব ডা. মো. আব্দুল আহাদ জানান, শহীদ ওসমান হাদির জানাজার নামাজ পড়বেন তার বড় ভাই আবু বকর সিদ্দিক। দাফন হবে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবরের পাশেই।

১২ ডিসেম্বর গণসংযোগের সময় রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় গেলে চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে হাদিকে গুলি করা হয়। গুলিটি তার মাথায় লাগে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে অস্ত্রোপচারের জন্য ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে হাদিকে সিঙ্গাপুরের জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে ১৮ ডিসেম্বর রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

১৯ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টা ৩ মিনিটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে শহীদ হাদির মরদেহ চাঙ্গি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ত্যাগ করে। সন্ধ্যা ৫টা ৪৮ মিনিটে হাদির মরদেহ বহনকারী ফ্লাইটটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।


প্রিন্ট