, সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
সংবাদের বিষয়ে কিছু জানাতে ইমেইল করুন [email protected] ঠিকানায়

খালেদা জিয়াকে লন্ডন নেওয়া হবে কি না সিদ্ধান্ত রাতে

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৫
  • / ১১ বার পড়া হয়েছে

রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) চিকিৎসাধীন বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডন পাঠানোর পরিকল্পনা ছিল গত শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) ভোরে। তবে কারিগরি ত্রুটির কারণে কাতার আমিরের এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকায় উপস্থিত হতে না পারায় সেই পরিকল্পনা পিছিয়ে যায়। শনিবার (৬ ডিসেম্বর) সকালে বিএনপির মিডিয়া সেল থেকে জানানো হয়, খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নেওয়া হবে কি না, সে বিষয়ে রাতে মেডিকেল বোর্ড সিদ্ধান্ত নেবে।

অন্যদিকে, শুক্রবার প্রফেসর ডা. এ কিউ এম মহসিনের তত্ত্বাবধানে বিএনপি চেয়ারপারসনের এন্ডোস্কোপি সম্পন্ন হয়। এন্ডোস্কোপি রিপোর্ট অনুসারে তার পাকস্থলীর রক্তক্ষরণ বন্ধ হয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. আল মামুন।

এর আগে ঢাকাস্থ কাতার দূতাবাস জানিয়েছিল, জিয়াকে নিতে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স পাঠাবে কাতার সরকার। শুক্রবার পাঠানোর কথা থাকলেও কারিগরি ত্রুটির জন্য সে দিন পৌঁছায়নি। পরে দূতাবাস জানায়, জার্মানির এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকায় আসবে। যদিও এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি জার্মানির কোম্পানি, তবে ভাড়া ও অন্যান্য সব ব্যবস্থাপনা করছে কাতার সরকার।

জানা গেছে, খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নিয়ে যাবার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে জার্মানির এয়ার অ্যাম্বুলেন্স কাতার আমিরের পক্ষ থেকে পাঠানো হবে। সর্বশেষ, শুক্রবার বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গণমাধ্যমে জানান, গত রাতে (বৃহস্পতিবার) খালেদার শারীরিক অবস্থা আবারও অবনতি ঘটে। সেই কারণে, তার স্বাস্থ্য পরিস্থিতি অনুমোদন দিলেই লন্ডন যাত্রা শুরু হবে। তবে, মেডিকেল বোর্ডের অনুমতি এবং সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে তার বিদেশ যাত্রা।

খালেদা জিয়াকে লন্ডনে পাঠানোর জন্য যুক্তরাজ্য থেকে ঢাকায় এসেছেন তার বড় ছেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সহধর্মিণী ডা. জুবাইদা রহমান। শুক্রবার সকালের বিমানবন্দর থেকে সরাসরি এভারকেয়ার হাসপাতালে এসে শাশুড়ির স্বাস্থ্যের খোঁজ নেন তিনি। বিএনপি নেত্রীর চিকিৎসার পরবর্তী করণীয় নির্ধারণে সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন ডা. জুবাইদা ও মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকরা।

গত ২৩ নভেম্বর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে যাওয়ার পর থেকে তিনি ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। ২৭ নভেম্বর তার অবস্থা সংকটাপন্ন হলে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে নিয়ে নিবিড় চিকিৎসা দেয়া হয়। খালেদা জিয়ার শারীরিক অবনতি হওয়ার পর থেকে দেশের চিকিৎসক দলসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের চিকিৎসকরা তার চিকিৎসায় যুক্ত হয়েছেন।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ৭৯ বছর বয়সে দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, হৃদরোগ, ফুসফুস, কিডনি ও চোখের সমস্যা সহ ডায়াবেটিস ও আর্থ্রাইটিসের মতো জটিল রোগে আক্রান্ত।


প্রিন্ট

নিউজটি শেয়ার করুন

খালেদা জিয়াকে লন্ডন নেওয়া হবে কি না সিদ্ধান্ত রাতে

আপডেট সময় ১২:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৫

রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) চিকিৎসাধীন বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডন পাঠানোর পরিকল্পনা ছিল গত শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) ভোরে। তবে কারিগরি ত্রুটির কারণে কাতার আমিরের এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকায় উপস্থিত হতে না পারায় সেই পরিকল্পনা পিছিয়ে যায়। শনিবার (৬ ডিসেম্বর) সকালে বিএনপির মিডিয়া সেল থেকে জানানো হয়, খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নেওয়া হবে কি না, সে বিষয়ে রাতে মেডিকেল বোর্ড সিদ্ধান্ত নেবে।

অন্যদিকে, শুক্রবার প্রফেসর ডা. এ কিউ এম মহসিনের তত্ত্বাবধানে বিএনপি চেয়ারপারসনের এন্ডোস্কোপি সম্পন্ন হয়। এন্ডোস্কোপি রিপোর্ট অনুসারে তার পাকস্থলীর রক্তক্ষরণ বন্ধ হয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. আল মামুন।

এর আগে ঢাকাস্থ কাতার দূতাবাস জানিয়েছিল, জিয়াকে নিতে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স পাঠাবে কাতার সরকার। শুক্রবার পাঠানোর কথা থাকলেও কারিগরি ত্রুটির জন্য সে দিন পৌঁছায়নি। পরে দূতাবাস জানায়, জার্মানির এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকায় আসবে। যদিও এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি জার্মানির কোম্পানি, তবে ভাড়া ও অন্যান্য সব ব্যবস্থাপনা করছে কাতার সরকার।

জানা গেছে, খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নিয়ে যাবার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে জার্মানির এয়ার অ্যাম্বুলেন্স কাতার আমিরের পক্ষ থেকে পাঠানো হবে। সর্বশেষ, শুক্রবার বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গণমাধ্যমে জানান, গত রাতে (বৃহস্পতিবার) খালেদার শারীরিক অবস্থা আবারও অবনতি ঘটে। সেই কারণে, তার স্বাস্থ্য পরিস্থিতি অনুমোদন দিলেই লন্ডন যাত্রা শুরু হবে। তবে, মেডিকেল বোর্ডের অনুমতি এবং সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে তার বিদেশ যাত্রা।

খালেদা জিয়াকে লন্ডনে পাঠানোর জন্য যুক্তরাজ্য থেকে ঢাকায় এসেছেন তার বড় ছেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সহধর্মিণী ডা. জুবাইদা রহমান। শুক্রবার সকালের বিমানবন্দর থেকে সরাসরি এভারকেয়ার হাসপাতালে এসে শাশুড়ির স্বাস্থ্যের খোঁজ নেন তিনি। বিএনপি নেত্রীর চিকিৎসার পরবর্তী করণীয় নির্ধারণে সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন ডা. জুবাইদা ও মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকরা।

গত ২৩ নভেম্বর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে যাওয়ার পর থেকে তিনি ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। ২৭ নভেম্বর তার অবস্থা সংকটাপন্ন হলে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে নিয়ে নিবিড় চিকিৎসা দেয়া হয়। খালেদা জিয়ার শারীরিক অবনতি হওয়ার পর থেকে দেশের চিকিৎসক দলসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের চিকিৎসকরা তার চিকিৎসায় যুক্ত হয়েছেন।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ৭৯ বছর বয়সে দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, হৃদরোগ, ফুসফুস, কিডনি ও চোখের সমস্যা সহ ডায়াবেটিস ও আর্থ্রাইটিসের মতো জটিল রোগে আক্রান্ত।


প্রিন্ট