, সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
সংবাদের বিষয়ে কিছু জানাতে ইমেইল করুন [email protected] ঠিকানায়

‘অতি ফর্সা’ রঙের সেই আফিয়ার পাশে দাঁড়ালেন তারেক রহমান

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৩:০৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫
  • / ২৬ বার পড়া হয়েছে

যশোরের অতি ফর্সা রঙের কারণে পিতৃপরিচয় হারানো তিন বছরের শিশু আফিয়া ও তার মায়ের পাশে দাঁড়িয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি নির্দেশ দিয়েছেন তাদের জন্য দ্রুত একটি ঘর নির্মাণের এবং শিশুটির শিক্ষা সম্পন্ন করার দায়িত্ব গ্রহণের। এছাড়াও, শিশুটিকে তার বাবার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে দলীয় নেতাদের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) সকালে যশোর সদর উপজেলার বাজুয়াডাঙ্গা গ্রামে আফিয়ার নানাবাড়িতে গিয়ে তারেক রহমানের এই বার্তা পৌঁছে দেন বিএনপির খুলনা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও যশোর-৩ আসনের প্রার্থী অনিন্দ্য ইসলাম অমিত।

তিনি জানান, গণমাধ্যমের প্রকাশিত খবর দেখে দ্রুতই বিএনপি চেয়ারম্যানের নির্দেশে এই পদক্ষেপ নিতে হয়। জানা গেছে, ২০২০ সালে যশোর সদর উপজেলার বাউলিয়া চাঁদপাড়া গ্রামের মোজাফফর হোসেনের সঙ্গে কুয়াদা বাজুয়াডাঙ্গা গ্রামের মনিরা খাতুনের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। ২০২২ সালের ১৩ নভেম্বর তাদের পরিবারের কোল আলো করে আসে আফিয়া। তবে শিশুটির চামড়ার রঙ খুবই ফর্সা, অনেকটা ইউরোপীয়দের মতো হওয়ায় জন্মের পর থেকেই মোজাফফর তাকে কোলে নেননি। স্ত্রীকে ছেড়ে অন্যত্র বসবাস শুরু করেন। আট মাস পর মনিরাকে তালাক দিয়ে তিনি বিদেশে পাড়ি জমান। পরে, সন্তানকে নিয়ে মনিরা তার সৎমায়ের সংসারে আশ্রয় নেন। কিন্তু সেখানে নানা গুঞ্জনের কারণে তিনি খুবই কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন।

এই ঘটনা গণমাধ্যমে প্রকাশের পর নজরে আসে তারেক রহমানের। তার নির্দেশে শুক্রবার সকালে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে তিনি আফিয়ার বাড়িতে যান অনিন্দ্য ইসলাম অমিত। সেখানে তিনি শিশুটি ও তার মায়ের খোঁজখবর নেন এবং প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, “আগামী দশ দিনের মধ্যে আফিয়ার জন্য ঘর নির্মাণ, তার শিক্ষার দায়িত্ব নেওয়া এবং শিশুটিকে তার বাবার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।” অমিত আরও যোগ করেন, “আফিয়া জেনেটিক ডিসঅর্ডারে ভুগছে। এই ধরনের সমস্যা খুবই বিরল, যা লাখে একজনের হয়। তার বাবার পরিবারের বা এলাকায় শিক্ষার আলো না পৌঁছানোর কারণে ভুল ধারণা সৃষ্টি হয়েছে। তারপরও আমাদের নেতার নির্দেশে আমরা তার পাশে আছি এবং ভবিষ্যতেও থাকব।”

অপরদিকে, দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন আফিয়ার মা মনিরা খাতুন।


প্রিন্ট

নিউজটি শেয়ার করুন

‘অতি ফর্সা’ রঙের সেই আফিয়ার পাশে দাঁড়ালেন তারেক রহমান

আপডেট সময় ০৩:০৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫

যশোরের অতি ফর্সা রঙের কারণে পিতৃপরিচয় হারানো তিন বছরের শিশু আফিয়া ও তার মায়ের পাশে দাঁড়িয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি নির্দেশ দিয়েছেন তাদের জন্য দ্রুত একটি ঘর নির্মাণের এবং শিশুটির শিক্ষা সম্পন্ন করার দায়িত্ব গ্রহণের। এছাড়াও, শিশুটিকে তার বাবার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে দলীয় নেতাদের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) সকালে যশোর সদর উপজেলার বাজুয়াডাঙ্গা গ্রামে আফিয়ার নানাবাড়িতে গিয়ে তারেক রহমানের এই বার্তা পৌঁছে দেন বিএনপির খুলনা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও যশোর-৩ আসনের প্রার্থী অনিন্দ্য ইসলাম অমিত।

তিনি জানান, গণমাধ্যমের প্রকাশিত খবর দেখে দ্রুতই বিএনপি চেয়ারম্যানের নির্দেশে এই পদক্ষেপ নিতে হয়। জানা গেছে, ২০২০ সালে যশোর সদর উপজেলার বাউলিয়া চাঁদপাড়া গ্রামের মোজাফফর হোসেনের সঙ্গে কুয়াদা বাজুয়াডাঙ্গা গ্রামের মনিরা খাতুনের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। ২০২২ সালের ১৩ নভেম্বর তাদের পরিবারের কোল আলো করে আসে আফিয়া। তবে শিশুটির চামড়ার রঙ খুবই ফর্সা, অনেকটা ইউরোপীয়দের মতো হওয়ায় জন্মের পর থেকেই মোজাফফর তাকে কোলে নেননি। স্ত্রীকে ছেড়ে অন্যত্র বসবাস শুরু করেন। আট মাস পর মনিরাকে তালাক দিয়ে তিনি বিদেশে পাড়ি জমান। পরে, সন্তানকে নিয়ে মনিরা তার সৎমায়ের সংসারে আশ্রয় নেন। কিন্তু সেখানে নানা গুঞ্জনের কারণে তিনি খুবই কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন।

এই ঘটনা গণমাধ্যমে প্রকাশের পর নজরে আসে তারেক রহমানের। তার নির্দেশে শুক্রবার সকালে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে তিনি আফিয়ার বাড়িতে যান অনিন্দ্য ইসলাম অমিত। সেখানে তিনি শিশুটি ও তার মায়ের খোঁজখবর নেন এবং প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, “আগামী দশ দিনের মধ্যে আফিয়ার জন্য ঘর নির্মাণ, তার শিক্ষার দায়িত্ব নেওয়া এবং শিশুটিকে তার বাবার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।” অমিত আরও যোগ করেন, “আফিয়া জেনেটিক ডিসঅর্ডারে ভুগছে। এই ধরনের সমস্যা খুবই বিরল, যা লাখে একজনের হয়। তার বাবার পরিবারের বা এলাকায় শিক্ষার আলো না পৌঁছানোর কারণে ভুল ধারণা সৃষ্টি হয়েছে। তারপরও আমাদের নেতার নির্দেশে আমরা তার পাশে আছি এবং ভবিষ্যতেও থাকব।”

অপরদিকে, দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন আফিয়ার মা মনিরা খাতুন।


প্রিন্ট