জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এর আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম জানিয়েছেন, এনসিপি কোনোভাবেই সংস্কারবিরোধী বা গণআকাঙ্ক্ষার বিপক্ষে অবস্থান গ্রহণকারী শক্তির সঙ্গে রাজনৈতিক সমঝোতা করবে না। মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) রাজশাহী পর্যটন মোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই কথা বলেন। নাহিদ ইসলাম বলেন, নির্বাচন কমিশন আমাদের শাপলা প্রতীক না দিয়ে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা সম্পূর্ণ স্বেচ্ছাচারিতার উদাহরণ। আমরা মনে করি, এই সিদ্ধান্তের পেছনে কোনো প্রভাবশালী মহলের হাত রয়েছে। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, আইনি বাধা না থাকলেও এই প্রতীকের না দেওয়া রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। যদি এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না করা হয়, তাহলে আমরা রাজপথে उतरতে বাধ্য হবো। তিনি আরও বলেন, জুলাই সনদ এখনও বাস্তব রূপ পায়নি। এটি কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত শুধুমাত্র একটি আনুষ্ঠানিক নথি হিসেবেই থাকবে। এ কারণে আমরা এখনো তাতে স্বাক্ষর করিনি। আগামী জাতীয় নির্বাচনের বিষয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, এনসিপি ফেব্রুয়ারির মধ্যে ভোটের আয়োজনের দাবি জানিয়েছে। আমরা এখনও কোনো জোটে নেই, উল্লেখ করে তিনি বলেন, যারা সংস্কারের বিপক্ষে থাকবে, তাদের সঙ্গে আমাদের রাজনৈতিক সম্পর্ক সম্ভব নয়। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন এনসিপির মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব নাহিদা সারওয়ার নিভা, সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ, বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান ইমনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। সারজিস আলম বলেন, এনসিপি বর্তমানে তৃণমূল পর্যায়ে নেতৃত্ব বাছাই প্রক্রিয়া চালাচ্ছে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপি এককভাবে দেশকে গণতান্ত্রিক পথে রাখতে ব্যর্থ হয়েছে। নতুন প্রজন্মের রাজনীতি হিসেবে এনসিপিকেই সামনে আসতে হবে। নাহিদ ইসলাম আরও অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ কখনোই প্রকৃত গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। এখনো তারা নানা কৌশলে ফ্যাসিবাদ টিকিয়ে রাখছে। তিনি দাবি করেন, সরকার বিরোধী দলগুলোকে দমন করলেও জাতীয় পার্টি ও অন্যান্য দলকে পুনর্বাসনের চেষ্টা চালানো হচ্ছে, যা অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্বের পরিপন্থী। শেষে তিনি সব রাজনৈতিক দলের প্রতি আহ্বান জানান, গণহত্যা মামলা ও ট্রাইব্যুনালের বিচার প্রক্রিয়া যেন ভবিষ্যত সরকারেও অব্যাহত থাকে।