, সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo স্বাধীনতার ৫৪ বছর পর ঘর পেলেন বীরাঙ্গনা যোগমায়া মালো Logo ভারতকে নাহিদ ইসলামের কড়া বার্তা Logo দেশের সব আদালতের নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইজিপিকে চিঠি Logo সিক্স প্যাকের পর অনস্ক্রিন ‘ন্যাড়া’ আরিফিন শুভ, ঢাকাই সিনেমায় কি তিনিই প্রথম Logo শেখ হাসিনা ও কামালের মৃত্যুদণ্ড চেয়ে প্রসিকিউশনের আপিল Logo আমরা নিরাপদ না থাকলে, শত্রুরাও নিরাপদ থাকবে না: মাহফুজ Logo সিঙ্গাপুরে পৌঁছেছে হাদিকে বহনকারী এয়ার অ্যাম্বুলেন্স Logo বাংলাদেশ ভ্রমণে সতর্কতা জারি করল ঢাকার মার্কিন দূতাবাস Logo বন্য হাতির ভিডিও করতে গিয়ে পিষ্ট হয়ে কনটেন্ট ক্রিয়েটরের মৃত্যু Logo হাদিকে হত্যাচেষ্টা মামলায় প্রধান আসামির স্ত্রীসহ তিনজনের পাঁচ দিনের রিমান্ড
নোটিশ :
সংবাদের বিষয়ে কিছু জানাতে ইমেইল করুন [email protected] ঠিকানায়

‘৭১-এর অপশক্তির এজেন্টরা স্বাধীনতা বিপন্নের চক্রান্তজাল বুনে চলেছে’

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় ২ ঘন্টা আগে
  • / ৫ বার পড়া হয়েছে

১৯৭১ সালে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি মুক্ত হলেও ষড়যন্ত্রকারীদের পরিকল্পনা এখনও চলমান বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেন, “আক্রমণকারী শক্তি আমাদের স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্বকে অবজ্ঞা করার গর্ব দেখায়। সেই অপশক্তির দেশীয় এজেন্টরা আমাদের প্রাপ্ত স্বাধীনতা নস্যাৎ করার জন্য চক্রান্তের জাল বিস্তার করছে।” আগামীকাল ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসের উপলক্ষে সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে তিনি এ কথাগুলো বলেন। তিনি দেশবাসীর জন্য বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, “নয় মাসের মুক্তিযুদ্ধের পরে জাতি ১৯৭১ সালের এই দিনে বিজয় অর্জন করে। এই দিনেই নয় মাসের স্বাধীনতা সংগ্রামের সমাপ্তি ঘটে এবং বাংলাদেশের নামে একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্ম হয়। যারা এই যুদ্ধের শহীদ হয়েছেন, তারা সকল বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। আমি জন্য প্রার্থনা করি যে, তাঁদের আত্মা শান্তি পায়। বিদেশী শৃঙ্খল থেকে মুক্তির জন্য যারা মা-বোনেরা সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছেন, আমি তাদের প্রতি সম্মান জানাই।” তিনি আরও বলেন, “১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণা দেন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। সেই ডাকে শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ, যা ১৬ ডিসেম্বর বিজয়ের মাধ্যমে শেষ হয়, পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে। দেশের অদম্য মুক্তিযোদ্ধারা জীবন বাজি রেখে এই বিজয় অর্জন করেন। তাই ১৬ ডিসেম্বর আমাদের জন্য গৌরব, আনন্দ এবং দুঃখের এক মহাকাব্যিক দিন।” এই মহান দিনে বীর সেনাদের প্রতি সম্মান জানিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, “শোষণমুক্ত ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত গণতান্ত্রিক দেশের স্বপ্ন ছিল আমাদের। কিন্তু অমানবিক ফ্যাসিস্ট গোষ্ঠী বারবার সেই স্বপ্নকে দমে দিয়েছে, জনগণের অধিকার হরণ করেছে। বহুদলীয় গণতন্ত্রের অগ্রগতি বন্ধ করে দিয়েছে।” তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, “১৯৭১ সালে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি মুক্ত হলেও ষড়যন্ত্রকারীদের নীলনকশা এখনও চলমান। আক্রমণকারী শক্তি আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে অবজ্ঞা করছে। দেশের অভ্যন্তরে এদেশীয় এজেন্টরা আমাদের অর্জিত স্বাধীনতা বিপন্ন করার জন্য চক্রান্ত করছে। তারা গত ষোলো বছরের মধ্যে একের পর এক একতরফা নির্বাচন চালিয়েছে, জনমত উপেক্ষা করেছে। সকল গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নিয়েছে। নাগরিক স্বাধীনতা অদৃশ্য করে মানুষকে অধিকারহীন করে তুলেছে। এই দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা লুপ্ত করে দেয়া হয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “গণতন্ত্রহীন দেশে ক্ষমতার অপব্যবহার ও অন্ধকারে ডুবে যায় সব কিছু। ক্ষমতা দখলকারীরা জনগণের ওপর বর্বরতা চালায়, অসংখ্য মানুষ হত্যা করে, মিথ্যা মামলায় কারাগারে পাঠায়। পরিস্থিতি হয়ে ওঠে ভয়ঙ্কর ও অরাজকতার।” তিনি বললেন, “যিনি দীর্ঘ সময় ধরে গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছেন, এমন নেত্রীকে অন্যায়ভাবে কারাবন্দি করে অন্ধকার কারাগারে রাখা হয়েছে। দমন-পীড়নের শাসকরা ক্ষমতা ধরে রাখতে নানা গণবিরোধী পদক্ষেপ নিচ্ছে। ফ্যাসিস্টদের হাত থেকে মাতৃভূমির স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও গণতন্ত্রের পুনরুজ্জীবনে মহান বিজয় দিবসের প্রেরণা আমাদেরকে একত্রিত করেছে। ২৪ জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার আন্দোলনে তারা পরাজিত হয়, ইতিহাসের এক নিষ্ঠুর একনায়ক পতনের মাধ্যমে। এখন আবার স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের সুরক্ষা ও বহুদলীয় গণতন্ত্রের পুনরুদ্ধার প্রত্যাশা জেগেছে।” তিনি আরও বলেন, “নির্বিঘ্নে ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পন্ন করার জন্য উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করতে হয়, যাতে জনকল্যাণমুখী ও জবাবদিহিমূলক সরকার গঠন হয়। এই বিজয়ের দিন সবাইকে আহ্বান জানাই, বিভাজন ভুলে, হিংসা এড়িয়ে মানবতার পাশে দাঁড়ানোর।”


প্রিন্ট
ট্যাগস

নিউজটি শেয়ার করুন

‘৭১-এর অপশক্তির এজেন্টরা স্বাধীনতা বিপন্নের চক্রান্তজাল বুনে চলেছে’

আপডেট সময় ২ ঘন্টা আগে

১৯৭১ সালে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি মুক্ত হলেও ষড়যন্ত্রকারীদের পরিকল্পনা এখনও চলমান বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেন, “আক্রমণকারী শক্তি আমাদের স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্বকে অবজ্ঞা করার গর্ব দেখায়। সেই অপশক্তির দেশীয় এজেন্টরা আমাদের প্রাপ্ত স্বাধীনতা নস্যাৎ করার জন্য চক্রান্তের জাল বিস্তার করছে।” আগামীকাল ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসের উপলক্ষে সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে তিনি এ কথাগুলো বলেন। তিনি দেশবাসীর জন্য বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, “নয় মাসের মুক্তিযুদ্ধের পরে জাতি ১৯৭১ সালের এই দিনে বিজয় অর্জন করে। এই দিনেই নয় মাসের স্বাধীনতা সংগ্রামের সমাপ্তি ঘটে এবং বাংলাদেশের নামে একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্ম হয়। যারা এই যুদ্ধের শহীদ হয়েছেন, তারা সকল বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। আমি জন্য প্রার্থনা করি যে, তাঁদের আত্মা শান্তি পায়। বিদেশী শৃঙ্খল থেকে মুক্তির জন্য যারা মা-বোনেরা সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছেন, আমি তাদের প্রতি সম্মান জানাই।” তিনি আরও বলেন, “১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণা দেন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। সেই ডাকে শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ, যা ১৬ ডিসেম্বর বিজয়ের মাধ্যমে শেষ হয়, পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে। দেশের অদম্য মুক্তিযোদ্ধারা জীবন বাজি রেখে এই বিজয় অর্জন করেন। তাই ১৬ ডিসেম্বর আমাদের জন্য গৌরব, আনন্দ এবং দুঃখের এক মহাকাব্যিক দিন।” এই মহান দিনে বীর সেনাদের প্রতি সম্মান জানিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, “শোষণমুক্ত ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত গণতান্ত্রিক দেশের স্বপ্ন ছিল আমাদের। কিন্তু অমানবিক ফ্যাসিস্ট গোষ্ঠী বারবার সেই স্বপ্নকে দমে দিয়েছে, জনগণের অধিকার হরণ করেছে। বহুদলীয় গণতন্ত্রের অগ্রগতি বন্ধ করে দিয়েছে।” তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, “১৯৭১ সালে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি মুক্ত হলেও ষড়যন্ত্রকারীদের নীলনকশা এখনও চলমান। আক্রমণকারী শক্তি আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে অবজ্ঞা করছে। দেশের অভ্যন্তরে এদেশীয় এজেন্টরা আমাদের অর্জিত স্বাধীনতা বিপন্ন করার জন্য চক্রান্ত করছে। তারা গত ষোলো বছরের মধ্যে একের পর এক একতরফা নির্বাচন চালিয়েছে, জনমত উপেক্ষা করেছে। সকল গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নিয়েছে। নাগরিক স্বাধীনতা অদৃশ্য করে মানুষকে অধিকারহীন করে তুলেছে। এই দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা লুপ্ত করে দেয়া হয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “গণতন্ত্রহীন দেশে ক্ষমতার অপব্যবহার ও অন্ধকারে ডুবে যায় সব কিছু। ক্ষমতা দখলকারীরা জনগণের ওপর বর্বরতা চালায়, অসংখ্য মানুষ হত্যা করে, মিথ্যা মামলায় কারাগারে পাঠায়। পরিস্থিতি হয়ে ওঠে ভয়ঙ্কর ও অরাজকতার।” তিনি বললেন, “যিনি দীর্ঘ সময় ধরে গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছেন, এমন নেত্রীকে অন্যায়ভাবে কারাবন্দি করে অন্ধকার কারাগারে রাখা হয়েছে। দমন-পীড়নের শাসকরা ক্ষমতা ধরে রাখতে নানা গণবিরোধী পদক্ষেপ নিচ্ছে। ফ্যাসিস্টদের হাত থেকে মাতৃভূমির স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও গণতন্ত্রের পুনরুজ্জীবনে মহান বিজয় দিবসের প্রেরণা আমাদেরকে একত্রিত করেছে। ২৪ জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার আন্দোলনে তারা পরাজিত হয়, ইতিহাসের এক নিষ্ঠুর একনায়ক পতনের মাধ্যমে। এখন আবার স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের সুরক্ষা ও বহুদলীয় গণতন্ত্রের পুনরুদ্ধার প্রত্যাশা জেগেছে।” তিনি আরও বলেন, “নির্বিঘ্নে ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পন্ন করার জন্য উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করতে হয়, যাতে জনকল্যাণমুখী ও জবাবদিহিমূলক সরকার গঠন হয়। এই বিজয়ের দিন সবাইকে আহ্বান জানাই, বিভাজন ভুলে, হিংসা এড়িয়ে মানবতার পাশে দাঁড়ানোর।”


প্রিন্ট