এবার এনসিপি নেতাকে প্রকাশ্যে গুলি
ঢাকা-১০ আসনে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করলেন আসিফ মাহমুদ
মুক্তি পেলো গণঅপহরণের শিকার ১৩০ শিক্ষার্থী
গানম্যান পেলেন নাহিদ-হাসনাত-সারজিস-জারা
লুটের টাকায় টিভি ও ফ্রিজ কিনেছেন গ্রেপ্তার নাইম
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনায় প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে বৈঠক
প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারে হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার ৯
বিবাহবিচ্ছেদের ঘোষণা দিলেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী
বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দামে নতুন রেকর্ড
ড্রোন হামলায় সুদানে ১০ জন নিহত
প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারে হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার ৯
- আপডেট সময় ২ ঘন্টা আগে
- / ৩ বার পড়া হয়েছে
জাতীয় দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার এবং দুটি সাংস্কৃতিক সংগঠনের কার্যালয়ে সাম্প্রতিক হামলার সাথে যুক্ত সন্দেহে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে নয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে। সোমবার (২২ ডিসেম্বর) সকালে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে সাতজনের পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হয়েছে। তারা হলেন: মো. কাশেম ফারুক, মো. সাইদুর রহমান, রাকিব হোসেন, মো. নাইম, ফয়সাল আহমেদ প্রান্ত, মো. সোহেল রানা এবং মো. শফিকুল ইসলাম। এর পাশাপাশি পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট ও গোয়েন্দা পুলিশ আরও দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তাদের পরিচয় যাচাই-বাছাই চলছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী রোববার (২১ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে জানিয়েছেন যে সাম্প্রতিক এসব ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে ইতিমধ্যে ৩১ জনকে প্রাথমিকভাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। আরও জানানো হয়, চট্টগ্রামে ভারতের সহকারী হাইকমিশনারের বাসভবনের কাছে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টাকারীদের মধ্যে তিনজনকে ভিডিও ফুটেজের মাধ্যমে শনাক্ত করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার কাশেম ফারুক বগুড়ার আল-জামিয়া আল-ইসলামিয়া কাসেমুল উলুম মাদরাসার সাবেক ছাত্র এবং ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকার বাসিন্দা। মো. সাইদুর রহমান ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা উপজেলার নোয়াকান্দা গ্রামে থাকেন।
শেরপুর জেলার বাসিন্দা রাকিব হোসেন কে প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার এর ভিডিও ফুটেজে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগে সক্রিয় অংশগ্রহণকারী হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। তার আইডি থেকে ধ্বংসাবশেষের ছবি তোলা হয়েছে এবং তিনি ফেসবুকেও উসকানিমূলক পোস্ট করেন।
ঢাকার তেজগাঁওয়ের কুনিপাড়া এলাকার বাসিন্দা মো. নাইমকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় এই ঘটনায় লুট হওয়া ৫০ হাজার টাকাসহ গ্রেপ্তার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নাইম স্বীকার করেছেন, তিনি মোট এক লাখ ২৩ হাজার টাকা লুট করেছেন। লুটকৃত অর্থ দিয়ে তিনি মোহাম্মদপুর থেকে একটি টিভি ও একটি ফ্রিজ কিনেছিলেন, যা ইতিমধ্যে উদ্ধার করা হয়েছে। ঢাকার কারওয়ান বাজার রেললাইন এলাকায় গ্রেপ্তার মো. সোহেল রানার বিরুদ্ধে মাদকসহ অন্যান্য আইনে ঢাকার বিভিন্ন থানায় ১৩টি মামলা রয়েছে। একই এলাকার গ্রেপ্তার মো. শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে অতীতে অগ্নিসংযোগ ও ককটেল বিস্ফোরণের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে দুটি মামলা দায়ের হয়েছে।
অন্য গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ এখন চলমান বলে জানানো হয়েছে।
প্রিন্ট























