‘গত দশ বছরে শেখ হাসিনা বিরোধী আন্দোলনে জামায়াতে ইসলামী কোনো ভূমিকা রাখেনি’ এই মন্তব্যের জন্য বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সমালোচনা ও প্রতিবাদ জানিয়ে জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের প্রধান অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের এক বিবৃতিতে এই প্রতিবাদ ব্যক্ত করেছেন। শনিবার (২২ নভেম্বর) তিনি এই বিবৃতি দেন।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দেশের একজন প্রবীণ রাজনীতিবিদ। জনগণ তার কাছ থেকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সম্পর্কে এমন ভুল ও ভিত্তিহীন বক্তব্য আশা করে না। ‘গত ১০ বছরে জামায়াতে ইসলামী কোনো প্রকার আন্দোলন করেনি’ এই ধরনের বক্তব্য তিনি ২২ নভেম্বর ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে প্রকাশ করেছেন, এ ব্যাপারে আমাদের স্পষ্ট অভিমত হলো— ২০১১ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের বাহিনী আন্দোলনরত সাধারণ মানুষের উপর যে জুলুম-নির্যাতন চালিয়েছিল; জামায়াতে ইসলামী সাধারণ জনগণের সাথে নিয়ে কিছু মুহুর্তের মধ্যেই শক্তিশালী প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল এবং সড়ক মুক্ত করে দিয়েছিল। তখন ডিএমপি কমিশনার বেনজির আহমেদ ঢাকার রাস্তায় আন্দোলনরত নিরীহ ছাত্রজনতার উপর ভয়ঙ্কর পৈশাচিক হামলা চালিয়েছিল। জামায়াতে ইসলামী জনগণের সাথে নিয়ে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার সরকার জামায়াতে ইসলামীর ৫ শীর্ষ নেতাকে সাজানো ও মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে হত্যা করে এবং আরও ৫ নেতাকে বিচারের নামে প্রহসন করে কারাগারে বন্দি রেখে ধীরে ধীরে হত্যা করেছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, জামায়াতে ইসলামী তখনকার ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল জনাব এটিএম আজহারুল ইসলামকে প্রায় ১৪ বছর মানবতাবিরোধী অপরাধের মিথ্যা ও সাজানো মামলায় কারাগারে আটক রেখেছিল। দীর্ঘ কারাবাসের পর তিনি আইনি লড়াই চালিয়ে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের মাধ্যমে স্ব স্ব মুক্তি লাভ করেন।

দেশবাসী যেখানে দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের মাধ্যমে অমানুষিক ফ্যাসিবাদ থেকে মুক্তি পেয়েছে, সেখানে জাতীয় ঐক্য সৃষ্টির পরিবর্তে বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দিয়ে বিভাজন সৃষ্টি করা কারো জন্য কাম্য নয়—এমনটাই উল্লেখ করেছেন জামায়াত নেতা অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের।