, সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
সংবাদের বিষয়ে কিছু জানাতে ইমেইল করুন [email protected] ঠিকানায়

এই মুহূর্তে দেশের মানুষ মানবাধিকার রক্ষার অঙ্গীকারে ঐক্যবদ্ধ: তারেক রহমান

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৬:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২৫
  • / ১৩ বার পড়া হয়েছে

বর্তমান সময়ে দেশের জনগণ মানবাধিকার রক্ষার অঙ্গীকারে একত্রিত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি মানবাধিকার রক্ষা করে প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। আগামী ১০ ডিসেম্বর পালিত হবে ‘মানবাধিকার দিবস’, সেই উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এ কথা বলেন তিনি। তিনি বলেন, ২০২৫ সালের আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসের মূল শ্লোগান—‘মানবাধিকার : আমাদের প্রতিদিনের অপরিহার্য অংশ’। এই বছরের মূল বিষয়কে সামনে রেখে আমি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মৌলিক অধিকার হারানো নির্যাতিত মানুষের প্রতি গভীর সহানুভূতি প্রকাশ করছি। পাশাপাশি বাংলাদেশসহ বিশ্বজুড়ে যেন কেউ ভবিষ্যতে মৌলিক মানবাধিকার থেকে বঞ্চিত না হন, এজন্য মানবাধিকার রক্ষা আমাদের প্রতিদিনের অপরিহার্য অঙ্গীকার।

বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, আমাদের দেশ দীর্ঘ দেড় দশক ফ্যাসিবাদী অপশাসনের কালো অধ্যায় কাটিয়েছে, যেখানে মানবাধিকার লাঞ্ছিত হয়েছিল। গণতন্ত্রকে নিশ্চিহ্ন করা হয়েছিল, রাষ্ট্রের ক্ষমতা একচেটিয়াভাবে কেন্দ্রীভূত করা হয়েছিল। এই দুঃশাসনের বিরুদ্ধে যারা প্রতিবাদ করেছেন—তারা রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক, ছাত্র, শ্রমিক কিংবা সাধারণ মানুষ—তারা সবাই মিথ্যা মামলায়, কারাবাসে, শারীরিক নির্যাতনে, গুমে ও বিচার বহির্ভূত হত্যার শিকার হয়েছেন। নাগরিক স্বাধীনতার জন্য সংগ্রামে যারা নির্মম শোষণের মুখে জীবন দিয়েছিলেন, তাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই। এখনও যারা নির্যাতিত ও নিপীড়িত, তাদের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করছি।

মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় দারিদ্র্য দুরীকরণ একটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য বলে তিনি উল্লেখ করেন, আজ আমরা এক নতুন পথে হাঁটছি— গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও মানবাধিকার রক্ষার জন্য। আমাদের ভবিষ্যৎ রাষ্ট্রের এমন হওয়া উচিত, যেখানে মানুষের অধিকার পুরোপুরি সুরক্ষিত থাকবে, আর দারিদ্র্য আজ বিশ্বের অন্যতম বড় মানবাধিকার চ্যালেঞ্জ। তিনি আরও বলেন, ‘মানবাধিকার দিবস’-এর এই বছরের মূল শ্লোগান আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় যে, মানবাধিকার কোনো নির্দিষ্ট দিনের বিষয় নয়, এটি প্রতিদিনের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে সচেতনতা ও প্রতিকার নিশ্চিত করার অঙ্গীকার। দেশের নেত্রীর, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন কারাবন্দি থেকে, মিথ্যা মামলায় শাস্তিপ্রাপ্ত হয়ে যে নির্মম পরিস্থিতির শিকার হয়েছিলেন, তা এক ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের কালো অধ্যায়। এই অধ্যায় আমাদের শিক্ষা দেয় যে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ কখনো থামানো উচিত নয়। ন্যায়বিচারের বিজয় অনিবার্য।

বর্তমানে অসুস্থ দেশনেত্রীর দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি, এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তারেক রহমান। তিনি বলেন, এই মুহূর্তে দেশের মানুষ মানবাধিকার রক্ষার অঙ্গীকারে একত্রিত। মানবাধিকার রক্ষা করে প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার এই সংগ্রামে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। এটি যেন আমাদের সকলের দৃঢ় অঙ্গীকার, সেই প্রত্যাশায় আমরা থাকি।


প্রিন্ট

নিউজটি শেয়ার করুন

এই মুহূর্তে দেশের মানুষ মানবাধিকার রক্ষার অঙ্গীকারে ঐক্যবদ্ধ: তারেক রহমান

আপডেট সময় ০৬:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২৫

বর্তমান সময়ে দেশের জনগণ মানবাধিকার রক্ষার অঙ্গীকারে একত্রিত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি মানবাধিকার রক্ষা করে প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। আগামী ১০ ডিসেম্বর পালিত হবে ‘মানবাধিকার দিবস’, সেই উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এ কথা বলেন তিনি। তিনি বলেন, ২০২৫ সালের আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসের মূল শ্লোগান—‘মানবাধিকার : আমাদের প্রতিদিনের অপরিহার্য অংশ’। এই বছরের মূল বিষয়কে সামনে রেখে আমি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মৌলিক অধিকার হারানো নির্যাতিত মানুষের প্রতি গভীর সহানুভূতি প্রকাশ করছি। পাশাপাশি বাংলাদেশসহ বিশ্বজুড়ে যেন কেউ ভবিষ্যতে মৌলিক মানবাধিকার থেকে বঞ্চিত না হন, এজন্য মানবাধিকার রক্ষা আমাদের প্রতিদিনের অপরিহার্য অঙ্গীকার।

বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, আমাদের দেশ দীর্ঘ দেড় দশক ফ্যাসিবাদী অপশাসনের কালো অধ্যায় কাটিয়েছে, যেখানে মানবাধিকার লাঞ্ছিত হয়েছিল। গণতন্ত্রকে নিশ্চিহ্ন করা হয়েছিল, রাষ্ট্রের ক্ষমতা একচেটিয়াভাবে কেন্দ্রীভূত করা হয়েছিল। এই দুঃশাসনের বিরুদ্ধে যারা প্রতিবাদ করেছেন—তারা রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক, ছাত্র, শ্রমিক কিংবা সাধারণ মানুষ—তারা সবাই মিথ্যা মামলায়, কারাবাসে, শারীরিক নির্যাতনে, গুমে ও বিচার বহির্ভূত হত্যার শিকার হয়েছেন। নাগরিক স্বাধীনতার জন্য সংগ্রামে যারা নির্মম শোষণের মুখে জীবন দিয়েছিলেন, তাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই। এখনও যারা নির্যাতিত ও নিপীড়িত, তাদের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করছি।

মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় দারিদ্র্য দুরীকরণ একটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য বলে তিনি উল্লেখ করেন, আজ আমরা এক নতুন পথে হাঁটছি— গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও মানবাধিকার রক্ষার জন্য। আমাদের ভবিষ্যৎ রাষ্ট্রের এমন হওয়া উচিত, যেখানে মানুষের অধিকার পুরোপুরি সুরক্ষিত থাকবে, আর দারিদ্র্য আজ বিশ্বের অন্যতম বড় মানবাধিকার চ্যালেঞ্জ। তিনি আরও বলেন, ‘মানবাধিকার দিবস’-এর এই বছরের মূল শ্লোগান আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় যে, মানবাধিকার কোনো নির্দিষ্ট দিনের বিষয় নয়, এটি প্রতিদিনের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে সচেতনতা ও প্রতিকার নিশ্চিত করার অঙ্গীকার। দেশের নেত্রীর, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন কারাবন্দি থেকে, মিথ্যা মামলায় শাস্তিপ্রাপ্ত হয়ে যে নির্মম পরিস্থিতির শিকার হয়েছিলেন, তা এক ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের কালো অধ্যায়। এই অধ্যায় আমাদের শিক্ষা দেয় যে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ কখনো থামানো উচিত নয়। ন্যায়বিচারের বিজয় অনিবার্য।

বর্তমানে অসুস্থ দেশনেত্রীর দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি, এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তারেক রহমান। তিনি বলেন, এই মুহূর্তে দেশের মানুষ মানবাধিকার রক্ষার অঙ্গীকারে একত্রিত। মানবাধিকার রক্ষা করে প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার এই সংগ্রামে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। এটি যেন আমাদের সকলের দৃঢ় অঙ্গীকার, সেই প্রত্যাশায় আমরা থাকি।


প্রিন্ট