ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের আগাম প্রস্তুতির অংশ হিসেবে সাধারণ জনগণ, ভোটার, প্রার্থী ও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিশ্বাসের পরিবেশ সৃষ্টি করতে শীঘ্রই মাঠে যৌথবাহিনীর অভিযান আবার শুরু হবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ। রোববার সন্ধ্যায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে তিন বাহিনী প্রধানের সঙ্গে বৈঠক এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনার সভার পর ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, এ যৌথবাহিনীর মূল লক্ষ্য হবে অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার, সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার ও তাদের আইনের আওতায় আনা। পাশাপাশি ভোটার, প্রার্থী ও দলগুলোর মধ্যে নিরাপত্তা ও আস্থার পরিবেশ জোরদার করা হবে। সানাউল্লাহ আরও জানান, যেখানে অস্ত্রের আনাগোনা রয়েছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে, সেখানে বিশেষ অভিযান চালানো হবে। পাশাপাশি এলাকাভিত্তিক চেকপয়েন্ট কার্যক্রমেও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, সামগ্রিকভাবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। যারা নির্বাচনকে বিঘ্নিত বা দুর্বল করতে চায়, তাদের কার্যক্রম চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব অপতৎপরতা মূলত শহরকেন্দ্রিক এবং পরিকল্পিতভাবে পরিচালিত হচ্ছে বলে মনে করছে কমিশন। নির্বাচন কমিশনার বলেন, গোপন হামলা সাধারণত পরাজিত শক্তির কৌশল। এ ধরনের কর্মকাণ্ড যেন কেউ না করতে সাহস পায়, সে জন্য গোয়েন্দা সংস্থাসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। বৈঠকে জানানো হয়, তফসিল ঘোষণা পর সার্বিক পরিস্থিতি মূল্যায়ন করে নির্বাচন কমিশন প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছে। নির্বাচন পরিবেশ নষ্ট করার কোনো কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে না এবং প্রয়োজন হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, প্রার্থী ও সম্ভাব্য প্রার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশের একটি নির্দিষ্ট প্রোটোকল কার্যকর রয়েছে। যারা নিরাপত্তা চাচ্ছেন, তাদের সেই প্রোটোকল অনুযায়ী নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে। তিন বাহিনী প্রধানের সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে সানাউল্লাহ জানান, সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী সমন্বিতভাবে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিয়েছে। সেনাবাহিনী এক লাখ সদস্য মোতায়েনের পরিকল্পনা করেছে এবং প্রয়োজন অনুযায়ী এ সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে।