বগুড়ার বহুল আলোচিত যুবলীগ নেতা হৃদয় ব্যাপারী, যিনি দীর্ঘদিন ধরে চাঁদাবাজি ও মামলার ভয় দেখিয়ে ত্রাসের রাজত্ব চালিয়ে আসছেন, সম্প্রতি রাজনৈতিক ভোলবদলে বিএনপির সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ানোর চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর হৃদয় ব্যাপারী রাতারাতি গা ঢাকা দেন। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে তিনি আবার সক্রিয় হয়ে উঠেছেন এবং বগুড়ার একটি শীর্ষস্থানীয় বিএনপি নেতার ছায়ায় নিজের অপরাধ সাম্রাজ্য পরিচালনা করছেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, কিশোর বয়স থেকেই অপরাধে জড়িত হৃদয় ব্যাপারী একসময় যুবলীগের স্থানীয় শীর্ষ নেতাদের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন। সেখান থেকেই তিনি বগুড়া সদর যুবলীগের ৬ নম্বর ওয়ার্ড কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের পদ দখল করেন।
তবে বর্তমানে তার চাঁদাবাজি, সুদের কারবার এবং স্থানীয়দের ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ নতুন মাত্রা পেয়েছে। এক ব্যবসায়ী ইব্রাহিমের কাছ থেকে ১৭ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে হৃদয় এলিয়েন গাড়ি কিনেছেন বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। পাশাপাশি, তার মায়ের সুদের কারবারও মানুষকে আর্থিকভাবে বিপর্যস্ত করে তুলছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, “হৃদয়ের অত্যাচারে এলাকায় থাকা দায় হয়ে পড়েছে। সে আওয়ামী লীগের সময় যেমন আমাদের হয়রানি করেছে, এখন বিএনপির সঙ্গে মিশে নতুন করে আতঙ্ক তৈরি করেছে।”
এদিকে বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম বাদশাহ বলেন, “বিএনপির নাম ভাঙিয়ে কেউ যদি অপরাধে জড়িত থাকে, তার বিরুদ্ধে দলীয় ও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতোমধ্যেই এ ধরনের অপরাধে জড়িত ১২ জনকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।” হৃদয় ব্যাপারীর বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে স্থানীয় প্রশাসন ও বিএনপির হাইকমান্ডের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন এলাকাবাসী। এ বিষয়ে হৃদয় ব্যাপারীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন ধরেননি এবং মুঠোফোনে পাঠানো ক্ষুদে বার্তারও কোনো জবাব দেননি।