নওগাঁর জনমানুষের কাছে এক প্রেরণার নাম শেখ মিজানুর রহমান মিজান। রাজনীতি, চিকিৎসা ও শিক্ষা—এই তিনটি ভিন্ন অঙ্গনে একসাথে দক্ষতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে অবদান রেখে চলেছেন তিনি। একাধারে রাজনীতিবিদ, নিবেদিতপ্রাণ চিকিৎসক ও শ্রদ্ধেয় শিক্ষক হিসেবে তার পথচলা অনন্য ও উদাহরণস্বরূপ।
পেশাগত জীবনঃ
শেখ মিজানুর রহমান মিজান বর্তমানে নওগাঁর একটি স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সহকারী অধ্যাপক (ইংরেজি) পদে কর্মরত। পাশাপাশি তিনি একজন রেজিস্টার্ড হোমিওপ্যাথিক কনসালট্যান্ট। তার পরিচালিত হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসাকেন্দ্র "হোমিও হোম" চিকিৎসাসেবায় একটি নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। সাধারণ মানুষের বিভিন্ন জটিল স্বাস্থ্য সমস্যার সাফল্যজনক সমাধানে এই প্রতিষ্ঠানটি স্থানীয়ভাবে ব্যাপক প্রশংসা অর্জন করেছে। শিক্ষা ও চিকিৎসা—দুই ক্ষেত্রেই তিনি দেখিয়েছেন পেশাদারিত্ব, মানবিকতা ও দায়িত্ববোধের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
রাজনৈতিক জীবনঃ
১৯৮৭ সালে ছাত্রদলের মাধ্যমে রাজনীতিতে যুক্ত হন শেখ মিজান। ১৯৮৯ সালে নওগাঁ পৌর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন এবং ১৯৯০-এর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। তিনি পরবর্তীতে জেলা ও পৌর বিএনপির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে তিনি নওগাঁ পৌর বিএনপির সভাপতি এবং জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য।
তবে রাজনৈতিক আদর্শে অটল থাকার মূল্য দিতে হয়েছে শেখ মিজানকে বারবার। দলের জন্য রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের কারণে বিভিন্ন সময় তাকে ক্ষমতাসীন দলের হামলার শিকার, বিভিন্ন মামলার সম্মুখীন এবং পুলিশি হয়রানির শিকার হতে হয়েছে বলেও জানা যায়।
শেখ মিজান একজন রাজনীতিবিদ ও শিক্ষাবিদ হলেও সমাজসেবার ক্ষেত্রেও তিনি সক্রিয় ভূমিকা পালন করে আসছেন। তিনি ডি.এইচ.এস. এম এলামনাই এসোসিয়েশন, নওগাঁ শাখার সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও তিনি নওগাঁ জেলা কলেজ শিক্ষক পরিষদের সাবেক সভাপতি এবং নওগাঁ জেলা শিক্ষক সমিতির আজীবন সদস্য। পাশাপাশি তিনি বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি ও জাতীয় প্রতিবন্ধী ফোরামের আজীবন সদস্য হিসেবে সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর সহায়তায় যুক্ত রয়েছেন।
নওগাঁ জেলার বহু সামাজিক, ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত থেকে তিনি সমাজে আলোর সঞ্চার করে চলেছেন। তার প্রতিটি কাজেই প্রতিফলিত হয় মানুষের প্রতি ভালোবাসা, দায়বদ্ধতা ও নিষ্ঠা।
শেখ মিজানুর রহমান মিজান শুধুমাত্র একটি নাম নয়, এটি নওগাঁর মানুষের হৃদয়ে গাঁথা এক আস্থা, শ্রদ্ধা ও অনুপ্রেরণার প্রতীক। পরিচ্ছন্ন রাজনীতি, শিক্ষা ও চিকিৎসা—তিনটি অঙ্গনে একযোগে যে অবদান তিনি রেখে চলেছেন, তা বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি উজ্জ্বল আলোকবর্তিকা।