









তামিমের স্বাস্থ্য নিয়ে সুরক্ষা সংকট নেই; সর্বশেষ অনুপাত কী জানাল

- আপডেট সময় ০২:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫
- / ১২ বার পড়া হয়েছে
সন্তোষজনক খবর এসেছে যে তামিম ইকবাল, যিনি একটি হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার পরে শঙ্কামুক্ত হয়েছেন। সোমবার, ডিপিএলে খেলার সময় তিনি অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন, যেখানে তাকে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) চিকিৎসা দেওয়া হয়। হৃদয়ে ব্লক ধরা পড়ার কারণে তাকে জরুরি ভিত্তিতে রিং পরানো হয়। তখন চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, তিনি পুরোপুরি নিরাপদ নন। তবে মঙ্গলবার দুপুরে জানানো হয়েছে যে তামিম এখন বিপদমুক্ত এবং পরিবারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যেকোনো সময় হাসপাতাল ছাড়তে পারবেন। সাভারের কেপিজে হাসপাতালে (পূর্বে বেগম ফজিলাতুন্নেছা হাসপাতাল) তাকে ৪৮ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছিল। রাত পর্যন্ত তার অবস্থা স্থিতিশীল ছিল এবং আজ সকালে তাকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়, এমনকি তিনি কিছুসময় হাঁটারও চেষ্টা করেছেন। তার পরিবারের সদস্যরাও তার সঙ্গে দেখা করেছেন। দুপুর ১২টার দিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর তামিমের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিতে হাসপাতালে গেছেন। তিনি নিশ্চিত করেছেন যে তামিম এখন বিপদমুক্ত এবং তিন মাসের মধ্যে খেলায় ফিরতে পারবেন। তবে দীর্ঘমেয়াদি সুস্থতার জন্য সতর্ক থাকতে হবে বলেও তিনি পরামর্শ দিয়েছেন। ডা. আবু জাফর জানিয়েছেন, সব পরীক্ষায় সবসময় সঠিক রোগ নির্ণয় সম্ভব হয় না। প্রথম ইসিজিতে কোনো বড় পরিবর্তন ধরা পড়েনি, তবে আজ সকালে করা ইকোর রিপোর্ট ভালো এসেছে। তবুও যে কোনো সময় কিছু ঘটতে পারে, তাই বিষয়টি নিয়ে তার পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে এবং তাদের সিদ্ধান্ত অনুসারে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উল্লেখ্য, সোমবার শাইনপুকুর দলের বিরুদ্ধে খেলতে গিয়ে তামিম হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। দ্রুত হাসপাতালে নেওয়ার পরে তার হৃদয়ে ব্লক ধরা পড়েছিল এবং ডা. মনিরুজ্জামান মারুফের তত্ত্বাবধানে এনজিওগ্রাম, এনজিওপ্লাস্টি এবং স্টেন্টিং করা হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেছেন, ডা. মারুফের চিকিৎসা এবং মোহামেডানের ট্রেনার ইয়াকুবের সিপিআর দেওয়ার গুরুত্ব অপরিসীম ছিল। তার মতে, সিপিআর না হলে তামিমের মস্তিষ্কে জটিলতা সৃষ্টি হতে পারত। মোহামেডানের ম্যানেজার সাজ্জাদ আহমেদ শিপন জানিয়েছেন, যদি তামিমের শারীরিক অবস্থা ভালো থাকে, তবে তাকে শীঘ্রই ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হবে, এবং প্রয়োজনে থাইল্যান্ডে নেওয়ার বিষয়টিও বিবেচনায় থাকবে।
প্রিন্ট