, রবিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
সংবাদের বিষয়ে কিছু জানাতে ইমেইল করুন [email protected] ঠিকানায়

রিমান্ড শেষে কারাগারে সাংবাদিক আনিস আলমগীর

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১৩ ঘন্টা আগে
  • / ৬ বার পড়া হয়েছে

রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় দায়ের করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত। শনিবার (২০ ডিসেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. হাসান শাহাদাত এই আদেশ দেন। প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে উপ-পরিদর্শক শামীম হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সেই দিন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক কাজী শাহনেওয়াজ আদালতে হাজির করে পাঁচ দিনের পুলিশ রিমান্ডের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর আনিস আলমগীরকে কারাগারে পাঠানোর আবেদন করেন। আবেদনটি জানানো হয়, পুলিশ হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদের সময় মামলার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে, যা বর্তমানে যাচাই-বাছাই চলছে। প্রয়োজন হলে পরে তাকে আবার রিমান্ডে নেওয়া হতে পারে বলে উল্লেখ করা হয়। এই পরিস্থিতিতে আপাতত তাকে কারাগারে রাখা অপরিহার্য বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। শুনানিতে আসামিপক্ষের আইনজীবী নাজনীন নাহারসহ বেশ কয়েকজন আইনজীবী আনিস আলমগীরের জন্য ডিভিশন সুবিধা চেয়ে আবেদন করেন। উভয় পক্ষের বক্তব্য শোনার পরে আদালত কারাবিধি অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দেন। মামলার নথি থেকে জানা যায়, ১৪ ডিসেম্বর রাত ৮টার পরে গোয়েন্দা পুলিশ একটি দল জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনিস আলমগীরকে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যায়। পরে মধ্যরাতে ‘জুলাই রেভল্যুশনারি অ্যালায়েন্স’ নামে একটি সংগঠনের সদস্য আরিয়ান আহমেদ তার বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলায় অভিযোগ করা হয়, রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা নষ্টের ষড়যন্ত্র এবং একটি নিষিদ্ধ সংগঠনের উসকানি দেওয়ার জন্য আনিস আলমগীরসহ চারজন জড়িত। অন্য আসামিরা হলেন—অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওন, ফ্যাশন মডেল মারিয়া কিসপট্টা এবং উপস্থাপক ইমতু রাতিশ ইমতিয়াজ। উল্লেখ্য, সাংবাদিক আনিস আলমগীর সম্প্রতি তার টেলিভিশন টকশো ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া মন্তব্যের কারণে আলোচনা চলছিল।


প্রিন্ট
ট্যাগস

নিউজটি শেয়ার করুন

রিমান্ড শেষে কারাগারে সাংবাদিক আনিস আলমগীর

আপডেট সময় ১৩ ঘন্টা আগে

রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় দায়ের করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত। শনিবার (২০ ডিসেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. হাসান শাহাদাত এই আদেশ দেন। প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে উপ-পরিদর্শক শামীম হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সেই দিন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক কাজী শাহনেওয়াজ আদালতে হাজির করে পাঁচ দিনের পুলিশ রিমান্ডের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর আনিস আলমগীরকে কারাগারে পাঠানোর আবেদন করেন। আবেদনটি জানানো হয়, পুলিশ হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদের সময় মামলার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে, যা বর্তমানে যাচাই-বাছাই চলছে। প্রয়োজন হলে পরে তাকে আবার রিমান্ডে নেওয়া হতে পারে বলে উল্লেখ করা হয়। এই পরিস্থিতিতে আপাতত তাকে কারাগারে রাখা অপরিহার্য বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। শুনানিতে আসামিপক্ষের আইনজীবী নাজনীন নাহারসহ বেশ কয়েকজন আইনজীবী আনিস আলমগীরের জন্য ডিভিশন সুবিধা চেয়ে আবেদন করেন। উভয় পক্ষের বক্তব্য শোনার পরে আদালত কারাবিধি অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দেন। মামলার নথি থেকে জানা যায়, ১৪ ডিসেম্বর রাত ৮টার পরে গোয়েন্দা পুলিশ একটি দল জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনিস আলমগীরকে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যায়। পরে মধ্যরাতে ‘জুলাই রেভল্যুশনারি অ্যালায়েন্স’ নামে একটি সংগঠনের সদস্য আরিয়ান আহমেদ তার বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলায় অভিযোগ করা হয়, রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা নষ্টের ষড়যন্ত্র এবং একটি নিষিদ্ধ সংগঠনের উসকানি দেওয়ার জন্য আনিস আলমগীরসহ চারজন জড়িত। অন্য আসামিরা হলেন—অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওন, ফ্যাশন মডেল মারিয়া কিসপট্টা এবং উপস্থাপক ইমতু রাতিশ ইমতিয়াজ। উল্লেখ্য, সাংবাদিক আনিস আলমগীর সম্প্রতি তার টেলিভিশন টকশো ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া মন্তব্যের কারণে আলোচনা চলছিল।


প্রিন্ট