ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ডের পর তদন্তের অগ্রগতি এবং খুনিদের গ্রেপ্তারে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ দেখা না গেলে সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠিয়েছেন জামায়াতের মহাসচিব মিয়া গোলাম পরওয়ার। রোববার (২১ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর মগবাজারে শহীদ ওসমান হাদির জন্য দোয়া ও মাহফিলের আয়োজন করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দ। এই অনুষ্ঠানে তিনি মন্তব্য করেন, “ওসমান হাদির খুনের বিচার নিয়ে সরকারের নীরবতা কেন? হয়তো খুনিদের পালিয়ে যাওয়ার জন্য গোয়েন্দা সংস্থার কিছু লোকই জড়িত থাকতে পারে।” খুনিদের গ্রেপ্তারে সরকারের কোন কার্যক্রম দেখা না গেলে জনগণ বিশ্বাস করবে, সরকার সব জানে কিন্তু কিছু করছে না। তিনি আরও বলেন, “যে কেউ এই কাজের সঙ্গে জড়িত, তাদের দ্রুত চিহ্নিত করে শাস্তি দেওয়া উচিত। হোক সেটা গোয়েন্দা সংস্থার লোক বা অন্য কেউ।” জামায়াতের মহাসচিব অভিযোগ করেন, শহীদ শরিফ ওসমান হাদির যা চাওয়ার কথা, তার বিপরীতে যারা চায় না, তারাই তাকে হত্যা করেছে। তিনি প্রয়োজনে জাতিসংঘের কারিগরি সহায়তা নেওয়ারও আহ্বান জানান। বলেন, “ফ্যাসিস্টদের পুনর্বাসন চাইলে জনগণ তা মানবে না। যারা জড়িত, তাদের নাম প্রকাশ করুন।” জামায়াতের নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত থাকায় তিনি বলেন, “প্রধান নির্বাচন কমিশনার বললেন, হাদির ওপর গুলি চালানো নাকি একটিই বিচ্ছিন্ন ঘটনা! তফসিল ঘোষণা পরদিনই একজন সংসদ সদস্যের হত্যাকারীর দায়ও তাকেই নিতে হবে।” অনুষ্ঠানে হাদির বড় ভাই আবু বকর সিদ্দিক বলেন, “আমরা কারো কাছে অর্থ চাই না। আমরা চাই হাদির জন্য একটি সমতা ও ন্যায়ের বাংলাদেশ, চাই তার হত্যার বিচার।”