, সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
সংবাদের বিষয়ে কিছু জানাতে ইমেইল করুন [email protected] ঠিকানায়

ভারতীয়রা পরিকল্পিতভাবে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছে: জামায়াত সেক্রেটারি

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১৯ ঘন্টা আগে
  • / ৬ বার পড়া হয়েছে

মহান মুক্তিযুদ্ধের শেষ পর্যায়ে পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের ভিত্তিতে ভারতের লোকেরা বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াত ইসলামীর সাধারণ সম্পাদক মিয়া গোলাম পরওয়ার। তিনি বলেন, পঞ্চান্ন বছর পেরিয়ে গেছে কিন্তু এখনও বুদ্ধিজীবী হত্যার রহস্য উন্মোচিত হয়নি। ঢালাওভাবে দিল্লির পরিকল্পনায় জামায়াতকে জড়িয়ে সব সময় বয়ান চালিয়ে নেওয়ার জন্য এটি করা হয়েছে। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিকালে জামায়াতের উত্তর মহানগরীর আয়োজনে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এই মন্তব্য করেন। বুদ্ধিজীবীদের জাতির সূর্যসন্তান হিসেবে উল্লেখ করে পরওয়ার বলেন, ১৯৬৫ সালে পরাজয়ের বদলা নিতে ১৯৭১ সালে ভারত এই যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে এবং এ দেশ যেন স্বাধীনতার পর দাঁড়াতে না পারে। তাদের আধিপত্য ঠেকাতে না পারে, সে জন্য বুদ্ধিজীবীদের তারা হত্যা করেছিল। তিনি আরও বলেন, বামপন্থি, কলকাতাকেন্দ্রিক বুদ্ধিজীবী, ভারতীয় তাবেদার বিভিন্নভাবে জামায়াতকে হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী করেন। কিন্তু ইতিহাসে এখন বহু তথ্য, বহু সত্য প্রকাশিত হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ড ছিল ভারতীয় সেনাবাহিনী ও ভারতীয় গোয়েন্দাদের একটি সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অংশ। কারণ ১৬ ডিসেম্বর বিজয়ের প্রাক্কালে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। চলচ্চিত্র নির্মাতা জহির রায়হানের কাছে এই তথ্য থাকার কারণে তাকেও গুম করা হয়েছিল বলেও দাবি করেন জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, ৮ ডিসেম্বর বিজয়ের আগে ভারতের ৩৬ সেনা ঢাকায় অবতরণ করেছিল। রেকর্ড আছে। তখন রাজধানী ঢাকাসহ পূর্ব পাকিস্তান ভারতের নিয়ন্ত্রণে। সেই সময় পাকিস্তানের সৈন্য, রাজাকার আলবদর, স্বাধীনতাবিরোধী যারা বলে তাদের বিরুদ্ধে, ওই বিজয়ের প্রাক্কালে ভারতীয় সেনারা যখন পুরো নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিলো তখন তারা নিজেদের আত্মসমর্পণ ও প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে যাচ্ছিল। কারা কারা হত্যাকাণ্ড চালাবে, নিজেদের বাঁচাতেই তারা ব্যস্ত ছিল। জামায়াতের এই নেতা দাবি করেন, রাও ফরমান আলী ও ভারতের লেখকরা বলেছেন, ভারতীয় সেনারা যখন ঢাকাসহ পূর্ব পাকিস্তান নিয়ন্ত্রণে নিলো, তখন পাকিস্তানের সেনাবাহিনী ১৪ ডিসেম্বর আত্মসমর্পণ করতে চেয়েছিল। ভারতের সেনাপ্রধানের ইচ্ছায় আরও দুই দিন পিছিয়ে ১৬ ডিসেম্বর আত্মসমর্পণের দিন নির্ধারিত হয়। গোয়েন্দাদের ব্যর্থতার সুযোগ নিয়ে দেশকে আবারও অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চলছে—এমন অভিযোগ তুলে গোলাম পরওয়ার বলেন, দেশের তথাকথিত বুদ্ধিজীবীরা এখন বয়ান তৈরির চেষ্টা করছে, আওয়ামী লীগকে প্রাসঙ্গিক করার জন্য। হাদির ওপর হামলার দায় তাদেরকেই নিতে হবে।


প্রিন্ট

নিউজটি শেয়ার করুন

ভারতীয়রা পরিকল্পিতভাবে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছে: জামায়াত সেক্রেটারি

আপডেট সময় ১৯ ঘন্টা আগে

মহান মুক্তিযুদ্ধের শেষ পর্যায়ে পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের ভিত্তিতে ভারতের লোকেরা বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াত ইসলামীর সাধারণ সম্পাদক মিয়া গোলাম পরওয়ার। তিনি বলেন, পঞ্চান্ন বছর পেরিয়ে গেছে কিন্তু এখনও বুদ্ধিজীবী হত্যার রহস্য উন্মোচিত হয়নি। ঢালাওভাবে দিল্লির পরিকল্পনায় জামায়াতকে জড়িয়ে সব সময় বয়ান চালিয়ে নেওয়ার জন্য এটি করা হয়েছে। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিকালে জামায়াতের উত্তর মহানগরীর আয়োজনে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এই মন্তব্য করেন। বুদ্ধিজীবীদের জাতির সূর্যসন্তান হিসেবে উল্লেখ করে পরওয়ার বলেন, ১৯৬৫ সালে পরাজয়ের বদলা নিতে ১৯৭১ সালে ভারত এই যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে এবং এ দেশ যেন স্বাধীনতার পর দাঁড়াতে না পারে। তাদের আধিপত্য ঠেকাতে না পারে, সে জন্য বুদ্ধিজীবীদের তারা হত্যা করেছিল। তিনি আরও বলেন, বামপন্থি, কলকাতাকেন্দ্রিক বুদ্ধিজীবী, ভারতীয় তাবেদার বিভিন্নভাবে জামায়াতকে হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী করেন। কিন্তু ইতিহাসে এখন বহু তথ্য, বহু সত্য প্রকাশিত হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ড ছিল ভারতীয় সেনাবাহিনী ও ভারতীয় গোয়েন্দাদের একটি সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অংশ। কারণ ১৬ ডিসেম্বর বিজয়ের প্রাক্কালে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। চলচ্চিত্র নির্মাতা জহির রায়হানের কাছে এই তথ্য থাকার কারণে তাকেও গুম করা হয়েছিল বলেও দাবি করেন জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, ৮ ডিসেম্বর বিজয়ের আগে ভারতের ৩৬ সেনা ঢাকায় অবতরণ করেছিল। রেকর্ড আছে। তখন রাজধানী ঢাকাসহ পূর্ব পাকিস্তান ভারতের নিয়ন্ত্রণে। সেই সময় পাকিস্তানের সৈন্য, রাজাকার আলবদর, স্বাধীনতাবিরোধী যারা বলে তাদের বিরুদ্ধে, ওই বিজয়ের প্রাক্কালে ভারতীয় সেনারা যখন পুরো নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিলো তখন তারা নিজেদের আত্মসমর্পণ ও প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে যাচ্ছিল। কারা কারা হত্যাকাণ্ড চালাবে, নিজেদের বাঁচাতেই তারা ব্যস্ত ছিল। জামায়াতের এই নেতা দাবি করেন, রাও ফরমান আলী ও ভারতের লেখকরা বলেছেন, ভারতীয় সেনারা যখন ঢাকাসহ পূর্ব পাকিস্তান নিয়ন্ত্রণে নিলো, তখন পাকিস্তানের সেনাবাহিনী ১৪ ডিসেম্বর আত্মসমর্পণ করতে চেয়েছিল। ভারতের সেনাপ্রধানের ইচ্ছায় আরও দুই দিন পিছিয়ে ১৬ ডিসেম্বর আত্মসমর্পণের দিন নির্ধারিত হয়। গোয়েন্দাদের ব্যর্থতার সুযোগ নিয়ে দেশকে আবারও অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চলছে—এমন অভিযোগ তুলে গোলাম পরওয়ার বলেন, দেশের তথাকথিত বুদ্ধিজীবীরা এখন বয়ান তৈরির চেষ্টা করছে, আওয়ামী লীগকে প্রাসঙ্গিক করার জন্য। হাদির ওপর হামলার দায় তাদেরকেই নিতে হবে।


প্রিন্ট