বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর মহাসচিব ও সাবেক সংসদ সদস্য মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, যেসব মানুষ সমাজ থেকে প্রত্যাখ্যান পেয়েছে, তাদের জন্য নতুন করে সমাজে ফিরে আসার পথ খোলা নয়। আওয়ামী ফ্যাসিবাদের সব ধরনের হুমকি ও ভয়ভীতি জনগণ রাস্তায় নেমে কঠোরভাবে মোকাবিলা করেছে। বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। মিয়া গোলাম পরওয়ার আরও বলেন, ‘যে ব্যক্তিকে বাংলাদেশে অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে, সে কি করে পার্শ্ববর্তী দেশের মিডিয়া ব্যবহার করে দেশের মানুষের বিরুদ্ধে যুদ্ধের ঘোষণা দিতে পারে? আমি দেশের সকল নাগরিককে আশ্বস্ত করছি যে, রাজনৈতিক দলগুলো ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে একযোগে অবস্থান করবে।’ তিনি উল্লেখ করেন, দেশের আটটি দলের নেতা-কর্মীরা সব ধরনের নাশকতার বিরুদ্ধে সক্রিয়ভাবে রাস্তায় অবস্থান নিয়েছেন। অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করতে দেশের অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত করতে চাচ্ছে পরাজিত ফ্যাসিবাদী শক্তি। রাজধানীর ১৪টি পয়েন্টে জামায়াতের নেতাকর্মীরা পরিকল্পিতভাবে অবস্থান নিয়ে আওয়ামী নাশকতা ঠেকিয়ে সাধারণ মানুষকে রক্ষা করেছে। তিনি আরও বলেন, জুলাই মাসে সনদ বাস্তবায়নের জন্য নির্দেশনা জারি ও নভেম্বরের মধ্যে গণভোট হলে শান্তিপূর্ণভাবে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। গণভোটের জন্য দেরি হলে দেশের শত্রুরা আরও বেশি নাশকতা চালানোর সুযোগ পাবে। শেখ হাসিনার রায় ঘোষণার সময়সূচি ঘোষণাকে তিনি স্বাগত জানান এবং বলেন, ‘বিএনপির প্রতি আমার আহ্বান, দেশের ঐক্য ও সংহতির মাধ্যমে পলাতক ফ্যাসিবাদের পুনরুত্থান রোধ করা সম্ভব। এজন্য তাদেরকে উদার হতেই হবে। ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনের মূল চেতনায় থাকতেই হবে। আমি বিশ্বাস করি, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের কাজ সম্পূর্ণ স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ হচ্ছে, এটি জামায়াতের বিশ্বাস।’