, সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
সংবাদের বিষয়ে কিছু জানাতে ইমেইল করুন [email protected] ঠিকানায়

আগামীর ছাত্ররাজনীতিতে ভাইয়ের পলিটিকস থাকবে না : শিবির সভাপতি

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৯:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫
  • / ২১ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বলেছেন, ভবিষ্যতের ছাত্ররাজনীতিতে ভাইয়ের রাজনীতি থাকবেনা। সেখানে চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, র‍্যাগিংয়ের মতো সংস্কৃতি থাকবে না। সব ধরনের জুলুম, অন্যায়, নির্যাতন বন্ধ করতে হবে। আমরা সবসময় অন্যায়ের বিরুদ্ধে ও ন্যায়ের পক্ষে দৃঢ় অবস্থানে থাকবো। শনিবার (১৫ নভেম্বর) দুপুরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে ছাত্রশিবিরের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের নবীন শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে তিনি এসব কথা বলেন। জাহিদুল ইসলাম আরো বলেন, আমরা আগে ভাইয়ের রাজনীতি দেখেছি। ভাইয়ের পেছনে দৌড়াদৌড়ি করতে করতে জীবন শেষ হয়ে গেছে। একাডেমিক জীবনও শেষ হয়ে গেছে, ক্যারিয়ারের সম্ভাবনাও নষ্ট করে ফেলেছে। আমাদের রাষ্ট্রটিও সবসময় মুক্তির জন্য সংগ্রাম করে, কিন্তু দাসত্বের শৃঙ্খল, ফ্যাসিবাদের শৃঙ্খল, কলোনিয়াল শৃঙ্খল থেকে পুরোপুরি বের হতে পারে না। এর অন্যতম কারণ ব্রিটিশদের রেখে যাওয়া শিক্ষা ব্যবস্থা। দাসত্বের সেই শিক্ষা ব্যবস্থার কারণে আমাদের মন সবসময় দাসত্বের ভাবনায় ডুবে থাকে। আমরা স্বতন্ত্রতার অনুভূতিও তৈরি করতে পারিনি। তিনি আরও বলেন, ছাত্রশিবির ৩০ দফা শিক্ষার সংস্কার জাতির সামনে উপস্থাপন করেছে। আমরা দেখিনি সরকার এই দাবির প্রতি গুরুত্ব দিয়েছে। শিক্ষা ব্যবস্থায় যে মৌলিক পরিবর্তন দরকার, বরাদ্দের বিষয়টিও আমরা দেখতে পাইনি। তাই আমরা দাবি করবো, ছাত্রশিবিরের ৩০ দফা শিক্ষা সংস্কার দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে। আমাদের ধারণা, সরকার যদি এই দাবি মানে, তাহলে বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা বিশ্বের উচ্চ মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত হবে। এদিন নবীনবরণের শুরুতেই শিক্ষার্থীদের জন্য নানা রকম উপহার সামগ্রী প্রদান করা হয়। পরে ক্যারিয়ার গাইডলাইন ও দিকনির্দেশনামূলক পরামর্শ দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মাঈন উদ্দীন, বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন ডাকসুর ভিপি সাদিক কায়েম ও চাকসুর ভিপি ইব্রাহিম হোসেন রনি। আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাবি ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সমাজসেবা সম্পাদক আব্দুল মোহাইমিন, কেন্দ্রীয় শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ইব্রাহিম হোসেন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন ও হল প্রভোস্ট, শাখা ছাত্রশিবিরের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। অনুষ্ঠানে প্রায় সাড়ে তিন হাজার নবীন শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।


প্রিন্ট
ট্যাগস

নিউজটি শেয়ার করুন

আগামীর ছাত্ররাজনীতিতে ভাইয়ের পলিটিকস থাকবে না : শিবির সভাপতি

আপডেট সময় ০৯:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বলেছেন, ভবিষ্যতের ছাত্ররাজনীতিতে ভাইয়ের রাজনীতি থাকবেনা। সেখানে চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, র‍্যাগিংয়ের মতো সংস্কৃতি থাকবে না। সব ধরনের জুলুম, অন্যায়, নির্যাতন বন্ধ করতে হবে। আমরা সবসময় অন্যায়ের বিরুদ্ধে ও ন্যায়ের পক্ষে দৃঢ় অবস্থানে থাকবো। শনিবার (১৫ নভেম্বর) দুপুরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে ছাত্রশিবিরের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের নবীন শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে তিনি এসব কথা বলেন। জাহিদুল ইসলাম আরো বলেন, আমরা আগে ভাইয়ের রাজনীতি দেখেছি। ভাইয়ের পেছনে দৌড়াদৌড়ি করতে করতে জীবন শেষ হয়ে গেছে। একাডেমিক জীবনও শেষ হয়ে গেছে, ক্যারিয়ারের সম্ভাবনাও নষ্ট করে ফেলেছে। আমাদের রাষ্ট্রটিও সবসময় মুক্তির জন্য সংগ্রাম করে, কিন্তু দাসত্বের শৃঙ্খল, ফ্যাসিবাদের শৃঙ্খল, কলোনিয়াল শৃঙ্খল থেকে পুরোপুরি বের হতে পারে না। এর অন্যতম কারণ ব্রিটিশদের রেখে যাওয়া শিক্ষা ব্যবস্থা। দাসত্বের সেই শিক্ষা ব্যবস্থার কারণে আমাদের মন সবসময় দাসত্বের ভাবনায় ডুবে থাকে। আমরা স্বতন্ত্রতার অনুভূতিও তৈরি করতে পারিনি। তিনি আরও বলেন, ছাত্রশিবির ৩০ দফা শিক্ষার সংস্কার জাতির সামনে উপস্থাপন করেছে। আমরা দেখিনি সরকার এই দাবির প্রতি গুরুত্ব দিয়েছে। শিক্ষা ব্যবস্থায় যে মৌলিক পরিবর্তন দরকার, বরাদ্দের বিষয়টিও আমরা দেখতে পাইনি। তাই আমরা দাবি করবো, ছাত্রশিবিরের ৩০ দফা শিক্ষা সংস্কার দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে। আমাদের ধারণা, সরকার যদি এই দাবি মানে, তাহলে বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা বিশ্বের উচ্চ মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত হবে। এদিন নবীনবরণের শুরুতেই শিক্ষার্থীদের জন্য নানা রকম উপহার সামগ্রী প্রদান করা হয়। পরে ক্যারিয়ার গাইডলাইন ও দিকনির্দেশনামূলক পরামর্শ দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মাঈন উদ্দীন, বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন ডাকসুর ভিপি সাদিক কায়েম ও চাকসুর ভিপি ইব্রাহিম হোসেন রনি। আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাবি ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সমাজসেবা সম্পাদক আব্দুল মোহাইমিন, কেন্দ্রীয় শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ইব্রাহিম হোসেন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন ও হল প্রভোস্ট, শাখা ছাত্রশিবিরের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। অনুষ্ঠানে প্রায় সাড়ে তিন হাজার নবীন শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।


প্রিন্ট