অ্যাঙ্গোলার স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত প্রীতি ম্যাচে স্বাগতিক দলকে ২-০ গোলে পরাস্ত করেছে আর্জেন্টিনা। এই বছরের শেষ ম্যাচে লিওনেল মেসি ও লাউতারো মার্তিনেজের গোলের মাধ্যমে জয় লাভ করে বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে ৮৯ নম্বর দল অ্যাঙ্গোলার বিপক্ষে এটি ছিল আর্জেন্টিনার দ্বিতীয় মুখোমুখি লড়াই। ২০০৬ বিশ্বকাপের আগে একই ব্যবধানে জয় লাভ করেছিল আর্জেন্টিনা। লুয়ান্ডার এস্তাদিওতে ১১ নভেম্বরের ম্যাচে শুরু থেকেই সফরকারীরা আধিপত্য দেখায়। প্রায় ৬৬ শতাংশ বল দখলে রেখে আর্জেন্টিনা গোলের কাছাকাছি নিজেকে রাখতে সক্ষম হয়। তিনটি অন-টার্গেটে নেওয়া শটের মধ্যে দুটি জালে যায়। প্রথমার্ধে মেসি বেশ কয়েকবার সুযোগ পান। ২১ মিনিটে মার্তিনেজের দারুণ পাস থেকে গোলের সুযোগ আসলেও তাঁর শট গিয়ে ঠেকে অ্যাঙ্গোলার গোলরক্ষক পেদ্রো মার্কেসের হাতে। ৩৬ ও ৩৮ মিনিটেও সুযোগ হারায় আর্জেন্টিনা। আক্রমণ চালিয়ে প্রতিপক্ষকে ব্যস্ত রাখলেও গোল পাননি। ৩৯ মিনিটে কর্নার থেকে নেওয়া শটও ব্লক করে দেন মার্কেস। তবে তিন মিনিট পরে মেসির বাড়ানো বল থেকে আর্জেন্টিনা এগিয়ে যায়। ডি-বক্সে পেয়ে ডান পায়ের শটে গোল করেন লাউতারো মার্তিনেজ। বিরতির পরে ৪৭ মিনিটে অ্যাঙ্গোলার জন্য সমতা ফিরানোর সুযোগ ছিল, কিন্তু রোমেরো ও তালিয়াফিকোর রক্ষণে সেই আক্রমণ রুখে যায়। ৮১ মিনিটে ব্যবধান আরও বাড়ায় আর্জেন্টিনা। মেসি বল নিয়ে বক্সে ঢুকে কাটব্যাক করেন লাউতারোকে, এরপর আবার বল ফেরত দিলে কাছাকাছি থেকে গোল করেন মেসি। ৮৬ মিনিটে মাঠ ছাড়েন আর্জেন্টিনা অধিনায়ক মেসি। বদলি হিসেবে নামেন পানিচেলি। এর কিছুক্ষণ আগে বদলি করা হয় ম্যাক অ্যালিস্টার ও লাউতারোকে। নিয়ন্ত্রিত ফুটবল খেলে, স্বস্তির জয় অর্জন করে আর্জেন্টিনা, এভাবেই একটি দুর্দান্ত বছর শেষ করে ২০২৬ সালের জন্য নিজেদের প্রস্তুতিকে আরও সুদৃঢ় করে তুলল।