অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি কঠোর সতর্কবার্তা দিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির মধ্যে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট একযোগে সম্পন্ন করতে হবে, অন্যথায় জনগণ তা কোনভাবেই মানবে না। শুক্রবার (৭ নভেম্বর) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবসের র‍্যালির আগে এক সভায় তিনি এ কথা বলেন। মির্জা ফখরুল বলেন, ‘নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নানা ষড়যন্ত্র চলছে। আমরা স্পষ্টভাবে জানাতে চাই— নির্বাচন ও গণভোট একই সময়ে অনুষ্ঠিত হবে। এর বাইরে কিছু হলে জনগণ তা প্রত্যাখ্যান করবে।’ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ‘আধুনিক গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নেতা’ হিসেবে উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, ‘সংস্কার আনার জন্য তারেক রহমান ৩১ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন। সেই সংস্কার বাস্তবায়নে যখন অন্তর্বর্তী সরকার উদ্যোগ নেয়, তখন আমরা সেটি সমর্থন জানিয়েছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘এক বছর ধরে জুলাই সনদ নিয়ে কাজ চলছে। সব রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা একমত হয়েছিল। কিন্তু পরে উপদেষ্টা কাউন্সিলের একজন সদস্য হঠাৎ সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা করেন, দলগুলোকে সাত দিন সময় দেওয়া হবে। তাহলে এতদিন ধরে যে আলোচনা হয়েছে, তার অর্থ কী? এতে শুধু বিভ্রান্তি ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হচ্ছে।’ মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘একটি রাজনৈতিক দল নির্বাচন থেকে আগে গণভোটের দাবি তুলছে। আমরা স্পষ্ট করে বলেছি— গণভোট ও নির্বাচন একই দিনে হতে হবে। দুইটি ভোট হলে খরচ বাড়বে, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে এবং নির্বাচনের গুরুত্ব কমে যাবে।’ তিনি অভিযোগ করেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার, যাদের আমরা প্রথমে সম্পূর্ণ সমর্থন দিয়েছিলাম, এখন তারা এমন কিছু সিদ্ধান্ত নিচ্ছে যা নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করছে।’ দেশের তরুণদের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আপনাদের যে ত্যাগ স্বীকার করেছেন, আমাদের হাজার হাজার নেতাকর্মী শহীদ হয়েছেন— তাদের আত্মত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আসুন আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যাই। ইনশাআল্লাহ, এই নির্বাচনে আমরা জয়ী হব এবং একটি নতুন বাংলাদেশ গঠন করব।’