ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ডের পর নিরাপত্তা পরিস্থিতি বিবেচনায় ঝুঁকিতে থাকা বিশের বেশি ব্যক্তির জন্য গার্ড নেওয়া হয়েছে। এ তালিকায় প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের সম্পাদকও অন্তর্ভুক্ত বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। সোমবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কমিটির বৈঠকের পরে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, দেশের নিরাপত্তা নিয়ে কোনো আশঙ্কা নেই। তবে আবেদন পাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে এনসিপির ছয় নেতাসহ প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের সম্পাদকসহ নিরাপত্তা ঝুঁকিতে থাকা ২০ জনের জন্য গার্ডের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তিনি জানান, ডিএফআই, এনএসআই ও এসবিসহ অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থাগুলো এই ব্যক্তিদের তালিকা প্রস্তুত করেছে। তাদের মধ্যে অনেককে গার্ড দেওয়া হয়েছে, আবার অনেকে গার্ড নিতে চাচ্ছেন না। উপদেষ্টা আরও বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রধান যোদ্ধা শরিফ ওসমান হাদী হত্যাকাণ্ডের বিচার দ্রুত সম্পন্ন করতে সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে। ইতিমধ্যে ১০ জনকে যৌথ বাহিনীর অভিযানে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারদের মধ্যে মূল হোতা ফয়সাল করিমের স্ত্রী, মা, বাবা, শ্যালকসহ বেশ কয়েকজন সহযোগী রয়েছেন। সেইসঙ্গে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দুটি মোটরসাইকেল, দুইটি বিদেশি পিস্তল, দুটি ম্যাগজিন, ৪১ রাউন্ড গোলাবারুদ ও একটি খেলনা পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে। অন্যদিকে পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে আছেন- অন্তর্বর্তী সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সদস্য সচিব আখতার হোসেন, এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক সারজিস আলম, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী ও সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব তাসনিম জারা। গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর, সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খানও গার্ড পাচ্ছেন। এছাড়াও বেশ কয়েকজন রাজনীতিবিদ ও সংসদপ্রার্থী গার্ড ও অস্ত্রের লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছেন। তাদের মধ্যে জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমানের জন্য সার্বক্ষণিক গার্ড ও বাসভবনের নিরাপত্তার জন্য সশস্ত্র পুলিশ সদস্যের আবেদন করা হয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। নিরাপত্তা চাওয়া হয়েছে জাতীয় পার্টির (জেপি) চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমদ, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব ইউনুস আহমেদ সেখ প্রমুখের জন্যও।