, সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ৮ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo এনসিপির ৬ নেতাসহ ২০ জন পেলেন গানম্যান Logo ওসমান হাদি হত্যার ঘটনায় অনেক অগ্রগতি হয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Logo গণতন্ত্র ও অভ্যুত্থানের ওপর আঘাত এসেছে: মির্জা ফখরুল Logo জুলাই অভ্যুত্থানের নামে মব সমর্থন করে না এনসিপি: নাহিদ ইসলাম Logo খুলনায় এনসিপি নেতাকে প্রকাশ্যে গুলির প্রসঙ্গে যা জানাল পুলিশ Logo শহীদ শরীফ ওসমান হাদি হত্যার বিচার হবে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে: আইন উপদেষ্টা Logo ভারত-বাংলাদেশ উত্তেজনা প্রসঙ্গে যা বললেন রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত Logo কুড়িগ্রাম সীমান্তে ৩৫ লাখ টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ, আটক ১ Logo হাদি হত্যার বিচারে ‘দ্রুত বিচারিক ট্রাইব্যুনাল’ গঠনের দাবি ইনকিলাব মঞ্চের Logo আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করল ‘কারুবীথি’
নোটিশ :
সংবাদের বিষয়ে কিছু জানাতে ইমেইল করুন [email protected] ঠিকানায়

ভারত-বাংলাদেশ উত্তেজনা প্রসঙ্গে যা বললেন রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় ৩ ঘন্টা আগে
  • / ২ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক কেবল দুই দেশের জন্য নয়, বরং সমগ্র দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার গ্রিগোরিয়েভিচ খোজিন। সোমবার (২২ ডিসেম্বর) ঢাকার গুলশানে অবস্থিত রুশ দূতাবাসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপের সময় তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিষয়ে কোনো নির্দিষ্ট মন্তব্য করতে চাই না। তবে পরিস্থিতি আমাদের নজরে রয়েছে। কারণ, এটি শুধু দুই দেশের জন্য নয়, বরং পুরো দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। এটি একটি ভূরাজনৈতিক বিষয়, যার নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে যদি সমাধান না হয়। ভারত–বাংলাদেশের মধ্যে চলমান উত্তেজনা দ্রুত কমানোর প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত বলেন, ভারতের সঙ্গে যত দ্রুত সম্ভব উত্তেজনা কমানো উচিত। এটা খুবই ভালো। ইতিহাস থেকে আমরা জানি, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে ভারতের বড় ভূমিকা ছিল এবং তখন রাশিয়াও সমর্থন দিয়েছিল। ভারত, বাংলাদেশ ও রাশিয়া একসঙ্গে কাজ করে এসেছে। সেই সময় মাইন পরিষ্কারের মতো কাজেও সহযোগিতা করা হয়েছিল। নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে খোজিন বলেন, আমার স্পষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি— যেকোনো ধরনের উত্তেজনা যত দ্রুত সম্ভব কমাতে হবে। এই প্রসঙ্গে তিনি ইউক্রেন যুদ্ধের উদাহরণ টানেন। বলেন, আমরা আমাদের প্রতিবেশী দেশ বেছে নিতে পারি না। ইউক্রেনের সঙ্গে আমাদের অভিজ্ঞতা আমাদের জন্য চিন্তার বিষয়। একইভাবে এখানকার ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়েও আমরা উদ্বিগ্ন। তিনি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের বক্তব্যের কথাও উল্লেখ করেন, বলেন, আমরা তার কথা পড়েছি। তিনি সব পক্ষের সঙ্গে ভারসাম্যপূর্ণ সমাধানের জন্য এগিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন, যাতে উত্তেজনা কমে। নির্বাচন প্রসঙ্গে রাশিয়ার অবস্থান: আলোচনা শেষের দিকে এসে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে রাশিয়ার দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেন রাষ্ট্রদূত খোজিন। তিনি বলেন, অবশ্যই আমরা একটি ইতিবাচক, বন্ধুত্বপূর্ণ, অহিংস, চরমপন্থামুক্ত ও সহিংসতা মুক্ত পরিবেশে নির্বাচন সম্পন্ন হতে চাই। এটা আমাদের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ, এবং এই দেশের জন্যও। বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, আমরা দেখেছি, দেশে বিভিন্ন অস্থিরতা ও সহিংসতার ঘটনা ঘটছে। আমরা বাংলাদেশে উত্তেজনা কমাতে আগ্রহী। এটি নির্বাচনের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নির্বাচনে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক পাঠানোর বিষয়েও তিনি স্পষ্ট করেন, আমরা আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের স্বাগত জানাই। তবে এ জন্য অবশ্যই নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে। নির্বাচন কমিশনই এ ব্যাপারে দায়িত্বশীল। তিনি যোগ করেন, আমরা ইতিবাচকভাবে সাড়া দিতে প্রস্তুত। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ এলে তা মস্কোয় জানানো হবে। আমরা সেই আমন্ত্রণের জন্য অপেক্ষায় আছি। পূর্ব অভিজ্ঞতা উল্লেখ করে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত বলেন, যখন রাশিয়া অন্য দেশের নির্বাচন পর্যবেক্ষণে যায়, তখন সাধারণত রাশিয়ার কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধি, সামাজিক সংগঠনের সদস্য এবং কখনো কখনো স্টেট ডুমা বা উচ্চকক্ষের প্রতিনিধিরাও থাকেন। অতএব, নির্বাচন কমিশনের আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ না আসা পর্যন্ত আমাদের অপেক্ষা করতে হবে।


প্রিন্ট
ট্যাগস

নিউজটি শেয়ার করুন

ভারত-বাংলাদেশ উত্তেজনা প্রসঙ্গে যা বললেন রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত

আপডেট সময় ৩ ঘন্টা আগে

বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক কেবল দুই দেশের জন্য নয়, বরং সমগ্র দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার গ্রিগোরিয়েভিচ খোজিন। সোমবার (২২ ডিসেম্বর) ঢাকার গুলশানে অবস্থিত রুশ দূতাবাসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপের সময় তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিষয়ে কোনো নির্দিষ্ট মন্তব্য করতে চাই না। তবে পরিস্থিতি আমাদের নজরে রয়েছে। কারণ, এটি শুধু দুই দেশের জন্য নয়, বরং পুরো দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। এটি একটি ভূরাজনৈতিক বিষয়, যার নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে যদি সমাধান না হয়। ভারত–বাংলাদেশের মধ্যে চলমান উত্তেজনা দ্রুত কমানোর প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত বলেন, ভারতের সঙ্গে যত দ্রুত সম্ভব উত্তেজনা কমানো উচিত। এটা খুবই ভালো। ইতিহাস থেকে আমরা জানি, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে ভারতের বড় ভূমিকা ছিল এবং তখন রাশিয়াও সমর্থন দিয়েছিল। ভারত, বাংলাদেশ ও রাশিয়া একসঙ্গে কাজ করে এসেছে। সেই সময় মাইন পরিষ্কারের মতো কাজেও সহযোগিতা করা হয়েছিল। নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে খোজিন বলেন, আমার স্পষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি— যেকোনো ধরনের উত্তেজনা যত দ্রুত সম্ভব কমাতে হবে। এই প্রসঙ্গে তিনি ইউক্রেন যুদ্ধের উদাহরণ টানেন। বলেন, আমরা আমাদের প্রতিবেশী দেশ বেছে নিতে পারি না। ইউক্রেনের সঙ্গে আমাদের অভিজ্ঞতা আমাদের জন্য চিন্তার বিষয়। একইভাবে এখানকার ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়েও আমরা উদ্বিগ্ন। তিনি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের বক্তব্যের কথাও উল্লেখ করেন, বলেন, আমরা তার কথা পড়েছি। তিনি সব পক্ষের সঙ্গে ভারসাম্যপূর্ণ সমাধানের জন্য এগিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন, যাতে উত্তেজনা কমে। নির্বাচন প্রসঙ্গে রাশিয়ার অবস্থান: আলোচনা শেষের দিকে এসে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে রাশিয়ার দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেন রাষ্ট্রদূত খোজিন। তিনি বলেন, অবশ্যই আমরা একটি ইতিবাচক, বন্ধুত্বপূর্ণ, অহিংস, চরমপন্থামুক্ত ও সহিংসতা মুক্ত পরিবেশে নির্বাচন সম্পন্ন হতে চাই। এটা আমাদের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ, এবং এই দেশের জন্যও। বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, আমরা দেখেছি, দেশে বিভিন্ন অস্থিরতা ও সহিংসতার ঘটনা ঘটছে। আমরা বাংলাদেশে উত্তেজনা কমাতে আগ্রহী। এটি নির্বাচনের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নির্বাচনে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক পাঠানোর বিষয়েও তিনি স্পষ্ট করেন, আমরা আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের স্বাগত জানাই। তবে এ জন্য অবশ্যই নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে। নির্বাচন কমিশনই এ ব্যাপারে দায়িত্বশীল। তিনি যোগ করেন, আমরা ইতিবাচকভাবে সাড়া দিতে প্রস্তুত। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ এলে তা মস্কোয় জানানো হবে। আমরা সেই আমন্ত্রণের জন্য অপেক্ষায় আছি। পূর্ব অভিজ্ঞতা উল্লেখ করে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত বলেন, যখন রাশিয়া অন্য দেশের নির্বাচন পর্যবেক্ষণে যায়, তখন সাধারণত রাশিয়ার কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধি, সামাজিক সংগঠনের সদস্য এবং কখনো কখনো স্টেট ডুমা বা উচ্চকক্ষের প্রতিনিধিরাও থাকেন। অতএব, নির্বাচন কমিশনের আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ না আসা পর্যন্ত আমাদের অপেক্ষা করতে হবে।


প্রিন্ট