, সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ৮ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
সংবাদের বিষয়ে কিছু জানাতে ইমেইল করুন [email protected] ঠিকানায়

গানম্যান পেলেন নাহিদ-হাসনাত-সারজিস-জারা

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় এক ঘন্টা আগে
  • / ৪ বার পড়া হয়েছে

সরকার জুলাই আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী, সমন্বয়কারী ও সংসদ-প্রার্থী সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতাদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এর অংশ হিসেবে আন্দোলনের প্রধান কয়েকজন কর্মীকে গার্ড দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি তাদের ব্যক্তিগত অস্ত্রের লাইসেন্স প্রদানও প্রক্রিয়াধীন। এই তালিকায় আছেন-অন্তর্বর্তী সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের প্রধান সমন্বয়কারী হাসনাত আবদুল্লাহ, সিনিয়র যুগ্ম সচিব তাসনিম জারা ও উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়কারী সারজিস আলম। এছাড়া বেশ কিছু রাজনীতিক ও সংসদ-প্রার্থী গার্ড ও অস্ত্রের লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছেন। জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান ও বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) প্রধান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ ঢাকা মহানগর পুলিশের কাছে ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্য গার্ড চেয়েছেন। আবেদন অনুযায়ী, দ্রুতই কিছু নেতাকে গার্ডসহ অস্ত্রের লাইসেন্স দেওয়া হবে। তাদের মধ্যে রয়েছেন-গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জুনায়েদ সাকি, ডেমরা-যাত্রাবাড়ী থেকে বিএনপি মনোনীত সংসদপ্রার্থী তানভির আহমেদ রবিন, পাবনা-৩ আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী জাফির তুহিন, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমদসহ আরও অনেকে। এছাড়া ফ্যাসিবাদ ও আধিপত্যবিহীন আন্দোলনে সোচ্চার শহীদ ওসমান হাদির পরিবারের নিরাপত্তায় বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। হাদির এক বোন লাইসেন্স পেয়েছেন ও গার্ড থাকবেন। অন্যদের জন্য পুলিশি সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশের উচ্চপদস্থ সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। আগামী জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে দেশের আইনশৃঙ্খলাবস্থাকে স্বাভাবিক রাখতে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা হচ্ছে। গোয়েন্দা প্রতিবেদন অনুযায়ী, ফ্যাসিস্টরা নির্বাচন বানচালের জন্য নানা ষড়যন্ত্র করছে বলে সরকারকে জানানো হয়েছে। শেখ হাসিনার পতনের পর থেকে জুলাই আন্দোলনের সদস্যরা বিভিন্ন হুমকি পাচ্ছেন। দেশবাসী বা বিদেশে থাকা দমন-পীড়নের জন্য আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগসহ তাদের দোসররা জীবনঝুঁকি তৈরি করছে। ভারতে পালিয়ে থাকা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের উসকানি দিচ্ছেন। গত কয়েক মাস ধরে বিদেশি নম্বর থেকে হুমকি আসছে, যেখানে ওসমান হাদিকে হত্যা করা হবে বলে জানানো হয়েছিল। ১২ ডিসেম্বর তাকে গুলির আঘাতে আহত করা হয়। দেশের ও বিদেশের চিকিৎসায় সেও রক্ষা পায়নি। হাদির মৃত্যুতে সরকারের উপলব্ধি হয়েছে, যত দ্রুত সম্ভব তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। একইভাবে জীবন ঝুঁকিতে আছেন এবি পার্টির ব্যারিস্টার ফুয়াদ, এনসিপির হাসনাত আবদুল্লাহ ও অন্যান্য সম্মুখসারির নেতারা। তাদের হুমকি নিশ্চিতভাবেই আসছে। গোয়েন্দাদের মতে, যারা আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছেন, তাদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গার্ড ও লাইসেন্সের চাহিদা দারুণ। তবে সবাইকে গার্ড দেওয়াটা সম্ভব না, কারণ অনেকেই শিক্ষার্থী বা সাধারণ মানুষ। তাদের ব্যক্তিগত যানবাহনও নেই। বেশিরভাগই রিকশা বা পাবলিক ট্রান্সপোর্টে চলাফেরা করে। তাই তাদের গার্ড দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তবে সরকারের পক্ষ থেকে বিষয়টি সহনশীলভাবে দেখা হচ্ছে। ভবিষ্যতে জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেওয়া বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি ও অন্যান্য দলীয় প্রার্থীদের নিরাপত্তা নিয়েও ভাবনা চলছে। ইতিমধ্যে কয়েকজনের আবেদন গ্রহণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হয়েছে। পুলিশ সুপার বাহারুল আলম বলেন, যারা বেশি ঝুঁকিতে আছেন, তাদের জন্য একজন অস্ত্রধারী গার্ড দেওয়া হয়েছে। কম ঝুঁকির ব্যক্তিদের জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে কেমন করে চলাফেরা করতে হবে। তিনি আরও জানান, সব কিছু আমি বলব না, পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি বিষয়টি দেখছেন। বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। যাদের নিরাপত্তা ঝুঁকি বেশি মনে করা হচ্ছে, তাদের তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে এবং অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ চলছে। যাঁরা নিরাপত্তা চাচ্ছেন, তাঁদের সবাই গার্ডের পাশাপাশি অস্ত্র চেয়েছেন। অস্ত্রের বিষয়টি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও জেলা প্রশাসকের দৃষ্টিতে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ও পুলিশের বিশেষ শাখা থেকে গার্ড দেওয়া শুরু হয়েছে, তবে সবাইকে দেওয়া সম্ভব হয়নি। কারণ, অনেকের জন্য গার্ড চাওয়া হয়েছে। এত গার্ড সরবরাহ সম্ভব নয়। তবে ‘পটেনশিয়াল থ্রেট’ থাকায় তাদের গার্ড দেওয়া হচ্ছে। কর্মকর্তারা বলছেন, গার্ড দেওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে, কারণ বেশির ভাগই ছাত্র বা সাধারণ মানুষ। রিকশা বা পাবলিক ট্রান্সপোর্টে চলাফেরা করে, তাই গার্ড দেওয়া কঠিন। এর সমাধান খুঁজছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানায়, অনেক জুলাই আন্দোলনকারী ও সংসদ-প্রার্থী মৌখিক নিরাপত্তা চেয়েছেন, কিন্তু এটা সম্ভব নয়। লিখিত আবেদনকারীদের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হচ্ছে। রোববার পর্যন্ত ১২ জনের আবেদন জমা পড়েছে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে সভা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আন্দোলনের সদস্যরা আগ্রহী হলেও এখনও কেউ অস্ত্র চায়নি। তবে কিছু সংসদ-প্রার্থী অস্ত্রের পাশাপাশি গার্ড চেয়েছেন। সরকার জানিয়েছে, এখনো কাউকে আনুষ্ঠানিকভাবে গার্ড দেওয়া হয়নি, তবে ডিএমপি ও এসবির পক্ষ থেকে অস্থায়ীভাবে গার্ড দেওয়া হয়েছে। আবেদনমতো, মন্ত্রণালয় সবসময় স্থায়ী নিরাপত্তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেবে। এ বিষয়ে অতিরিক্ত আইজিপি খোন্দকার রফিকুল ইসলাম বলেন, যারা নিরাপত্তা চেয়েছেন, তাদের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। কেউ কেউ পুলিশের মাধ্যমে, কেউ বা অন্যান্য সংস্থার মাধ্যমে নিরাপত্তা চাচ্ছেন। তিনি আরও বলেন, জুলাই আন্দোলন ও নির্বাচনের প্রার্থী অনেক, কিন্তু ঝুঁকির পরিমাণ সবসময় সমান নয়। যারা ঝুঁকিতে আছেন, তাদের নিরাপত্তা দিতে আমরা নির্দেশনা দিয়েছি। পুলিশ তাদের গতিবিধির উপর নজর রাখছে। মিটিং বা সমাবেশে অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে, বিশেষ করে বেশি ঝুঁকিপূর্ণদের জন্য গার্ড দেওয়া হচ্ছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ব্যক্তিগত আগ্নেয়াস্ত্র চাওয়া ব্যক্তিরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও জেলা প্রশাসন দেখছে।


প্রিন্ট

নিউজটি শেয়ার করুন

গানম্যান পেলেন নাহিদ-হাসনাত-সারজিস-জারা

আপডেট সময় এক ঘন্টা আগে

সরকার জুলাই আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী, সমন্বয়কারী ও সংসদ-প্রার্থী সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতাদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এর অংশ হিসেবে আন্দোলনের প্রধান কয়েকজন কর্মীকে গার্ড দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি তাদের ব্যক্তিগত অস্ত্রের লাইসেন্স প্রদানও প্রক্রিয়াধীন। এই তালিকায় আছেন-অন্তর্বর্তী সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের প্রধান সমন্বয়কারী হাসনাত আবদুল্লাহ, সিনিয়র যুগ্ম সচিব তাসনিম জারা ও উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়কারী সারজিস আলম। এছাড়া বেশ কিছু রাজনীতিক ও সংসদ-প্রার্থী গার্ড ও অস্ত্রের লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছেন। জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান ও বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) প্রধান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ ঢাকা মহানগর পুলিশের কাছে ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্য গার্ড চেয়েছেন। আবেদন অনুযায়ী, দ্রুতই কিছু নেতাকে গার্ডসহ অস্ত্রের লাইসেন্স দেওয়া হবে। তাদের মধ্যে রয়েছেন-গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জুনায়েদ সাকি, ডেমরা-যাত্রাবাড়ী থেকে বিএনপি মনোনীত সংসদপ্রার্থী তানভির আহমেদ রবিন, পাবনা-৩ আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী জাফির তুহিন, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমদসহ আরও অনেকে। এছাড়া ফ্যাসিবাদ ও আধিপত্যবিহীন আন্দোলনে সোচ্চার শহীদ ওসমান হাদির পরিবারের নিরাপত্তায় বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। হাদির এক বোন লাইসেন্স পেয়েছেন ও গার্ড থাকবেন। অন্যদের জন্য পুলিশি সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশের উচ্চপদস্থ সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। আগামী জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে দেশের আইনশৃঙ্খলাবস্থাকে স্বাভাবিক রাখতে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা হচ্ছে। গোয়েন্দা প্রতিবেদন অনুযায়ী, ফ্যাসিস্টরা নির্বাচন বানচালের জন্য নানা ষড়যন্ত্র করছে বলে সরকারকে জানানো হয়েছে। শেখ হাসিনার পতনের পর থেকে জুলাই আন্দোলনের সদস্যরা বিভিন্ন হুমকি পাচ্ছেন। দেশবাসী বা বিদেশে থাকা দমন-পীড়নের জন্য আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগসহ তাদের দোসররা জীবনঝুঁকি তৈরি করছে। ভারতে পালিয়ে থাকা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের উসকানি দিচ্ছেন। গত কয়েক মাস ধরে বিদেশি নম্বর থেকে হুমকি আসছে, যেখানে ওসমান হাদিকে হত্যা করা হবে বলে জানানো হয়েছিল। ১২ ডিসেম্বর তাকে গুলির আঘাতে আহত করা হয়। দেশের ও বিদেশের চিকিৎসায় সেও রক্ষা পায়নি। হাদির মৃত্যুতে সরকারের উপলব্ধি হয়েছে, যত দ্রুত সম্ভব তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। একইভাবে জীবন ঝুঁকিতে আছেন এবি পার্টির ব্যারিস্টার ফুয়াদ, এনসিপির হাসনাত আবদুল্লাহ ও অন্যান্য সম্মুখসারির নেতারা। তাদের হুমকি নিশ্চিতভাবেই আসছে। গোয়েন্দাদের মতে, যারা আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছেন, তাদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গার্ড ও লাইসেন্সের চাহিদা দারুণ। তবে সবাইকে গার্ড দেওয়াটা সম্ভব না, কারণ অনেকেই শিক্ষার্থী বা সাধারণ মানুষ। তাদের ব্যক্তিগত যানবাহনও নেই। বেশিরভাগই রিকশা বা পাবলিক ট্রান্সপোর্টে চলাফেরা করে। তাই তাদের গার্ড দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তবে সরকারের পক্ষ থেকে বিষয়টি সহনশীলভাবে দেখা হচ্ছে। ভবিষ্যতে জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেওয়া বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি ও অন্যান্য দলীয় প্রার্থীদের নিরাপত্তা নিয়েও ভাবনা চলছে। ইতিমধ্যে কয়েকজনের আবেদন গ্রহণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হয়েছে। পুলিশ সুপার বাহারুল আলম বলেন, যারা বেশি ঝুঁকিতে আছেন, তাদের জন্য একজন অস্ত্রধারী গার্ড দেওয়া হয়েছে। কম ঝুঁকির ব্যক্তিদের জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে কেমন করে চলাফেরা করতে হবে। তিনি আরও জানান, সব কিছু আমি বলব না, পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি বিষয়টি দেখছেন। বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। যাদের নিরাপত্তা ঝুঁকি বেশি মনে করা হচ্ছে, তাদের তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে এবং অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ চলছে। যাঁরা নিরাপত্তা চাচ্ছেন, তাঁদের সবাই গার্ডের পাশাপাশি অস্ত্র চেয়েছেন। অস্ত্রের বিষয়টি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও জেলা প্রশাসকের দৃষ্টিতে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ও পুলিশের বিশেষ শাখা থেকে গার্ড দেওয়া শুরু হয়েছে, তবে সবাইকে দেওয়া সম্ভব হয়নি। কারণ, অনেকের জন্য গার্ড চাওয়া হয়েছে। এত গার্ড সরবরাহ সম্ভব নয়। তবে ‘পটেনশিয়াল থ্রেট’ থাকায় তাদের গার্ড দেওয়া হচ্ছে। কর্মকর্তারা বলছেন, গার্ড দেওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে, কারণ বেশির ভাগই ছাত্র বা সাধারণ মানুষ। রিকশা বা পাবলিক ট্রান্সপোর্টে চলাফেরা করে, তাই গার্ড দেওয়া কঠিন। এর সমাধান খুঁজছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানায়, অনেক জুলাই আন্দোলনকারী ও সংসদ-প্রার্থী মৌখিক নিরাপত্তা চেয়েছেন, কিন্তু এটা সম্ভব নয়। লিখিত আবেদনকারীদের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হচ্ছে। রোববার পর্যন্ত ১২ জনের আবেদন জমা পড়েছে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে সভা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আন্দোলনের সদস্যরা আগ্রহী হলেও এখনও কেউ অস্ত্র চায়নি। তবে কিছু সংসদ-প্রার্থী অস্ত্রের পাশাপাশি গার্ড চেয়েছেন। সরকার জানিয়েছে, এখনো কাউকে আনুষ্ঠানিকভাবে গার্ড দেওয়া হয়নি, তবে ডিএমপি ও এসবির পক্ষ থেকে অস্থায়ীভাবে গার্ড দেওয়া হয়েছে। আবেদনমতো, মন্ত্রণালয় সবসময় স্থায়ী নিরাপত্তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেবে। এ বিষয়ে অতিরিক্ত আইজিপি খোন্দকার রফিকুল ইসলাম বলেন, যারা নিরাপত্তা চেয়েছেন, তাদের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। কেউ কেউ পুলিশের মাধ্যমে, কেউ বা অন্যান্য সংস্থার মাধ্যমে নিরাপত্তা চাচ্ছেন। তিনি আরও বলেন, জুলাই আন্দোলন ও নির্বাচনের প্রার্থী অনেক, কিন্তু ঝুঁকির পরিমাণ সবসময় সমান নয়। যারা ঝুঁকিতে আছেন, তাদের নিরাপত্তা দিতে আমরা নির্দেশনা দিয়েছি। পুলিশ তাদের গতিবিধির উপর নজর রাখছে। মিটিং বা সমাবেশে অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে, বিশেষ করে বেশি ঝুঁকিপূর্ণদের জন্য গার্ড দেওয়া হচ্ছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ব্যক্তিগত আগ্নেয়াস্ত্র চাওয়া ব্যক্তিরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও জেলা প্রশাসন দেখছে।


প্রিন্ট